somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাবির ৫৫ বছর: ষড়যন্ত্রের দিন শেষ হবে কবে?

০৭ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাবির ৫৫ বছর: ষড়যন্ত্রের দিন শেষ হবে কবে? (আর খানের প্রতিক্রিয়া)

এই পোস্টটা পড়তে পড়তে মনে হল অনেক কথা। আমি নিজেও রাবির ছাত্র ছিলাম। ২০০৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে লেখাপড়ার পাঠ সাঙ্গ করেছি। সেই সূত্রে আমার যে অভিজ্ঞতা তা সেয়ার করছি সবার সাথে।

রাবি এবং শিবির অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। নানান কারণেই রাবি ক্যাম্পাসে শিবির নামটি বিখ্যাত। হলের সিট দখল, তাদের নিজেদের মতের সাথে না মিললে অন্যদের (বিপরীত মতের) সাথে নানাবিধ ঝামেলা, ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ক্ষমতার স্থানটি নিজেদের মতের লোকজন দিয়ে দখলের চেষ্টা ইত্যাদি কারণগুলো চোখে পড়ার মতো। আমি নিজেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো সময়টা মেসে কাটিয়েছি নানান কারণে। প্রধান কারণ আমি একটা অরাজনৈতিক সংগঠন করতাম। আমার যে বন্ধুরা নাটক, গান কিংবা অন্যান্য অরাজনৈতিক সংগঠন করতো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে তাদের অভিজ্ঞতা খুব সুখের নয়। এ কারণেই পুরো সময়টা মেসে কাটানো। তারপরেও যে অবাঞ্ছিত ঘটনার মুখোমুখি পড়িনি তা নয়।

একবার আমার মেসের রুমে সন্ধ্যার দিকে লুঙ্গিপড়া দু'জন এসে হাজির। তারা ভিন্ন নামের একজনের সাথে দেখা করতে এসেছিল। তাদের জানানো হলো সে নামের কেউ এই রুমে থাকে না এবং বিগত ৫ বছর এখানে ছিলও না। তারা চলে গেল। কিছুদিন পরে সেই ছেলে দু'টোই আবার এসে হাজির। এবার সন্দেহ হল। মেসের কেয়ারটেকারকে জানানো হলো ঘটনাটা। ছেলে দু'টো এসেছিল বিনোদপুরে শিিবরের যে বড় মেসটা রয়েছে সেখান থেকে। মেসের কেয়ার টেকার আবার এলে তাকে খবর দিতে বললেন। পরে অবশ্য ছেলে দু'টো আর আসেনি। কিন্তু বিনোদপুরের মোড়ে চা খেতে গেলে আমার আশেপাশে অপরিচিত ছেলেদের আনাগোনা বেড়ে গেল। অবশ্য কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

কিন্তু নানানভাবে অনেক অপ্রীতি ঘটনার সাক্ষী আমার মতো আরো অনেক সাধারণ (!) ছাত্র। একবার রমজান মাসে তুঁত বাগানে (৩য় বিজ্ঞান ভবনের পেছনে) বিকেলে বসে থাকা জুটিদের আচমকা পিটানো শুরু করে শিবির কর্মীরা। এই আক্রমণটা আসে শহীদ হবিবুর রহমান হল থেকে। এর কোন প্রতিকার হয়নি। এই আক্রমনণ তারা লোহার রড, বৈদ্যুতিক ক্যাবল, গাছের ডাল ব্যবহার করে। পরে শোনা যায় (এক পরিিচত ছাত্রের কাছে শোনা যে ওই হামলায় অংশ নিয়েছিল) তাদের কাছে মেশিনও ছিলো!

২০০১ এর শুরুর দিকে বা ২০০০ সালের শেষের দিকে যে মেহের চণ্ডী ট্রাজেডি ঘটেছিল তার মূলেও রয়েছে শিবির। কারণ তারা স্থানীয় এক যুবলীগ/আওয়ামীলীগ নেতার জন্য ওই এলাকায় নিজেদের প্রভাব বলয় বিস্তার করতে পারছিল না। ওই নেতা আবার রাবির কর্মচারীও ছিল সে সময়। এই তথ্যটি এক বন্ধুর কাছে শোনা, যে কিনা ছাত্রাবস্থার প্রথম দিকে শিবির করতো এবং সেই ঘটনায় মারামারি করতে গিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ
বিপন্ন করে তুলেছিল। পরে সে শিবির করা বাদ দিয়ে ভালোভাবে লেখাপড়া শেষ করে এখন চাকরি করছে।

ফোকলোর বিভাগের প্রথম ব্যাচের এক ছাত্রকে মাদারবক্স হলের ছাদে নিয়ে গিয়ে মারপিট করা হয়েছিল। মনে আছে তো? তার কী অপরাধ ছিল ভাই খান সাহেব? এমন বহু ছাত্র অকারণেই মার খেয়েছে শিবিরের হাতে, এখনও খাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন হলে ছাত্রদের মার খাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেগুলো তারা প্রকাশ করে না। তাদের নিকট বন্ধুরা জানে।

শুধু শিবিরের ছাত্র কর্মীরাই নয়। এর সমর্থ যে শিক্ষকরা আছে তারাও এক একটা ত্রাস। ভাবুন যে বৈশাখী উৎসবের প্রস্তুতিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক তারই ছাত্রদের দিকে রামদা নিয়ে তেড়ে গিয়েছিল। প্রমান দেব। এমন অনেক ঘটনা আছে।

মাদকদ্রব্য সম্পর্কেও অনেক ঘটনা আছে।

শুধু শিবিরের দেষইবা দেই কেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তারাই তো মেরুদণ্ডহীন। এদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যাবহার, অর্থতসরূপের দায়সহ নানান কাহিনী রয়েছে। তো এরাই প্রমোশনের জন্য শিক্ষককে খুন করবে যে কিনা তারই ডিরেক্ট শিক্ষক। সমস্যা কী।

আরো অনেক কথা আছে...

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৭
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×