ব্লগার তুষারকে চাংগি এয়ারপোর্টে তুলে দিয়ে এলাম। সিড্নি থেকে ও এসেছিল ২০ ঘন্টার জন্য সিংগাপুরে। এখন বাংলাদেশে যাবে। দু সপ্তাহর মতো থাকবে দেশে তারপর আবার চলে যাবে সিড্নি। ওকে নিয়ে আজ সারাদিন ঘুরলাম। ওকে নিয়ে কিছু কথা বলার জন্যই আজ আপনাদের মাঝে এলাম।
"তুষার" যাকে আমরা বলতাম হেডুর নাতি। কারন ওর নানা ছিলেন আমাদের স্কুলের হেড স্যার। যখন সে অস্টম শ্রেনীর ছাত্র একদিন দেখি ও একটা বই পরছে। প্রশ্ন করে জানলাম ওটা ও বৃটিশ কাউন্সিল থেকে এনেছে পড়ার জন্য। সেই আমলের একটা অস্টম শ্রেনীর ছাত্র বৃটিশ কাউন্সিল কি তাই জানতো না। আমি নিজেও জানতাম না। পরে ওর কাছ থেকেই পরবর্তিতে জানলাম বাংলা মটরের কাছে কে একজন আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ নামে একজন স্যার আছেন তিনি একটা পাঠাগার খুলেছেন।ওখানে নাকি সাহিত্যের আসর ও বসে।পরে একা একা কত গিয়েছি স্যারের ওখানে। বই এনে পরতাম ওখান থেকে। পরার শেষে আলচনা পর্ব যা ছিল খুবই মজার। জানি না এখনও হয় কি না.......
মূল বিষয়ে আসি। ইন্টারমিডিয়েটের পর তুষার চলে যায় নিউইর্ক। ওখানে পড়াশুনা শেষ করে কিছুদিন চাকরিও করেছিল। বিয়ের পর এখন সিডনিতে সপরিবারে বসবাস করছে।পেশায় কম্পিউটার প্রকৌশলী। নিজস্ব সফ্ট ওয়ার এবং ওয়েব ডেভলাপ -এর ব্যবসা। অনেক নামি -দামি শহরে ওর অফিস। TechAnts নামে পরিচিত ওর প্রতিষ্ঠান।
অনেক স্বপ্ন ওর বাংলাদেশ কে নিয়ে। চেষ্টা করে যাচ্ছে কিছু করার জন্য। বিশ্ব মানচিত্রে আমাদের দেশের দূর্নাম যেমন আছে তেমনি কিছুটা হলেও সুনাম ও কিন্তু আছে। দুইবার নোবেল বিজয়, ক্রিকেট খেলায়, বস্ত্র শিল্প রপ্তানি এবং ইদানিং কালে আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ তৈরী একেবারে ফেল্না নয়। সম্ভবনা এখনও আমাদের আছে অনেক কিছু করার।শুধু দরকার কতৃপক্ষের সহযোগিতা।
এমনি অনেক তুষার আছে পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। যারা আমাদের দেশকে সমৃদ্ব করতে সহযোগিতা করতে পারে। তাদের সকলের উদ্দেশ্যে শুধু একটা কথাই বলতে চাই যে যখানেই থাকুন না কেন যদি দেশের জন্য কখনও কিছু করার সুযোগ আসে তবে মুখ ফিরিয়ে নিয়েন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০০৮ সকাল ৯:০১