somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাণিজ্যিক পিছুটান।

১৪ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বড় অস্থির এ সময়,
শতাব্দী প্রাচীন সংস্কার কিংবা অনন্ত শাশ্বত মানবিক হৃদয়ানুভূতি নয়--
বরং, বাণিজ্যিক উপকথার চটকদার শাব্দিক দ্যোতনায়
কেমন যেন অপ্রস্তুত মনে হয় আমাদের চারিধারের বিরাজমান কালকে--
হাজার বছরের পুরানো মানব সভ্যতার ক্রমবর্ধমান ভিত্তিটার
গাঁথুনিটাকে আজ মনে হয় বড় বেশী নড়বড়ে, ফাঁপা--
হয়তো ইট-পাথরের জোড়াতালি দেয়া কোন ক্ষণস্থায়ী ইমারত--
সেই ইমারতের আশেপাশে ঘুরে ফিরে অন্ধ বাঁদুড়ের মতো
আমাদের অযথাই কেবল আলোর পথে যাত্রা--অযথাই তো, কারণ
অন্তর আত্মার বাণিজ্যিক কলুষতায় আমাদের হৃদয়ের দৃষ্টিপথে
যে কালো অন্ধন্ত্বের বিকাশ ঘটেছে--
তার জমীনে তীব্রতম আলোর বিকিরণও শেষ পর্যন্ত অনন্ত আঁধারই,
শাল বনের অভাগা পেঁচার মতো
তাই আমাদেরও বোধোদয় হয় রাতের আঁধারেই,
সদ্য-ভূমিষ্ঠ বোধের--বহু-আরাধ্য সফল পদচারণার তীব্রতম আকাঙ্খা নিয়েও তাই আমরা ঘুমিয়ে পড়ি প্রভাত-লগ্নের বহু আগেই,
মাতৃহীন অবহেলিত বোধগুলোর চতুর্মূখী কান্নাকে তখন মনে হয়
বহুদূরের এক গহীন বন থেকে ভেসে আসা
কোন খেক-শিয়ালের ভীতিজাগানিয়া হাঁকডাক--
তা কর্ণগোচর না করার তীব্রতম প্রচেষ্টা নিয়ে
তাই আমরা ভীত কাপুরুষের মতো নরম কম্বলে মাথা গুঁজি,
যদিও বহুকাল আগে সৃজনশীলতার শপথ নেয়া
কোন এক হতভাগা কবি তখনও ক্লন্তিহীন জেগে থাকে,
বাণিজ্যিক পিছুটান তার কলমেও দুর্ভেদ্য শিকল পরিয়েছে,
প্রতিভা বিপন্ন হওয়ার সর্বগ্রাসী চেতনা নিয়ে
সে কেবলই অপলক চেয়ে থাকে তখন,
শত শত আলোক-বর্ষ দূরের অসীম নক্ষত্রের পানে;
অন্তিম শয্যায় থাকা তার নিরূপায়, মুমূর্ষ প্রতিভার
বেঁচে থাকার শেষ-লগ্নের শ্রবণোত্তর গগণবিদারী আর্তি, হ্য়তোবা
অন্তহীন দীর্ঘশ্বাসে মাখামাখি হৃদপিন্ড গুলিয়ে ওঠা অযাচিত অভিমান--
হয়তো বড় অলক্ষে, বড় নীরবেই আঁচড়ে পড়ে তখন;
রাত্রির কোন এক ভাগে; অদৃশ্য অসীম ছায়াপথ ঘেঁষে ঘেঁষে;
শত শত আলোকবর্ষ দূরের সেই সব নক্ষত্রের দুয়ারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৩১
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফেসবুক থেকে ভালোবাসার পথে: আমার এবং মীমের গল্প

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ২:৩৭

## প্রথম অধ্যায়: অনলাইন থেকে অফলাইনে

ফেসবুকের পাতায় একটি সাধারণ দিন। আমি তখন নিউইয়র্কের ব্যস্ত শহরে বসে থাকি, চারপাশে মানুষের কোলাহল আর কাজের চাপ। হঠাৎ করেই ফেসবুকে একটি পোস্টে কমেন্ট করতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে প্রায় প্রত্যেকেই স্ব স্ব স্হান থেকে সমস্যার সৃষ্টি করেন।

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩০ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮



শেখ সাহেব পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসে ৩য় দিন ( ১/১২/১৯৭২) দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদটা তাজউদ্দিন সাহেব থেকে নিয়ে নিয়েছিলেন; ৯ মাস জেলের পর, উনার দরকার ছিলো কিছুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মোছাব্বিরুল হক, ৩০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮



শত মমতার গল্প গাঁথুনি পৃথিবীর ভাঁজে ভাঁজে
কিছু নয় তার মাতৃ তুল্য মা তাঁর তুলনা নিজে।
কত প্রিয়জন বন্ধু-স্বজন প্রাণপ্রিয় সন্তান
হতে পারে পর এলে কভু ঝড়
ভুলে শত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্যারিয়ার কথন: ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং এবং সর্তকতা।

লিখেছেন জাদিদ, ৩০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৪

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং, পেশা হিসাবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্মানজনক সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়ায় অনেকেই এই পেশায় যুক্ত হয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এছাড়া বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে একজন মানুষকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ মনটা কেমন যেন অনেক কিছু চিন্তা করছে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



সকালের মৃদু আলোয় মোড়ানো একটি মনোরম দৃশ্য ধরা পড়েছে এই ছবিতে। এটি একটি খোলা জায়গা, যেখানে সবুজের সমারোহ এবং প্রকৃতির ছোঁয়া স্পষ্ট। ছবির বাম দিকে গাছের সারি এবং ডান... ...বাকিটুকু পড়ুন

×