আরেকজন নির্বাচন না করেই টেবিলে নীচ দিয়ে গিয়ে মন্ত্রী হয় - তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী আর কয়লাখনির টেন্ডারের অনিয়মের অভিযোগ আছে।
ঘটনা চক্রে এই দুইজনই কুখ্যাত আলবদর বাহিনীর কমান্ডার - একজন পুরো পাকিস্থানের আর একজন প্রদেশের প্রধান ছিলো। যারা ৭১ বুদ্ধিজীবি নিধনের সাথে জড়িত।
এই দলঠির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ৭৬% দূর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত - বিচারাধীন এবং সাজাপ্রাপ্ত।
সাম্প্রতিক আরেকটা খবর দেখলাম - তা হলো প্রধানের যোগসাজসে সৎলোকের জেলার নেতার বিরুদ্ধে জনগনের ট্যাক্সের টাকা আত্নসাদের মামলা হয়েছে।
খবর দিচ্ছে বিডিনিউজ২৪.কম - ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি রাজস্বের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সিলেটের সাবেক জেলা প্রশাসক, জেলা সাব রেজিস্ট্রার, এক জামায়াত নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযুক্তরা হলো :-
১) সিলেটের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব) আবুল হোসেন;
২)সিলেট সদরের সাবেক সাব রেজিস্ট্রার (বর্তমানে মেহেরপুর সদরের সাব রেজিস্ট্রার) ৩)দেওয়ান মোজাহার হোসেন; ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন টাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান
৪)সিলেট মহানগর জামায়াতের সাবেক আমির ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডা. শফিকুর রহমান এবং
৫)গোল্ডেন টাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল ইসলাম খানকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
.
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নগরীর আম্বরখানা এলাকায় ১৮ কোটি টাকা দামের ৯২ শতক জমির দাম ৪০ লাখ টাকা দেখিয়ে গোল্ডেন টাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের নামে নিবন্ধন করেন। এর মাধ্যমে তারা সরকারকে দুই কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করে নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন।
যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মব্যবসায়ী সৎলোকের এই দলে পরজীবির মতো অন্যের কাঁধে চড়ে ক্ষমতার ছিঁটো ফোঁটা স্বাদ পেয়েই যদি এই অবস্থা হয় - তা হলে যদি কোনভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে - তা হলে বাংলাদেশের অবস্থা কি হবে!
ভাবছি!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:৩৭