somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গুরুর জ্বালা!

২২ শে মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কবি গুরু রবীন্দ্র সাহেব নারী মন বুঝতে পারছে না, এতে তিনি বেশ চিন্তিত। তিনি হাজার হাজার কবিতা লিখে ফেললেন মাগার তার মনের বেদনা কুনু নারীই বুঝবার পারলো না। তাই তিনি অবশেষে নারী ও পুরুষের...আসলে বেশ করে নারীর শরীরের বিভিন্ন বস্তু নিয়ে তিনি বেশ লাখ খানের কবিতা লিখে ফেললেন। কিন্তু নারীরা তাও তার মনের বেদন বুঝতে পারে না। এতে তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে নজরুলের কাছে গেলেন। নজরুল সাহেব আবার এই সব নারী বিষয়ক ক্যাচালে কম জড়াতে চান। তার পরেও কবি গুরু এসেছেন তিনি তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতেও পারছেন না। কিন্তু নজরুল সাহেব কি করে কবি গুরু কে ঠান্ডা করবে? কবি গুরুর একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে তিনি হীমসীম খাইয়া উঠলেন। পরে তিনি কবি গুরুকে বললেন "ওহে কবি কাটো তোমার দাড়ি, দাও পাড়ি সাত সমুদ্র তের নদী," কবি গুরু পাল্টা প্রশ্ন পাড়ি দিয়ে কুথায় যাবো? নজরুল সাহেব আবার বললেন "নস্ট লোকেদের দেশ লন্ঠন, সেখানে আছে এক পরী ডানা কাটা ডায়না পরী, সেই বুঝিবে তুমার মনের বেদন।" কবি গুরু দ্রুত নাপিতের কাছে গেলেন। নাপিত মশাই কবি গুরু কে একটু খোটা মেরে বললেন "কি হে কবি ভন্ডামী বুঝি শেষ? কাটিতেছো দাড়ি!" কবি গুরু বলে "নাহে নাপিত মনে আমার অনেক বেদন, ডানা কাটা ডায়না পরী বুঝিবে এই বেদন, তাইতো কাটিতেছি দাড়ি'। কবি গুরু ভাবিলেন তার উদ-ভট গায়ের পোশাকটা পরেই তেনি সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ডানা কাটা ডায়না পরীর দেশে যাবে, কিন্তু নজরুল সাহেব বলিলেন "ওহে কি একটা সুট বানাও তাতে তুমি লাগিবে রাজকুমার" কবি গুরু দর্জির কাছে গেলেন। দর্জি কহিলো ""কি হে কবি ভন্ডামী বুঝি শেষ? বানাইতেছো সুট!" কবি গুরু বলে "নাহে দর্জি মনে আমার অনেক বেদন, ডানা কাটা ডায়না পরী বুঝিবে এই বেদন তাইতো বানাইতেছি সুট "। কবি গুরু জাহাজের টিকিট কাটলেন। নজরুলের কাছে গেলেন বিদায় নিতে। নজরুল তাকে বলিলো আপনার ইংলাজি অনেক ভালো একখান ইংলাজি কবিতা তাকে লিকা উপহার দিয়েন তাতে তেনি খুশি হইবে। কবি গুরু মুচকি হেসে বলে "সে আমি সেরে ফেলেছি কাল রাতেই'।

অবশেষে কবি গুরু জাহাজে চেপে যেতে লাগলেন লন্ঠন দেশে। তিন মাস হতে লাগলো এখনো জাহাজ চলছে, আরো তিন মাস লাগবে যেতে। এর মাঝে কবি গুরু প্রায় এক কোটি ইংলাজি কবিতা লিখে ফেললেন, এবং মনে মনে পণ করলেন তা তিনি ডানা কাটা ডায়না পরীকে শুনিয়ে ছারবেন। একদা এক রাতে জাহাজের মাঝে তুমুল ঝড় শুরু হইলো ঝড়ে তুফানে কবি গুরুর লেকা এক কোটি কবিতা পানিতে ভাইসা গেলো। কবি গুরু মনে বেশ দুক্ক পাইলো পরে তিনি আবারো লেকা শুরু করলো কবিতা, আর আছে দুই মাস লন্ঠন পোছাইতে এর মাঝে তেনি প্রায় ২কোটি কবিতা লিকে ফেললেন ডানা কাটা ডায়নার জন্য। অবশেষে জাহাজ ঠেকলো লন্ঠনে। কবি গুরু তার সুট টা গায়ে চাপাইয়া আর শুভ্র মসৃণ মুক নিয়া নামলেন লন্ঠন শহরে। শহরে পা দিতে না দিতেই তিনি দেকলেন হাজার মানুষের ঢল। সবাই কানতাচে। আর নীরব মিছিল নিয়া যাইতেচে। তেনি কিচু না বুঝতে পেরে তাগো লগে যোগ দিলেন। সবার পরনে কালো সুট। ভাগ্য ভালো কবি গুরুর পরনেও কালো সুট ছিলো। কবি গুরু প্রায় ৩০মাইল হাটলেন, হঠাত করে পাশের ভদ্দর লোকটাকে জিগ্গাস করলেন ভাই তুমরা কোথায় যাও। লুকটা কান্দা সামলাইয়া বললো আজ আমাদের দেশের ডানা কাটা ডায়না পরী মারা গেছে সড়ক র্দুঘটনায়। কবি গুরুর মাথা ভন ভন কইরা উঠলো তার চক্কুতে পানি চইলা আসলো। তেনি জিগ্গাস করলো মারা গেছে কিভাবে লুক টা বললো "তেনি গাড়ীতে কইরা যাইতেছিলো আর দুস্ট সাংবাদিক গুলা তার আর তার বয়ফ্রেন্ডের ছবি তুলতে গিয়া তাদের ধাওয়া করে, আর অদিকে ডায়না পরী তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কিসিং কিসিং শুরু করে, আর বদমাইশ ডাইভার পিছনে ফিরা এই সীন যেই না দেকতে গেছে তেমনি গাড়ীটা রাস্তার এক কান্দিতে লাইগা উল্টাইয়া গেছে, আর আমাগো ডায়না পরী মারা গেছে" কবি গুরু হঠাত করি মাতা গুরি পইরা গেলো। যকন হুশ আইলো কবি গুরু কান্দা কাটি করতে লাগলো, নিজেরে নিজে কইলো "হে কবি তুর মনের বেদন ডানা কাটা ডায়না পরীও বুঝলো না' কবি গুরু সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন কিসিং কিসিং কতা হুইনা, তেনি মনে মনে কইলেন আমার কবিতায় আমি এইসব কতাই বুঝাইতে চাইছি, কিন্তু আমার দেশের লুক বুঝে নাই, যারে একটু বুঝাতে আইছিলাম সে ও চলে গেলো। কবি গুরু ডানা কাটা ডায়না পরীর দুক্ক নিয়ে আবারো জাহাজে চেপে দেশের উদ্দেশ্য রওনা দিলেন। জাহাজে চেপে তেনি তার লেকা ২কোটি কবিতা আবারো পানিতে ভাসাইয়া দিলেন। কেনো কবি তা নিজেও জানে না। পরে তেনি একটা কবিতা লিকলেন "নারী তুমি মা, তুমি দেবী, তুমি মমতাময়ী, তুমি মোর ডানা কাটা ডায়না পরী'

দেশের মাটিতে পা দিলেন নজরুল সাহেব তেনাকে রিসিভ করতে আসছে। কিন্তু কবি গুরুর মুকে আবারো দাড়ি দেকে তেনি বুঝলেন ভাব বেশি ভালো না তাই কিচু জিগ্গাস করলেন না। কবি গুরু তার পরনের সুটটা খুলে একটা কাগজ বের করে কিচু লিকার চেস্টা করছিলেন, কিন্তু পারছিলেন না। তাই তিনি একটু হাটতে লাগলেন। আর ওদিকে নজরুল সাহেব কাগজটা পেয়ে একটা কবিতা লিখলেন, কারন তেনি কবি গুরুর মনের বেদন একটু হলেও বুঝতে পেরেছেন, কারন তেনি মনে করছে ডানা কাটা ডায়না তাকে বেশি একটা ভাও দেই নাই যা এদেশের নারীরা করেছিলো। তাই তেনি এইরুপ একটা কবিতা লিখলেন "নারী তুমি দেবী, তুমি লোভী, তুমি ছলনাময়ী, তোমরা একপেয়ে ধন্য নও, যাচো শতজন'। পরে তেনি কাগজটা কবি গুরুকে দিলেন কবি গুরু কবিতা পড়ে রক্ত চক্কু করে নজরুল কে একটা থাপ্পর লাগাই দেলেন। নজরুল সাহেব কিচু বুঝতে পারলেন না। পরে কবি গুরু বললেন "নারী হলো মা, তারা মহান, আর কুনু বাজে কতা কইলে তুরে আমি ব্যালন দিয়া পিটাইয়া মাথা ভাইঙ্গা দিমু'। নজরুল সাহেব চরম একটা শিক্ষা পেলেন। ৩০ বছর পর কবি গুরু আর নজরুলের আবারো দেখা হলো, কবি গুরু তার কিচু কবিতা নজরুলকে দেখালো, নজরুল সাহেব তার লেকা কবিতা ১৪ বার পড়লেন এবং আকাশ থেকে পড়লেন যে তেনি তার কবিতায় নারীর ব্যাপারে কিচুই লিকে নাই। পরে নজরুল সাহেব তাকে তাঁর একটা কবিতা দিলেন "নারী তুমি দেবী, তুমি লোভী, তুমি ছলনাময়ী, তোমরা একপেয়ে ধন্য নও, যাচো শতজন' কবি গুরু এই কবিতা দেকে আবারো নজরুল কে থাপ্পর মারতে চাইলেন কিন্তু নজরুল সাহেব দৌড় দিলেন, দৌড়াইয়া তেনি একটা মলত্যাগের টাংকিতে ঝাপ দিলেন, কবি গুরু নিজেকে সামলাইতে না পেরে তেনি ও ঝাপ দিলেন, পরে তারা সেখানে অনেক ক্ষন মারামারি করলেন, অবশেষে নজরুল সাহেব তার দাড়ি ধরে টান মারতেই তেনি তার সব শক্তি হারাই ফেলেন। অবশেষে তারা পাশের বাড়ীর পুকুরে দুইটা লাইফবয় সাবান দিয়া গুসল করলেন। ৬০ বছর পর তাদের আবারো দেকা হইলো কিন্তু এবার তারা মারামারি করলো না, কারন নজরুল সাহেব তার বাক শক্তি হারাইছেন আর কবি গুরুর মাজা টা ভেঙ্গে গেছে।
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×