কথা আসলে বলছিলাম রাজনীতিবিদদের বিদেশে চিকিৎসার জন্যে গমন কতটা নৈতিক - সেই প্রসংগে। বাংলাদেশের প্রথম সারির চারটা দলই কোন না কোন সময় ক্ষমতায় ছিলো। এদের নেতারা কি জানতেন না উনারা একসময় অসুস্থ হবেন - কমপক্ষে তাদের নিজেদের চিকিতসার জন্যে দেশে একটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। উনারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সরকারী অর্থে বিদেশে গিয়ে চিকিতসা করান আর ক্ষমতা থেকে চলে যাবার পর লুটপাটের অর্থ দিয়ে উন্নত চিকিতসার জন্যে বিদেশে যান। কিন্তু আজ পর্যণ্তও বাংলাদেশের শতকরা আশি ভাগ মানুষ নূন্যতম চিকিতসার সুযোগ পাবার মতো অবকাঠামো বা সুযোগ তৈরী হয়নি। এই ব্যর্থতার জন্যে কি উনারা লজ্জিত? মনে হয় না।
তারপরও দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে না হয় হাসিনা-খালেদার জন্যে বিশেষ বিবেচনা করা যেতে পারে - কিন্তু তাদের ছেলেমেয়েও কোন হিসাবে বিশেষ বিবেচনার দাবী করে? দেশের জন্যে তাদের কোন অবদানটা আছে? একজন সাধারন কয়েদী যদি আর্থাইটিসে ভোগে তাহরে তাকে হ্যান্ডকাফ বেঁধে পুলিশসহ মেডিকেলের সাধারন বেডে শুয়ে থাকতে হয় - দেখা যায় হয়তো সেই কয়েদি কয়েক হাজার টাকা চুরি করেছিলো। আর তারেক হাজার কোটি টাকা লুটপাট করার পর তাকে বিশেষ বিবেচনায় বিদেশে পাঠানোর জন্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উৎসাহী কথা শুনে সত্যই অবাক হলাম। কবে দেশের বিচার সবার জন্যে সমান হবে? কবে আমরা সামন্ততান্ত্রিক চিন্তা থেকে বেড়িয়ে আসবো?
আরো অবাক হলাম বাংলাদেশের সংবাদপত্র আর টিভি চ্যানেলগুলোর ভুমিকা দেখে। আমাদের সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান যেভাবে তারেকের মুক্তির জন্যে মুক্তকচ্ছ হয়েছেন - মনে হচ্ছে উনি শফিক রেহমানের ভুমিকায় নিজেকে দ্রুতই বসাতে স্বক্ষম হবেন। কিভাবে একটা শিশুকে রাজনীতির দাবার গুটি হিসাবে ব্যবহার করছেন এরা - সত্যই লজ্জাজনক।
সরকারের পদক্ষলন হয়েছে - হয়তো আরো তলিয়ে যাচ্ছে এই সরকার। আর বিগত দেড়বছর ঘাপটি মেরে বসে থাকা দূর্বিত্তের দল আবাররো স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে - কোথা থেকে শুরু করবে। দেখেশুনে মনে হচ্ছে - পিতার পরিচয়েই যথেষ্ঠ বাংলাদেশে - হাজার কোটি টাকা লুটপাটের পরও তার মুক্তিই এখন বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যা।
অবাক বাংলাদেশ - অবাক তার রাজনীতিবিদ আর তাদের উত্তরাধিকার - তারচেয়েও অবাক সুবিধাবাদী সংবাদ মাধ্যমগুলো।
বিশেষ দ্রষ্ঠব্য - জামায়াত নামে আরেকটা ফ্যাসিস্ট দল - যারা নিজেদের ইসলামের রাজনীতির ঠিকাদার হিসাবে দাবী করে তারা তাদের দূর্নীতিবাজ নেতার মুক্তির জন্যে ভারপ্রাপ্ত আমির রাজাকার ইউসুফকে সৌদী আরব পাঠিয়েছে আর আরেক রাজাকার কামরুজ্জামান আমেরিকায় বিভিন্ন জন্যে কাছে ধর্না দিচ্ছে। এদেরও খুঁটির অবস্থানটা কোথায় - বুঝতে পারেন কি?
ঈশ্বর বাংলাদেশের সহায় হোন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০০৮ সকাল ৯:৪৪