গত ২৯শে মে তার সুন্নতে খৎনা দিয়ে দিয়েছি। অপারেশন করেছে ওর এক দাদা। ব্রাইটন হসপিটালে অপারেশন করিয়েছি। কিন্ত কোথায় সে একটু শুয়ে রেষ্ট নিবে তা না। পুরো বাড়ী চড়ে বেড়াচ্ছে। ওর দাদীকে ধরে ধরে শুধু মারছে। ওর দাদী বাংলাদেশের বাহিরে থাকেন। কিছুদিন আগে এখানে এসেছেন। আবার কিছুদিন পরেই চলে যাবে। তাকে সারাদিন মারছে। নো কম্প্রোমাইজ।
জানালার গ্রীল ধরে উপরে উঠে যাচ্ছে। সে যদিও প্যান্ট পড়তে পারছে না এখন। তবুও দুই পা ফাঁক করে জোরে দৌড় দিচ্ছে। সীমা ছেড়েছে তার সব দুষ্টুমী। কেউ কিছু বললে, তাকে বলছে, "এদম টুপ"। মানে 'একদম চুপ'। তবে আমাকে কখনই বলে না।
সবসময় হাতে বই নিয়ে থাকে। ছবির বই পশুপাখির ছবি ওয়ালা। ওটা ভেজে খেয়েছে। তবুও ছাড়ে না। আরো বই আছে সেটাও নিবে না।
সারাদিন ওর মাকে জ্বালায়। কাজ করতে দেয় না। ওর নেশা শুধু গাড়ী আর গাড়ী। গাড়ী ছাড়া আর কিছুই বোঝে না। খেলনা গাড়ী কিনে দিলে সব চুপ। ইদানিং খুব জেদ করে।
সবসময় হাতে একটা মোবাইল রাখে। আমাকে অফিসে ফোন করে মোবাইলে। প্রতিদিন এক কথাই বলবে, "বাবা, ভালো আতি। চিন্তা কনোনা।"
আমি বলি, তোমার বিড়াল কোথায়?
"বিড়াল বাথায় (মানে বাসায়) গে (মানে গেছে), আমাকে বিড়াল আদর করে, তুমু (চুমু) দেয়।"
ওর মা ওকে রাতে ঘুম পাড়াতে পারে না। ওর মায়ের কাছে কিছুতেই ঘুমাবে না। আমি প্রতিরাতে ওকে ঘুম পাড়াই। আমার কাছে শুইয়ে ওর পিঠ চুলকিয়ে দেই, ও ৫ মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে যায়। তারপর বাড়ীটা একটু ঠান্ডা হয়।
আরো অনেক দুষ্টুমী আছে। অন্যদিন শেয়ার করবো।
আপনার সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।
ছবি:
১ম ও ২য় ছবিটি আজ থেকে ঠিক এক বছর আগের।
৩য় ও ৪র্থ ছবিটি গত জানুয়ারী মাসে কক্সবাজারে তোলা