somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রচনা (কুমির)

১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোরবান স্কুলে পড়ে। ক্লাশে তার পারফর্মেন্স খুবই ভালো। তবে একটা সমস্যা আছে। বাংলা টিচার তাকে যে রচনাই লিখতে দিক না কেন সে কুমিরের রচনা লেখে। তার মনে হয় ঐ একটাই রচনা ভাল করে মুখস্ত করা আছে।

একদিনের ঘটনা-
স্যার ক্লাশে গরুর রচনা লিখতে দিয়েছে। কোরবান লিখেছে-

" গরু একটি উপকারী প্রাণী। গরুর দুটি পা, দুটি লেজ, আর একটি কান আছে। ঘাস গরুর প্রধান খাদ্য। তাই বলে কেউ গরুকে ঘাস খাওয়াতে নদীর ধারে বেঁধে রাখবেন না। কেননা নদীতে কুমির আছে।

আমরা জানি কুমির একটি হিংস্র প্রাণী। কুমিরের চারটি পা, একটি লেজ এবং মুখ ভর্তি ধারালো দাঁত আছে। সারা গায়ে কাটা কাটা কাটা...... ইত্যাদি ইত্যাদি। "

যদি এইটুকু ঘটনা হতো তাহলেও টিচার অতটা বিরক্ত হতো না। কিন্তু আরেকদিন টিচার লিখতে দিয়েছে বাড়ির রচনা। কোরবান লিখলো-

"বাড়িতে আমরা মা-বাবা, ভাই-বোন নিয়ে বসবাস করি। বাড়ি আমাদের নিরাপদ আশ্রয়। তাই নদী-নালার ধারে বাড়ি বানানো উচিৎ নয়। কেননা-নদীতে কুমির আছে।

আমরা জানি কুমির একটি হিংস্র প্রাণী। কুমিরের চারটি পা, একটি লেজ এবং মুখ ভর্তি ধারালো দাঁত আছে। সারা গায়ে কাটা কাটা কাটা...... ইত্যাদি ইত্যাদি। "

নিত্য কোরবানের এহেন আচরণে টিচার খুবই ত্যাক্ত-বিরক্ত। তাই তিনি ঠিক করলেন কোরবানকে এমন একটি রচনা লিখতে দেবেন-যেখানে সে যেন কোনভাবেই কুমির প্রসঙ্গ আনতে না পারে। তো অনেক চিন্তা ভাবনার পর টিচার তাকে রচনা লিখতে দিলেন- রচনার বিষয়বস্তু-- পলাশীর যুদ্ধ।

কোরবান লিখলো-

" ভূমিকা- পলাশীর যুদ্ধ বাংলার ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এই যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার বাহিনী ইংরেজ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয় এবং বাংলা পরাধীন হয়ে পড়ে। বিশাল আকারের নাবাব বাহিনীর জন্য এই যুদ্ধ জয় করা কোন ব্যাপারই ছিল না। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে নবাব সিরাজউদ্দৌলা মীর জাফরকে বিশ্বাস করে যেন খাল কেটে কুমির ডেকে আনলেন।

আমরা জানি কুমির একটি হিংস্র প্রাণী। কুমিরের চারটি পা, একটি লেজ এবং মুখ ভর্তি ধারালো দাঁত আছে। সারা গায়ে কাটা কাটা কাটা...... ইত্যাদি ইত্যাদি। "













-সংগ্রহ ফ্রম- ডোনা

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৮
১১টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যমদূতের চিঠি তোমার চিঠি!!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮

যমদূতের চিঠি আসে ধাপে ধাপে
চোখের আলো ঝাপসাতে
দাঁতের মাড়ি আলগাতে
মানুষের কী তা বুঝে আসে?
চিরকাল থাকার জায়গা
পৃথিবী নয়,
মৃত্যুর আলামত আসতে থাকে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে
স্বাভাবিক মৃত্যু যদি নসিব... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×