খুব ইচ্ছে হয়
তোমার হাত ধরে
হেঁটে আসি শিশিরভেজা
নরম দূর্বাঘাসে
ছোট ছোট পা ফেলে
এগিয়ে যাবো সীমান্ত পর্যন্ত।
দেখবো পাশাপাশি বসে
অস্তাচলগামী সূর্যকে
মুখ লুকাতে পাহাড়ের আড়ালে
তার লজ্জার রঙ ধরবে
আকাশের গায়ে।
দেখবো ঘন নীল জলরাশির
শেষ সীমান্ত থেকে
উঁকি দিতে আবার
নবীন সূর্যকে
যেন ফিরে আসার লজ্জায়
রাঙা হয়ে আছে সে।
সেই লজ্জার রঙ ছড়িয়ে দিয়েছে
প্রেয়সী আকাশের বুকে,
তার প্রতিবিম্ব সাগরের
অসীম গভীর জলরাশিতে।
ইচ্ছে হয় যাবো গভীর অরন্যে।
পাতার ঝরে পড়ার
একটানা শব্দ যেখানে।
নিবিড় পাতাগুলোর ফাঁক দিয়ে
স্থান করে নিচ্ছে সূর্যালোক,
তার কিরণ পাতা চিরে
নেমেছে ঝরে পড়া
শুকনো পাতার বুকে।
শব্দ তুলে হেঁটে যাবো
শুকনো পাতার ওপর দিয়ে।
হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে
শুনবো পাখির ডাক-
‘দেখো, দেখো, ঐ কি
বউ কথা কও,
নাকি পাপিয়া?’
ইচ্ছে হয় নির্জন গম্ভীর দুপুরে
স্বচ্ছ দীঘির জলে
নিজের মুখ দেখি মুগ্ধ হয়ে।
আঙুল ছুঁইয়ে জলে,
ভেঙে দিই প্রতিবিম্ব।
আবার মিলেমিশে গড়ে দেবে সে
মুখাবয়ব আমার।
ঘুঘুর ডাকে মোহভঙ্গ হবে
চোখ তুলে দেখবো
পেছনে তুমি দাঁড়িয়ে,
চমকে দেবার অভিপ্রায়ে
নীরবে হেসে ধরবে হাত।
নেমে যাবো স্বচ্ছ
শীতল দীঘির জলে-
‘ডুব সাঁতারে কতদূর
পারবে যেতে?’
তারাভরা রাতে,
ইচ্ছে হয় খোলা ছাদে
শীতল পাটি বিছিয়ে
বসি পাশাপাশি,
তুমি কত কাছে আমার!
‘কি দেখছ আকাশে?’
‘দেখছি মিলিয়ে চাঁদের সাথে
চাঁদের মুখ।’
‘আমার দিকে দেখো।’
‘গান শোনাও তবে।’
‘সেকি! আমি যে জানিনা!’
‘খুব জানো।’
আমার কোলে
রাখবে তোমার মাথা।
আঙুল বুলিয়ে চুলের ভেতরে-
ফিসফিস করে বলবে,
‘তোমাকে ভালবাসি।'
- Collected