somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গুরুর ভ্রান্তি

০৯ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদা রবীন্দ্র সাহেব আর নজরুল সাহেব জসীম উদ্দীন সাহেবের লাল শাকের ক্ষেত দেখতে গেলেন। সেখানে রবীন্দ্র সাহেব লাল শাক দেখে আর লোভ সামলাতে না পেরে একটা বস্তায় বাগানের প্রায় অর্ধেক লাল শাক চুরি করে নিলেন। ওদিকে নজরুল সাহেব হরি হরি সবুজ মরিচ দেখে লোভ সামলাতে না পেরে ছোট্ট একটা পলিথিনে যা পারলেন মরিচ চুরি করলেন। শেষ মেষ তারা চুরির মাল নিয়ে রবীন্দ্র সাহেবের বাসার ছাদে গেলেন। রবীন্দ্র সাহেব বললেন নজরুল আজ বড়ো দান মেরেচি, আজ রাতে লাল শাক আর তুমার চুরি করা মরিচ দিয়ে প্রানটা জুড়িয়ে এক থাল ভাত খাবো। নজরুল সাহেব বললেন গুরু জসীম সাহেব কে একটু লাল শাকের তরকারি পাঠালে কেমন হয়, ওমনি গুরু নজরুলকে একটা থাপ্পর মারলেন। নজরুল সাহেব কিচু না বুঝে চুপচাপ রান্না ঘরে চলে গেলেন। রাত হলো তেনারা লাল শাক আর মরিচ দিয়ে দুজনে দু থাল ভাত খেয়ে নাক ঢেকে ঘুমিয়ে গেলেন।

পরদিন সকালে রাজা মশাই (ফকরুদ্দিন সাহেব) রবীন্দ্র আর নজরুলকে তার বিচারকার্যে ঢেকে পাঠালেন। রবীন্দ্র আর নজরুল সাহেব কিচুই না বুঝতে পেরে বিচারকার্যে গেলেন। সেখানে গিয়ে তারা দেকলেন জসীম সাহেব বসে আছেন। রবীন্দ্র নজরুল সাহেবের আর কিছুই বুঝার বাকী রইলোনা। বিচার শুরু হলো। রাজা মশাই বললেন গতকাল বিকাল ৫ ঘটিকায় আপনারা দুজন জসীম সাহেবের ক্ষেত থেকে অর্ধেক বস্তা লাল শাক আর কিচু মরিচ চুরি করেছেন। এই অপকর্ম এবং চুরির দায়ে আপনাদের দুজনকেই যাবতজীবন কারাদন্ড দেয়া হইলো। ওমনি নজরুল সাহেব বললেন হুজুর আমিতো সামান্য কিছু মরিচ চুরি করেছি এতেই আমার এতো শাস্তি! গুরুর শাস্তি ঠিক আছে তেনি অর্ধেক বস্তা চুরি করেছেন, কিন্তু আমি তো সামান্য কয়টা মরিচ চুরি করেছি। এটা অন্যায় রাজা মশাই। রাজা মশাই ওমনি নজরুলের গালে কষাইয়া একটা থাপ্পর মারলেন, আর বললেন আমার শাসন কার্যে কুনু ধরনের চুরি চামারি আমি মেনে নেবো না, তুমি সামান্য করছো আর বেশি শাস্তি একই পেতে হবে।

তাদের দুজনকে একটা মুরগির খাচার মধ্য ঢোকানো হলো। সেখানে তারা দেকলেন শাসসুর রাহমান সাহেব বসে বসে ঝিমাচ্ছেন! রবীন্দ্র সাহেব কে দেখা মাত্রই তেনি তার পা ছুয়ে সালাম করলেন। আর নজরুল সাহেব কে পাত্তাই দিলেন না। ওদিকে যতো দিন যায় শামস আর রবীর মধ্য ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। শামশ রবীর গা টিপে দেয় সেবা যত্ন করে। ওদিকে নজরুল সাহেব দুক্কে ক্ষোভে একটা কবিতা লিকলেন।

বন্ধু তুমি বন্ধু নও
বিশ্বাস ঘাতক তুমি!

কিন্তু নজরুলের দুক্ক কেউ বুঝে না। একদা নজরুল একটা গুটিবাজী করলো। শামশরে কইলো তুমিতো গুরুর অনেক ভক্ত মাগার তুমি কি জানো তুমার কবিতা পইরা রবীন্দ্র সাহেব সব সময় থুতু থুতু দিয়া দিতো। এই কতা হুইনা শামশ সাহেব রাগান্তিত হইয়া রবীন্দ্র সাহেবের পতি আর তার চামচামি দেকাইলো না। শেষ মেষ শামশ সাহেব নজরুলের ভক্ত হইয়া গেলো। একদিন নজরুল সাহেব শামশরে জিগাইলো আমনে কি দুষে অপরাধী হইছেন? শামশ কইলো সে এক লজ্জার কতা, সুপিয়া আপারে লইয়া একটা কবিতা লিকছিলাম, তেনি সেইটাতে রাগান্তিত হইয়া আমার নামে মানহানির মামলা করছেন, আমাগো রাজা মশাই আবার নারী বিষয়ে কাচা, তেনি আমার কবিতার সম্মান না দিয়া আমারে ১৪ বছরের জেল দিয়া দিছে।

ওদিকে নজরুল আর শামশ সাহেব জেল থেকে ভাইগ্যা যাবার পেল্যান করছে। তারা জেলার সাহেব তারেক মামা কে হাত করলো, ১০কেটি টাকা আর কিচু নারী দিয়া তাকে হাত করা হইলো। তারেক মামা এক ভোরে নজরুল সাহেব আর শামশ সাহেব কে হাগু করানোর কতা কইয়া একবারে গেট পার কইরা দিলো। তারা জেল পার হইয়া নাপিতের দুকানে গিয়া দুজনে তাদের লম্বা মাতার বাল ফালাই দিলেন। দুইজনে মুছ রাইকা ছদ্মবেশ নিয়া রাস্তায় বাহির হইলেন। নজরুল সাব নাম বদলাইয়া রাকলেন রাকেশ, আর শামশ সাব স্যাম। তারা দুইজনে পরে দেশ পাড়ি দিয়া ন্যাপাল গিয়া উঠলেন। ওদিকে রাজা মশাই নজরুল আর সামসুরের পলায়নের কতা হুনে তারেক ভাইয়াকে কোমরের হাড্ডি ও শরীরের বিশেষ বিশেষ স্থানে হুল ঢুকিয়ে দিলেন।

রবীন্দ্র সাহেব ওদিকে নিজের একাকী কাটানোর জন্য তার কবিতা পাঠ শুরু করলেন, এতে অন্যান্য বন্দীরা অতিস্ট হইয়া গেলেন। ওদিকে নতুন জেলার মইন. কিউ.কিউ আহমেদ আবার রবীন্দ্র সাবের ভক্ত তাই তেনি বন্দীগো এই বিচার মাইনা নিলেন না। রবীন্দ্র সাব একদা বিরাট অসুকে পরলেন, তেনি মইনকে বললেন বাবা তুমি আমাকে বাচাও। মাগার রাজা মশাই বলছেন তুমি যদি রবীন্দ্র সাবের কাছে কিনারে আর যাও তবে তুমারে আমি মায়ানমার পাঠাই দিমু। ওদিকে রবীন্দ্র সাব ভীষন অসুকে পরলেন, তার অসুক ছারে না, কেউ তার চিকিতসা ও করে না। তাই তিনি মহারাজা (মাননীয় বুশ)কে একটা চিঠি লিকে সব জানালেন। মহারাজা তারাতারি করে তার চিকিতসার ব্যবস্থা করলেন, এবং সুস্থ হবার সাথে সাথে তাকে ছেরে দিতে বললেন। রবীণ্দ্র সাব এই কতা শুনে ব্যাপক খুশি হলেন। তিনি বরাবর সুস্থ হলেন এবং ছারা পেলেন। ছারা পেয়ে তিনি মহারাজার উদ্দেশ্য একখানা ইংলাজী কবিতা লিকলেন। এবং বললেন আপনি আমার কদর করেছেন আমাকে মুক্তি দিয়েছেন এর জন্য আমি সারাজীবন আপনার গোলাম হয়ে থাকতে চাই। বুশ রাজা তকন বললেন না এ আর এমন কি, আপনি কতো বরো কবি আপনার কদর সারা বিশ্বে হওয়া উচিত। গুরু অত্যাধিক পুলকিত হলেন।

কিন্তু গুরু বুশ মহারাজার জন্য কিচু করতে চায়। তিনি বুশ রাজাকে বললেন আপনি আমার কাছে কিচু চান, আমি আপনার এই গুলাম আপনার জন্য কিচু করতে চাই। বুশ রাজা একটু ভেবে বললেন ঠিক আছে আমার গুলাম কাল সন্ধ্যায় তুমি আমার সাথে দেকা করো, তোমার কাছে আমি কি চাই তা তুমাকে আমি জানাবো। গুরু পরের দিন বুশ রাজার সাথে দেকা করলেন। বুশ বললেন রবী তুমি তো জানো আমার কুনু কিচুর কুনু অভাব নাই। কিন্তু আমার একটাই আখেরি সক আছে মরনের আগে। রবী বললেন কি মহারাজা আমায় বলুন! বুশ বললেন আমি আমার জীবনের শেষ সময়টুকু সমকামী হয়ে কাটাতে চাই। তুমি কি আমার পাটনার হবে? রবী সাব কতাটা হুনে আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে ১০ সেকেন্ডের মধ্য চারদিকে চেয়ে কষিয়ে একটা দৌড় দিলেন। কিন্তু মহারাজার প্রাসাদ থেকে বাচার কি উপায় আছে। সিপাহী দ্বারা আটকে গেলেন। শেষ মেষ বুশ সাহেব বুঝলেন এ এভাবে মানবে না। তাই তিন গুরু সাথে যা ইচ্ছা তাই বলতে গেলে জবর দোস্তি করে গুরুর ইজ্জত লুটে নিলেন। পরে অবশ্য সিপাহী দ্বারা ও তিনি তার ইজ্জত হারিয়েছেন। শেষে তিনি ক্লান্ত শরীর নিয়ে সাগর পাড়ে গিয়ে কি জানি করার চেষ্টা করছিলেন, ওমনি রাজার সিপাহীরা এসে তাকে ধরে নিয়ে গেলো। বিচার শুরু হলো এবং তাকে আবারো সারা জীবনের জন্য কারাদন্ড দেয়া হলো এবং মৃত্যুর পরেও তাকে জেলে থাকতে হবে বলে আদেশ দেয়া হলো। রবী সাব জানতে চাইলেন তার কি দুষ। রাজা মশাই বললেন তুমি মহারাজার আদরের বিলাইয়ের সাথে ফস্টি নস্টি করছো, তাই তুমার এই শাস্তি।

ওদিকে নজরুল আর শামশ সাব নাকি দালালি ব্যবসা করছেন। ব্যবসা ভালোই তয় বুঝা মুশকিল কে সমকামী আর কে বিপদগামী.....
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৫
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

টুইস্টেড মাইন্ড অফ আ সিরিয়াল কিলারঃ কবি কালিদাস স্পেশাল

লিখেছেন এইচ তালুকদার, ২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



সিরিয়াল কিলারদের নিয়ে আমার আগ্রহ শুরু হয় এই ব্লগেরই একজন অসাধারন ব্লগার ''ডক্টর এক্স'' এর লেখা পড়তে যেয়ে। বাংলা ভাষায় সাইকোলজির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেলফ হেল্প ধরনের অসাধারন কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিলিস্তিনে কী শান্তি সম্ভব!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:২১

এক.
প্রতিদিন ঘুমানোর আগে আলজাজিরা দেখি৷ গাজার যুদ্ধ দেখি৷ রক্ত দেখি৷ লাল লাল৷ ছোপ ছোপ৷ সদ্য জন্মানো শিশুর৷ নারীর৷ কিশোর কিশোরীর৷ বৃদ্ধের৷ সারি সারি লাশ৷ সাদা কাফনে মোড়ানো৷ ভবনে চাপা পড়া৷... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রাকৃতিক দূর্যোগে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫

আমার জীবনে আমি সরাসরি প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভেতরে পড়েছি বলে আমার মনে পড়ে না । ২০১৯ সালের ঘটনা। ঘূর্ণিঝড়ের নাম সেবার ছিল সম্ভবত বুলবুল ! সেটা যখন আসছিল তখন আমি ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

উপকূলের ভাই-বোনদের প্রতি গভীর সমবেদনা

লিখেছেন বিষাদ সময়, ২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৭




আমরা ঢাকার পাকা দালানে বসে যখন আয়েস করে চায়ে চুমুক দিয়ে বৃষ্টি বিলাসে বিভোর, ঠিক সেই সময় আমাদের উপকূেলের ভাই-বোনেরা হয়তো কেউ স্বজন, কেউ ঘর, কেউ ফসল, কেউবা গবাদী... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: অশ্লীলতা কি পোশাক দিয়ে নির্ধারণ করা উচিৎ নাকি মানসিকতা ও চরিত্র দিয়ে?

লিখেছেন লেখার খাতা, ২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫২


ছবিটি -ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

কহিনুরের, ফ্লোরা ওরিয়েন্টাল বিউটি সোপ।১৯৭৮ সালের বিজ্ঞাপন। ছবিটি ফেসবুকে পেয়েছি। ব্লগার সোনাগাজী, ব্লগার কামাল ১৮ সহ যারা মুরুব্বি ব্লগার রয়েছেন তারা হয়তো এই বিজ্ঞাপনটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×