গতকাল শ্বাশতের জন্য বিকল ৪টার দিকে বসুন্ধরায় গিয়ে হাজির হলাম। চেষ্টা করলাম অন্তত কিছুটা সময় হলেও সত্যের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে। রাত ৮:২৬ মিনিটে য়াজাদ ভাই যখন হিসাব ক্লোজ করলেন- তখন তার অনুমতি নিয়ে আমি আর বৃত্তবন্দী বিদায় নিলাম।
ফিরতি পথে বাসের টিকেট কেটে বাস পেতে সময় লাগলো আরও প্রায় ১ ঘন্টা। বাদঁর ঝোলা হয়ে আমি আর বৃত্তবন্দী বাসায় ফেরার পথে কয়েক বার অসহনীয় জ্যামের মধ্যে পরেও মনের মধ্যে কোন প্রকার বিরক্তি লাগলো না।
শ্যামলীতে বৃত্তবন্দী নেমে গেল। আমার বাসায় পৌছাতে পৌছাতে রাত প্রায় ১০:৫০ মিনিট বেজে গেল। যথাযথ নিয়মে লোডশেডিং চলছে।
অন্ধকারে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে হাঁড়ির খবর নিতে গিয়ে দেখলাম- হাঁড়ি-পাতিল সব উল্টো করে রাখা।- মানে-বুয়া আজকে রান্না করেন নাই।
অন্যান্য দিনের মতো আজকে আমার কষ্ট লাগলো না।
কারন খুজে পেলাম-
বিকালে বসুন্ধরায় না গেলে হয়তো বাজার থেকে চালডাল কিনতে পারতাম-বুয়া হয়তো রান্নাও করতো।
আমার এই রাতটা না খেয়ে কাটানোটার মধ্যে কোন কষ্ট লাগলো না।
লোডশেডিং এর কারনে রাত প্রায় ২ টা পর্যন্ত শ্বাশত কে নিয়ে উথাল পাথাল ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম- টেরই পেলাম না।