somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গুরুর ঘুড়ারোগ

১১ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৭:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রবীন্দ্র: কবিতা গল্প উপন্যাস এই সব হাবিজাবি লিকা কি কুনু লাভ হয়? তুমি তো কতো কতো কবিতা লিকলা আমি ও লিকলাম মাগার কুনু লাভ কি হইছে? পাবলিক আসলে এই সব ঘুম আননের লাইগা পড়ে। মাগার একন তো যেই হারে আজিজ মার্কেটে কবি পয়দা হইতাছে তাতে আমাগো কি হইবো তা কি একবার ভাবছো? ওগো মটান কবিতার লগে আমরা কি পারুম? ওগো কবিতার গন্ধে আমার তো নাক উলটাইয়া যায়! আর আমাগো এইসব লেকা কেউ ছাপাইতেও চায় না। আমি যা দেকতাছি তাতে আমরা আর কয়দিন পর না খাইয়া মরুম! তুমি কি কও নজরুল?

নজরুল: জী ঠিক বলেছেন। আজকালকার পুলাপান একন উদ্ভট ভাষার কবিতা ছারা কিছুই বুঝেনা। সেদিন আমি গেছিলাম একবস্তা কবিতা নিয়া এক প্রকাশনীর কাছে মাগার তেনি আমারে কইলেন "আপনে এইসব কবিতা লিকা বাদ দিয়া নতুন কিছু করেন'। বলেন গুরু এটা কি মেনে নেয়া যায়?

গুরু আর নজরুল বড়ই চিন্তায় পড়লেন। কি করা যায় এইসব কবিতা ফবিতা লেকা বাদ দিয়ে! ওদিকে বাড়ীওয়ালা তিন মাসের ভাড়া আদায় করতে প্রতিদিন বাসার সামনে এসে জুতা চ্যাক করে। কিন্তু নজরুলের বুদ্ধিতে বাইরে থেকে তালা মেরে ঘরে নিজেদের বন্ধি করে তবেই বাড়ীওয়ালা থেকে রক্ষা পায়েছেন! কিন্তু এভাবে কত দিন? গুরু বললেন নজরুল তুমি তো জানো আমার পরালেকার দৌড় সামান্য যা লিকি এইসব কবিতা ফবিতা। নজরুল বললেন আমি তো পরালেকা করার টাইম ই পাইলাম না। হঠাত করে নজরুল বললেন গুরু নীল ক্ষেতে ট্যাকা দিলে সব ধরনের ছারটিফিকেট দেয়! তাই দিয়া আমরা চারকি কইরা নিজেগো পেট চালামু। গুরু একলাফে ঘাট থেইক্যা পইরা মাটিতে আনন্দে গরাগরি গাইতে লাগলেন! তেনি তার বাপেরে খবর দিলেন ১০০০০ টাকা পাঠাইতে। মাগার তার বাপে ট্যাকা দিবো না। তার মা অনেক কস্টে নিজের বালা বেইচা পোলারে ট্যাকা পাটাইছে। ট্যাকা পাইয়া তারা নীলক্ষেতে গেলো ছারটিফিকেট কিনতে। গুরু কইলো নজরুল আমি তুমার থেইক্যা বেশি জানি তাই আমি পি.এইডস ছারটিফিকেট লমু। নজরুল কইলো ঠিক আছে আমি তাইলে মাস্টর ছারটিফিকেট লমু। তারা নীলক্ষেতে ছারটিফিকেট অর্ডার দিয়া তেহারী খাইতে এক দুকানে ঠুকলো। তেহারী খাইয়া কাগজে যেইনা হাত মুছতে গেছে ওমনি গুরু দেকলো ঢাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টর লাগবো। তেনি লগে লগে হাত না মুইছা কাগজটা পকেটে ঢুকাইলেন। নজরুল বেচারা বিশটা পেপার গাইটা একটাও কিছু পাইলোনা।

গুরু চুপি চুপি রাতের আধারে মুম জ্বালাইয়া একখান আবেদন পত্র বানাইলো। সকালে হেইঠা ছ্যাপ দিয়া ঘামে বইরা ভকবানের নাম লইয়া পাঠাই দিলো। ওদেকে নজরুল বহুত কস্টে একটা বেসরকারী ইস্কুলে মাস্টরের চারকি পাইলো। বেতন কবে হয় না হয় তার কুনু ঠিক নাই। হইলে তিসমাসে হয় না হইলে এক বছর লাগে। নজরুল সাব মাইনা নিলেন। ওদিকে গুরুর ইন্টারভিউতে ডাক পরছে। তেনি একবারে সাইজা গেলেন। ইন্টারভিউ বোর্ডের লুকজন গুরুরে দেইক্যা তারা তেনারে বহুত আপ্যায়ন করলো আর লগে লগে তারে চারকিতে লইয়া লইলো। তেনারে ইকোনোমিকস পরাইতে হইবো! গুরু কইলো আর কুনু সহজ বিষয়ে দেলে হইতো না! তারা কইলো মাগার আপনে তো এই বিষয়ে পি.এইডস ডিগ্রী লইছেন! গুরু ফাইসা গিয়া সব মাইনা লইলেন।

নজরুল সাব পরাইতে লাগলেন। মাগার তেনারে দেয়া হইলো সমাজ পরাইতে । তেনি পতম দিন ক্লাসে গিয়া কইলেন আমাদের চারি পাশে তুমরা যা দেকো তাই হইলো সমাজ। এই সমাজে অনেক কিছূ হয় যা তুমরা একটু বরো হইলে বুঝবা। মাগার তেনি আর কিছুই কইতে পারলেন না। তিনি হঠাত কইরা কইলেন তুমরা কি কবিতা পারো? কিছু পুলাপান কইলো জী পারি। তেনি সবাইরে একটা কইরা কবিতা লিকতে কইলেন! সবাই কবিতা লিকা শুরু করলো। কিছুক্ষন বাদ তেনি সবার কবিতা চ্যাকিং করলেন আর নম্বর দিলেন! গুরু পতম দিন তার ক্লাসে শেষের কবিতা নিয়া গেলেন। আর এক পুলারে কইলেন রিডিং পড়। পুলাপান কয় স্যার এইটাতো আমাগো বিষয় না! গুরু কয় আরে মূর্খ এই শেষের কবিতা দিয়াই তো আমি তুমাদের ইকোনোমিকস শেষ দেবো। অর্থনীতি দিয়া কি হয় এটা হইলো মানুষের পেট বাচানির একটা পরা। এতে কারো পেট বাচে না সব শালা না খাইয়া মরে! একটা না পইরা বরং আমরা আসো শেষের কবিতা পড়ি। ক্লাসে একটু ঘুম আননের চেষ্টা করি। যদি আমরা জাতি কে ঘুম পাঠিয়ে রাকতে পারি তাহলে এই বিশ্বে থাকবে না কুনু খাদ্যর অভাব কেউ মরবে না না খেয়ে!

পুলাপানের পরীক্ষা আইলো নজরুল সাবের ছাত্ররা সমাজ পরীক্ষায় সমাজ নিয়া বিভিন্ন কবিতা লিকা পুরা ফাটাই দেলো, আর গুরু ছাএরা পরীক্ষায় কি ভাবে ঘুম গিয়ে খাদ্য সংকট ও অর্থসংকট থেকে বাচা যায় তা নিয়ে লিখা ফাটাই দিলো। রেজাল্ট আইবার লগে লগে হেডমাস্টর নজরুলরে ঢাইকা পাটাইলো!? জিগাইলো আমনের ছাত্ররা পরীক্ষার খাতায় সমাজ সর্ম্পকে অনেক কবিতা লিকছে, তা এইটার প্রভাব কি আপনে ফালাইছেন? নজরুল কয় স্যার আসলে পুলাপান যদি কবিতা দিয়া সকল মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে তাহলে শুধু শুধূ গাদা গাদা লেখা লেকার কি দরকার? হেডমাস্টর জিগায় কবি নজরুল আপনে তো কবিতা ফবিতা লিকতেন তা কবে মার্স্টাস পাশ দিলেন? নজরুল কয় আসলে সে মেলা কতা? হেডমাস্টর লগে লগে তেনার সারটিফিকেট লইলো আর জিগাইলো আচ্ছা আপনে তো ক্যামবীজ থেইক্যা পাশ করছেন? তাই না? তো বলেন তো ক্যামবীজ বিশ্ববিদ্যালয় কুথায়? নজরুল সাব কয় জী স্যার এইতো আমার নানার বাড়ীর পাশের গ্রামেই! পিরিনসপোল লগে লগে পুলিশ ডাইকা তেনারে জেল হাজতে দিলেন। গুরুর সব ছাত্ররা উল্টা পাল্টা কতা লিক্কা আর লেকার শেষ দিকে সবাই একটাই কবিতা দিয়া শেষ দিছে:

ঘুম আমাদের জাতীয় সম্পদ
জাতি তুমি ঘুমিয়ে যাও
দেশের খাদ্য সংকট কমাও
দেশের অর্থ সংকট কমাও।

ডিন সার তেনারে জিগাইরো গুরু আপনে কবে অক্স্রর্ফোড থেইক্যা পাশ করেছেন? তেনি কইলো জী যেবার বুশ পাশ করছে সেই বার।ডিন কয় আচ্ছা কন তো আপনার কলেজের টয়লেটটা কুনদিকে আছিলো? তেনি কয় আসলে উওরমুখী আছিলো। ডিন লগে লগে পুলিশ ডাইক্যা গুরুরে ধরাইয়া দিলো।

রবীন্দ্র: কি হে নজরুল কেমন লাগছে?
নজরুল: তিন বেলা ফ্রি খানা। বাড়ী ভাড়া নাই। আর কি চাই?
রবীন্দ্র: হা হা হা। আমাগো ঘুড়ারোগটাই শেষ মেষ কামে দিলো।
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×