জাপানীজরা কখনো তাদের ভাষায় নিজ দেশকে জাপান বলে না। বলে নিহন বা নিপ্পন।
আবার নিজেদেরকে জাপানীজ বলে না, বলে নিহনজীন।
বিদেশী সবকিছুকেই আবার তারা নিজেদের মত করে উচ্চারন করে। যেমন বাংলাদেশ তাদের ভাষায় হয়ে যায় বাংগুরাদেশু। মার্কেট ওদের ভাষায় হয়ে যায় মাকেত্ত।
গুলশান হয়ে যায় গুরুশানু।
এই পরিবর্তনটুকু হয় নিয়ম মেনেই। প্রথমত জাপানীজ কোন অক্ষর নেই যা দিয়ে আপনি ল ড কিংবা ট উচ্চারন করতে পারবেন। আবা কোন অক্ষরই উচ্চারিত হওয়ার সময় শেষে আ, ই বা ও এর টান থাকে। অন্যভাবে বললে প্রতিটি অক্ষরকেই ইংরেজীতে উচ্চারন করতে চাইলে ভাওয়েলের সহায়তা নিতে হয়। একমাত্র ং ছাড়া।
ফলশ্রুতিতে খুলনা হয়ে যায় খুরুনা, ল যায়গায় র আসে আর র এর সাথে উ স্বরবর্ন যোগ হয়ে রু হয়।
অন্যভাবে বললে আর ইংরেজী অক্ষরটির সাথে ইউ ভাওয়েল যোগ হয়ে রু হয়।
টোকিওর পাশের শহর কাওয়াগুচিতে একদিন সন্ধার পর সাইকেল চালাচ্ছি। হঠাৎ করে দুজন পুলিশ আমার সাইকেল থামাল একজন বলে উঠল রাইত, রাইত। আমি ভেবে অবাক হলাম আমায় রাইট অর্থাৎ ডানদিকে চালাতে বলছে কেন। আমি বুঝতে না পারলে হাতের ইশারায় সাইকেলের লাইটের দিকে দেখাল। পরে বুঝেছিলাম জাপানীজ ভাষায় ল উচ্চারন না থাকায় লাইট তাই রাইত হয়ে গিয়েছিল।
কোন জাপানীজ যদি কাউকে বাকা বলে তবে ভাবিয়েন না যে কোন কিছু বেকে আছে, ওটা আসলে জাপানীজ ভাষার সবচাইতে খারাপ একটি গালি বাকাইয়ারোর সংক্ষিপ্ত রূপ যার অর্থ বোকা। আমরা কথ্য ভাষায় কুকুরকে কুত্তা বলি, আবার জাপানীজ কথ্য ভাষায় কুত্তা কা? বললে তার অর্থ হয় খেয়েছ কি? খেয়েছি = কুত্তা
জাপানীজ ভাষায় দুটি বাক্যের বাংলা অনুবাদ দিয়ে শেষ করছি আজকের লেখাটি।
আপনার নাম কি?
আনাতানো নামায়ে ওয়া নান দেসকা।
আমার নাম তমাল
ওতাশিনো নামায়ে ওয়া তোমারু দেস।