বিকেল প্রায় হয় হয়। মিরপুরে নিজের বাসার বেডরুমে শুয়ে ড়াশু আনমনে কাল রাতের আধখাওয়া মোসলেম বিড়ি টানছে এবং মাঝে মাঝে জনালা দিয়ে সতৃষ্ন নয়নে রাস্তার পানে দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে।ডাকওয়ালার আসতে আর দেরী নাই।আজ দুইদিন হতে ড়াশু এই প্রকার সপ্রতীক্ষ, কারন এখনও চিঠির উত্তর আসে নাই।
ডাকওয়ালা এসে একখান পত্র আর একটি প্যাকেট দিয়ে গেলো।হস্তাক্ষর অপরিচিত। গুলিস্তান পোষ্ট অফিসের সিল লাগানো।
খুশির চোটে ড়াশু লাফিয়ে উঠে "যৌবন আমার লাল টমেটো" গানের সাথে তার ক্ষীণ কোমড় দুলাইয়া দুলাইয়া নাচিতে লাগলো,কিন্তু কিছুক্ষন পর পুরোনো বাতের ব্যাথা চেগিয়ে উঠলে নাচ থামিয়ে,"হায় মেরা কমোড়"বলে চিৎকার করে সটান বিছানায় শুয়ে পড়লো।
চিৎকার শুনে ড়াশুর কাজের ছেলে ভিমা তার উকুনের অভয়ারন্য জট বাধা লম্বা বাবরী কেশ ঝাকাতে ঝাকাতে ছুটে আসলো,।ভিমা কে দেখে ড়াশু তার ৩৪ খানা দাত খিঁচিয়ে বললো,"হতচ্ছাড়া মুখপোড়া বলি ছিলি কোন চুলোয়?"।ভিমা তার মনিবের অগ্নিমূর্তি দেখে বলতে সাহস পেলনা যে সে এতক্ষন পাশের বাড়ীর পয়তাল্লিশ উর্দ্ধো কাজের বূয়া খচ্ছরী বেগমের সাথে প্রেমালাপে মগ্ন ছিলো।মুখে বললো জ্বে খালু এট্টু ঘুমাইতেছিলাম।ড়াশু পুনরায় তার দাত বের করে জ্বীহবা বের করে বললো, "অসময়ে আর ঘুমাতে হবে না মুখপোড়া ।যা গিয়ে আলমারী থেকে মঘা ঔষধালয় থেকে আনা বাতের ব্যাথার তেলটা গরম করে নিয়ে আয়।" এই বলে ড়াশু বিছানয় পাশ ফিরে প্রথমেই প্যাকেটখানা খুলল।ফটোগ্রাফ-৪৬-৪৬-৪৬ ফিগারের শার্ট প্যান্ট পরা ময়ুরীর ছবি।ড়াশু সতৃষ্ন নয়নে ছবিটির দিকে তাকিয়ে রইলো।মুখ, চোখ কমোর কি সুন্দর।ড়াশু মনে মনে বলতে লাগলো-'বাহবা কি বাহবা। বাহ্ রে বাহ্
ছবিখানা রেখে সে পত্রখানা খুললো।তাতে এইরূপ লিখা ছিলো: -
জনাব,
আপনার চিঠি পেয়েছি।আগামী শুক্রবার সন্ধ্যায় যদি আপনি আসেন,তাহলে উত্তম হয়।আপনার সাথে সাক্ষাৎ পরিচয় হলে তারপর অন্যান্য কথাবার্তা হবে।আমি গুলিষ্তান সিনেমা হলের সামনে লোক পাঠিয়ে দিবো আপনাকে সাথে করে নিয়ে আসবে।ঐদিন রাতে আপনি আমার বাসায় রাতে খেলে অত্যন্ত সুখী হবো।
ইতি,
আপনার নাদান ব্যাপারী।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৪০