হালং বে
কক্সবাজার
প্রাকৃতিক ও সরকারী সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের ক্ক্সবাজার-সুন্দরবন। এদেরকে সব বাংলাদেশীরই ভোট দেওয়া উচিত। পুলিশেও দিছে। আজকে গাজীপুরবাসী দিবে।
দুনিয়ার সব পিপল যদি খালি নিজের দেশের জিনিসপাতিরে ভোট দিয়া বেড়ায় তাইলে আর এর নাম প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচন দরকার কী? দেখা যাবে যেই দেশে লোক বেশি সেই দেশের সপ্তাশ্চর্য বেশি।
এই সংখ্যাগুরুর হকিকতে দুনিয়ার কত আশ্চর্য সুন্দর যে ভোট না পাওয়ার কারণে পিছনে পইড়া থাকবে, আর গরিব দেশে পর্যটক আকর্ষণের তাড়নায় সরকারী-বেসরকারী আশ্চর্যপূজারীরা উইকিপিডিয়ায়, পুলিশ প্রসাশনে, পত্রিকায়, গাজীপুরে ভোটকেন্দ্র বসাইবে তাতে আর আশ্চর্য কী! আল্লা, তুমি তোমার আশ্চর্যরে রক্ষা কইরা যাইও। বরফ গলতেছে। আশ্চর্য বাইরাইয়া যাবে!
২.
হালং বে যে এখনও আশ্চর্য তালিকায় এক নম্বরে আছে তাতে আমি খুশি। এরও কারণ, ভিয়েতনামের গরীব দেশপ্রেমিকরা। আশ্চর্য দেইখা যারা মুগ্ধ হন তারা অত ভোটের ব্যবসা করেন না।
যারা ভাবছেন ১ নম্বর ২ নম্বরে আইলেই কক্সবাজার বা সুন্দরবনের অবস্থা বদলাইয়া যাবে, আমিও তাদের দলে। দোয়া করি, তাই হোক। আমাদের পর্যটন শিল্প খালি ভোটের উপরে দাঁড়াইয়া না থাকুক।
৩.
অনেকদিন ভোট দিতে না পারার কষ্টে ব্যাকুল বাংলাবাসীদের আত্মা ও বাক্সের অন্তত কিছুটা শান্তি হইল। এরপর আশ্চর্য দেখতে আসা পর্যটকদের কক্সবাজারের বালু খাইতে দিয়েন...সদাশয় ভোটদাতারা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০০৮ সকাল ১১:২২