somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রেম - যারে ভালোবাসিয়া ছিলাম (৩)

২০ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্বটা পড়ার অনুরোধ
Click This Link

নদীর দিকে চেয়ে থেকে তার সঙ্গে বিভিন্ন আলাপ। যার কোন মাথা মুন্ডু নাই। বলা যায় কোন অর্থ নেই। বোটানিক্যাল গার্ডেন হইতে সন্ধ্যার পর পর ফিরে আসা। আবার সেই আগের রুটিন। দেখতে দেখতে মাসখেনেক চলে গেল। একদিন সে বললো আমি বাড়ী যাবো। আমি কইলাম যাও। আমারে কইলো আমারে একটু বাসে তুইলা দিবা। আমি তারে গিয়া বাসে তুইলা দিয়ে এলাম। ফিরে এসে দেখি কেমন জানি ফাকা ফাকা লাগে। ক্লাস করতে যাই দেখি একজন নাই। সবাই আছে তারপরও যেন কেউ নাই। মনে মনে নিজের শাসন করি তোর কপালে খারাপি আছে।

পরদিন এক কাছের বন্ধুরে( আমার রুমমেট) কই চল বোটানিক্যাল গার্ডেন থাইকা ঘুইরা আসি। আমি আর সে ঢুকলাম গার্ডেনে । ঢুইকাই একটা ফুলের গন্ধ পাইয়া বন্ধু টা উচ্ছাসিত হইয়া কয় কাঠালিপাচা ফুল ফুটছে। কিন্তু আমার কাছে গন্ধটা পরিচিত পরিচিত লাগতাছে। অথচ আমি কাঠিলি চাপা ফুল আগে দেখি নাই। সে আমারে গাছের কাছে নিয়া গেল । দেখি গন্ধ আছে কিন্তু ফুল দেখা যায় না। তাজ্জব ব্যাপার । ঝাকড়া গাছে সরাটাই পাতা আর পাতা। আমরা দুইজন বহু কষ্ট কইরা ফুল বাইর করলাম। কাঠালি চাপার গন্ধ কঠিন গন্ধ। হঠাৎ মনে হইল আরে তার চুল থাইক তো আমি এই গন্ধ পাই। বাহ বাহ এ যে একে বারে সাহিত্য। পরে অবশ্য শুনছিলাম এইটা KAO নামে একটা শ্যাম্পুর কারসাজি। বড় ব্যাথা পাইছিলাম মনে । মনে হইছিল না হইলেই তো ভালো হইতো।

যাক। সে দুইদিন পরে ফিরা আইলো। পরদিন যখন আমরা লাইব্রেরীতে যাই সে কইলো পরদিন আমারে খাওয়াইবো কারণ বাড়ী থাইকা মাসের খরচ নিয়া আইছে। আমি কইলাম কই খাওয়াইবা । কারণ শহর আমাদের ইউনিভাসিটি থাইকা ৪ কিমি দূরে। সে কইলো শহরে মনে মনে আমিও তাই চাইতেছিলাম ভাবছিলাম যদি এক রিক্সায় এই ৮ কিমি ( আসা যাওয়া - প্রায় ১:৩০ঘন্টা)। বাহ বাহ । কোন রাত কটাইয়া সকাল হওয়া পর তো আর সময় কাটে না। যাক আসলো সেই সময় । আমরা হইছি দুইজন যামু রিক্সায় । যাক ঠিক করলাম রিক্সা সে দেখলাম নিসংকোচে আমার পাশে বসলো। আহা আমি আনন্দিত। এইটাই আমার তার সাথে প্রথম রিক্সা ভ্রমন।

ধীরে ধীরে যত দিন যায় আগে পুলকিত আনন্দিত হইলেও এখন মনের এই লাগামহীন চলতে দেওয়া নিয়ে একপ্রকার ভয়ের সৃষ্টি হলো। মন চায় স্বপ্ন দেখতে। কিন্তু বিচার বুদ্ধি কয় বেশী লাফাইতেছ। এ এক বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। তার মনে কথা তো আমি পড়িতে পারি না। সে সুন্দর সাবলীল ভাবে দিনাতিপাত করছে। আমি মরি দ্বিধা দন্দ্বে। এই পর্যায়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহন জরুরী হইয়া পড়িল।


চলবে....

পরের পর্ব
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:২৬
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×