আমার বগুড়া থেকে গিয়েছিলাম দিনাজপুর হিলি বডার। বডার পার হয়ে পশ্চিম বঙ্গের মালদা তারপর কলকাতা। কলকাতা থেকে উড়োজাহারজে মুম্বাই। এটাই অবশ্য আমার জীবনের প্রথম উড়োজাহারজে চড়া। তারপর মুম্বাই থেকে আবর উড়োজাহারজে দিল্লি। দিল্লি থেকে একটা প্রাইভেট জিপে ভারতের হারিয়ানা প্রদেশের শিমলা শহরে।
শিমলা খুব সুন্দর শহর। সম্পূর্ণ শহর পাহারে। ভূ-পৃষ্ট থেকে প্রায় ৭২০০ ফুট উপরে অবস্থিত। এই শহর পুরোটা ঘিরে ভ্রমন কারি দের জন্য ছোট বড় ও ফাইভ ষ্টার হোটেল দিয়ে ভড়া। শিমলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে কুরফি নাকম একটা জায়গা আছে, এখানে ভ্রমন কারীদের জন্য পাহারে ওঠার ব্যাবস্থা আছে। এখানে য়ে পাহার তার উচ্চতা প্রায় ৯৫০০ ফুট এর এই পাহারের সামনে একটা পাহার যেটার উচ্চতা প্রায় ১১০০ ফুট এবং এটাই এখান কার সবচেয়ে বড় পাহাড়। এই পাহাড়ের চুড়ায় একটা মন্দির আছে। সেই মন্দিরে যেতে হলে প্রথমে ৯০০০ - ৯৫০০ ফুট এর জন্য রাস্তা ও যানবাহন পাওয়া যায় তারপার পায়ে হেটে যেতে হয় এবং পায়েহেটে যেতে প্রায় ৩ দিন সাময় লাগে। আমার যখন কুফরি তে পৌছালাম তখন আমার মনে ভরে গেল । আল্লাহ তায়ালার এত সুন্দর সৃষ্টি যা না দেখলে উপলব্ধি করা যায় না। চারিদিকে শুধ্র পাহার আর পাহার। পেছনে চীনের তিব্বত আর নিচের দিকে আপেলের গাছ। আমরা যে পাহারে অবস্থান করছি সে পাহারের উচ্চতা প্রায় ৯৫০০ ফুট, ভাবতে অবাক লাগে। মনে হয় যেন স্বপ্ন দেখছি। আমর মনে হয় এট এলাকার মানুষের কখনও মন খারাপ থাকেনা। কারন এখানে এলে, প্রকৃতি দেখতে থাকলে সব কিছু ভুলে যাওয়া যাবে। আর সেই প্রকৃতির টান আমার মনে এখনও দোলা দেয় আর মনে হয় আমি যেন সেই শিমলার স্মৃতির ভেতরে পাহার ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে চলে গেছি।
আমি কখনও সেই সুন্দন পাহারী সৌন্দর্য্য ভুলতে পারবোনা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৮