চট্টগ্রাম শাহীন কলেজে পড়ার সময় নবীন বরন অনুষ্ঠানে আমাকে না জানিয়েই উপস্থাপক হিসেবে আমাকে সিলেক্ট করল। অথচ আরও অনেকেই ছিল করার মত। আমি লজ্জায় প্রথমদিন রিহার্সেলেই যেতে পারিনি। পরদিন বন্ধুরা ধরে নিয়ে গেল। 'আগুনের পরশমনি ছোয়াও প্রানে' - এই গানের সাথে আমার আবৃতি একটা নতুনত্ব আনল। কিন্তু তারপর আমার সমস্যা এই হল যে প্রত্যেক টিচার ক্লাসে আমার পড়া ধরত। আমার ছবি তোলার জন্য যে ছেলেকে ক্যামেরা দিয়েছিলাম পরে দেখলাম সব ছবি তার গার্লফ্রেন্ডের।
হালিশহরে যখন অনুষ্ঠান করলাম তখন আমি এ সম্বন্ধে কিছুটা জানি। এত মানুষ প্রোগ্রাম দেখল যে এরপর থেকে এলাকায় আমরা হিরো হয়ে গেলাম। এই উৎসাহে পরের বছর আবারো প্রোগ্রাম করলাম। এইটাতে আমার কাজ এতই খারাপ হল যে এরপর থেকে আর কোনদিন প্রোগ্রাম করার নাম নেই নাই। তখন চট্টগ্রামের অনেকেই চট্টগ্রাম টিভিতে প্রোগ্রাম করতে বলত। কিন্তু আমি আর সাহস করি নাই। আমার উপস্থাপনা করার সেখানেই ইতি।
আফসোস অনুষ্ঠানের ছবিগুলো সংগ্রহ করি নাই।
(নিজের যে ঢোল বাজালাম তার শব্দে কেউ বিরক্ত হলে দুঃখিত।)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৩৭