somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

(এই মুহুর্তে) ব্রেন সেল এর বিষয়বস্তু

২৩ শে মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার সময় এক ঘন্টার কয়েক মিনিট কম, তাই মন খুব তাড়াতাড়ি চিন্তা করতে চাচ্ছে আর হাত আরোও দ্রুত লিখতে চাচ্ছে। এই চেনা খাতার পৃষ্ঠা অনেকদিন উল্টে পাল্টে দেখিনি বলে চোখ তাড়াহুড়ো করে তৃষ্ণা মেটাতে চাচ্ছে। তাই একটা ভাবনা আরেকটার ওপর গড়িয়ে অতীত হওয়া ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টারের মতো উঁচু কোথাও থেকে লাফ দিচ্ছে। আর আমি তাদের বাঁচানোর জন্য খুব চেষ্টা করছি, যদিও খালি মনে হচ্ছে এক একটা চিন্তা আস্তে আস্তে হাতের ফাঁক গলে চুপিচুপি মাটি ছুঁয়ে ফেলছে। তাই একদম প্রথম থেকে শুরু করি, যেন আর একটাও হারিয়ে না যেতে পারে।

১। আগামি বুধবার রস্ট্রাম পাবলিক স্পিকিং কম্পিটিশনের দ্বিতীয় রাউন্ড। বেশ গর্ব হচ্ছিলো, কারন, এই প্রথম পাবলিক স্পিকিং-এ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। কিন্তু এখন খুব ভয় লাগছে। পৃথিবীতে তেলাপোকার পর যে জিনিষটা সবচেয়ে বেশি ভয় করি সেটা হচ্ছে লজ্জা। তবুও কোন না কোন ভাবে সেটা আমার পেছনে লেগে থাকার উপায় খুঁজে বের করবেই! বুধবার অচেনাদের মাঝে একবার না একবার হয়তো জিভে গিট্টু লেগে যাবে। বা একটা শব্দ বলতে গিয়ে আরেকটা বলে ফেলবো। গত বুধবার ছিলো শিক্ষক-অভিভাবক দিবস। আমি কেমিস্ট্রির টিচারকে জিজ্ঞাসা করতে গেলাম আমার র‌্যান্ক কি। মনে মনে ভাবছিলাম, ক্লাসের র‌্যান্ক হলে বেশি কিছু বোঝা যাবে না, আরও বড় পরিসর লাগবে।

"So, what would be my ranking in the world?"

"In the world?"

"Oops."

কিছু বোঝার আগেই মুখ থেকে বের হয়ে গেলো, কি করবো? :|

২। শিক্ষক-অভিভাবক দিবসে আরো অনেক কিছু জানলাম। যেমন, Parent-Teacher Interview এর বাংলা হচ্ছে শিক্ষক-অভিভাবক দিবস। বাংলাদেশে সবাইকে এ দিনে ডাকেনা, শুধু যাদের সমস্যা আছে তাদের ডাকে। আরও জানা গেলো, আমার সৃষ্টশীলতা (বানানটা ভুল হলো?) 'এভ্যারেজ' (আমার ইংলিশ টিচার ঠিক এ শব্দটা ব্যাবহার করেছে)।

৩। সব সাইকোলজিস্টটা বুদ্ধিমান হয় না।

৪। আমি এখন একটা বই পড়ছি ইংলিশের জন্য। '"Extremely Loud and Incredibly Close". এই লেখাটা শেষ হলে, একঘন্টা পার হলে, বাঁধ ভাঙার আওয়াজ আবার বাঁধের ভেতর ঢুকে পড়লে, বইটাকে ফেসবুকের ফেভরেট বুকসে ঢোকাতে হবে। এই একটা বই পড়েই বুঝতে পারছি কেন আমার ক্রিয়েটিভিটি 'এভারেজ' হওয়ার উপাধি পেলো।

৫। আজকে একটা জিনিস বুঝতে পারলাম। মেডিসিনে চান্স পাওয়া যত কঠিন হবে ভেবেছিলাম আসলে ঠিক ততটা কঠিন না। আর যাদেরকে অনেক পাররর-ফেক্ট মনে হতো তারা আসলে ততটা পাররর-ফেক্ট না।

৬। পাররর-ফেকশন নিয়ে একটা গান মাথায় এসেছে। গানটাতে ঠিক এভাবে বলে, ইউ আর পারর-ফেক্ট।

"Stay forever who you are
Don’t change a thing
Cause you’re perfect

You sway, gently in the breeze
In between my dreams
It kinda makes me nervous

You storm, in the lightning striking down
To only strike me once
But still be worth it"

আচ্ছা, একটা মানুষ কিভাবে পারর-ফেক্ট থাকে? কে যেন বলছিলো, যখন কেউ মনে করে তাদের আরও ওপরে ওঠার দরকার নেই, ঠিক তখন থেকেই তারা আস্তে আস্তে পিছলে নিচে নামতে থাকে।

৭। আজকাল কেন যেন আমার পা সবসময় ঠান্ডা থাকে। প্রতিদিন সকালে জুতা মোজা ও সূর্য্যকে সম্বল করে হাঁটা শুরু করি। রাতেও বাসায় মোটা বুট জাতীয় স্লিপার পরে থাকি। তারপর কম্বল দিয়ে আরও শক্ত করে মুড়ে রাখি। তবুও সারাক্ষন ঠান্ডা হয়ে থাকে। চামড়ার ভেতরে মনে হয় ঠান্ডা-ভুত মজার কিছু দেখতে পেয়েছে। শত টানাটানি করলেও বের হওয়ার নাম নেবে না!

'সাত' এর সাথে ভাগ্যের কি সম্পর্ক জানিনা, তবে দিন, রং ও বামুনগুলো এ সংখ্যাটাকে অন্যদের থেকে একটুখানি আলাদা করে ফেলেছে। তাই সব জায়গায় আজকাল 'সাত' ব্যবহার করি। কালকে মারিসার সাথে অনেক, অনেকদিন পর কথা হলো। একটুও পাল্টালো না। আমাকে বলে, আমার সাথে কথা বলে ভালো লাগছে, কারন, আমার মতো করে আর কেও কথা বলে না।
আমি: ইস দ্যাট আ গুড থিং অর আ ব্যাড থিং?
সে: ইট মিনস নো ওয়ান ক্যান এভার টেক ইওর স্পট।

এজন্যই মেয়েটাকে এত্তো ভালোবাসি। আর কয়জনের হৃদয়ে পার্মানেন্ট জায়গা নিয়ে বসে আছি? ঐ অল্পসংখ্যক মানুষগুলোর সবাইকেই খুব ভালোবাসি।

আমার আরও অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছা করছে। চোখের তৃষ্ণা মেটেনি, তবুও সে ঘুমের ঔষধ খেয়ে ফেলেছে। আর আঙ্গুলগুলো কীবোর্ডের ড্যান্সফ্লোরে নাচতে নাচতে ক্লান্ত পড়ছে। আর ভাবনাগুলো ঘুরতে ঘুরতে পথ হারিয়ে ফেলেছে।

ছবি: ব্যাকইয়ার্ড, ১৬/০৪/০৮।
লেখা: রাম্পাস, বাসা, ৯.৪৫ রাত, ২৩/০৫/০৮।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫০
১৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×