নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ছোটরানী কাঁদতে কাঁদতে উষ্ঠাগত প্রানে গিয়ে রাজাকে নালিশ জানালেন-'মহারাজা আপনার সভার প্রধান ভাঁড় গোপাল আমাকে 'চুতমারানী' ডেকেছে । রাজা ক্ষেপে উঠে হুকুম দিতে যতো সময় নিলেন তাঁরসিপাই সান্ত্রী তারো আগে গোপালকে ধরে বেঁধে নিয়ে এলো রাজদরবারে । রাজা দিলেন হুকুম প্রানদণ্ডের । আদরের রানীকে এতো জঘন্য গালি! প্রানদন্ড তো তবু লঘু শাস্তি...
গোপাল কাঁচুমাচু হয়ে বলে -মহারাজ প্রানদণ্ড দেবেন দিন । আপনার দয়ার শরীর,একবার শুধু এই অভাগার কথা শুনুন'
মহারাজার দয়া হলে গোপাল ইনিয়ে বিনিয়ে বলে- 'যাচ্ছিলাম রাজবাড়ীর সামনে দিয়ে, হাতে ছিলো ফুল । ছোটরানী ডেকে বললেন-'গোপাল ফুলের নাম কি?' ফুলের নাম চুতফুল । রানী মাকে তাই উত্তর দিলাম 'চুত-মা-রানী' গোপালের আদব লেহাজে মুগ্ধ হয়ে রাজামশাই তার প্রানদন্ড মওকুফ করলেন,রানীমাতা অজস্র স্বর্নমুদ্রা উপঢৌকন দিলেন,চারদিকে ধন্য ধন্য রব উঠলো