ঢাকার রাস্তায় এখন ছিনতাইকারীদের রাজত্ব চলছে। সরকার ব্যস্ত বড় বড় বোয়াল মাছ ধরায়। আর সেই সুযোগে ছিনতাইকারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে অবাধে। আর তাছাড়া সরকারের চিন্তা নির্বাচন। এসব ছোটখাটো বিষয়ে কে নজর দেন! গত ছয় দিনে আমার পরিচিতদের মধ্যে চার জন ছিনতাই এর কবলে পড়েছেন। তার মধ্য দুটি উল্লেখ করতে পারি।
১. গভীর রাতে ঢাকায় নিরাপদ বাহন হচ্ছে বাস। সি.এন.জি কিংবা টেক্সিকেব নিরাপদ নয়। কারণ অতীতে আমরা দেখেছি সি.এন.জি এবং টেক্সিকেব চালকেরা ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত। তাই ভেবে আমার এক মামা গ্রাম থেকে রাত ১২ টায় সায়দাবাদ নেমে বাসে চড়লেন নিরাপদ ভাবে বাসায় পৌছাবেন ভেবে। কিন্তু বাস, হোটেল শেরাটনের সামনে আসতেই দেখা গেলো যাত্রী বোঝাই বাসটিতে যাত্রী মাত্র ৬ জন। আর বাদ বাকী সবাই ছিনতাইকারী। তখন যা হবার তাই হলো। বাসের দরজা বন্দ করে ৬ যাত্রীর কাছ থেকে সব কিছু নিয়ে বাস থেকে কাওরান বাজার নামিয়ে দিল। নামানো আগে সবার চোখে দিয়ে দিলো মরিচের গুড়া। এই কাজটি করা হয়েছে, কারন, বাসের নম্বর যাতে ট্রেস না করতে পারে।
২. দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে আজ। আর তা আমার বোনের সাথে। আই.ডি.বি ভবনের সামনে থেকে একদল ছিনতাইকারী মোবাইল এবং হাতের রিং নিয়ে যায়। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে। তার কিছু সামনেই পুলিশ ছিল। কিন্তু তারাও যেন অসহায়।
তাই বলি সাধু সাবধান। ঢাকা এখন নিরাপদ নয়। ঢাকার রাস্তা এখন আর রাজনৈতিক দলের দখলে নেই। এখন ঢাকার রাস্তা ছিনতাইকারীদের দখলে।