somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছেলেবেলার স্মৃতিকথা--০৩

১৮ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিদেশে আসার পর মেলা আকাম করে ফেলছি অলরেডি। তার কিছু এখন মনে আসলো, লিখে ফেললাম। নতুন নাম দিতে ইচ্ছে কর্তাছিলো না! তাই এইটাতে ঢুকাই দিলাম। :)

একবার শখ হইলো মাছ খাবো। গেলাম এক পাকি দোকানে। আসলে গেছিলাম মুরগি কিনতে। মুরগি কিনে আসার সময়ে দেখি ডিপ ফ্রিজে মাছের প্যাকেট। আমিও হঠাৎ কি মনে হলো, কিনে ফেললাম। টিলে পে করার সময়ে পাকি আপা জিগাইলো আমি কি আসলেই এই মাছ কিনতে চাচ্ছি। আমি একটু অবাক হলেও বললাম, হু। তারপর কিনে এনে বাসের দিকে হাঁটতেছি আর এক বড় ভাইরে ফোন দিলাম মাছ কিনেছি জানাইয়া। তারপর বললাম ভাবীকে দেন, কেমনে রান্না করবো। তো ভাবী ফোন নিয়ে জিজ্ঞাসা করলো কি মাছ? আমার তখন হুশ ফিরছে! খেয়ালও করি নাই কি কিনছি! তারপর প্যাকেটের গায়ে তাকিয়ে দেখি এইটা হাঙ্গর! তারপর আবার ফিরে গেলাম দোকানে। চেঞ্জ করে অন্য মাছ কিনে আনলাম। এনে রান্না তরকারি নাকি ভাজি করবো সেইটা চিন্তা করতাছি। তারপর ভাবলাম মাছ ভাজি খাই। চুলাতে ফ্রাই প্যানে তেল গরম করতে দিয়ে মাছ ধুলাম। ধুয়ে চিলাতে মাছ বসাইয়া দিলাম। মাছ উল্টাই পাল্টাই আর চিন্তা করতেছি মশল্লা কখন দেবো! আরো কিছুক্ষণ পরে মাথায় ঢুকলো যে মশল্লা মাখিয়ে তারপর চুলাতে বসানো দরকার ছিলো। তো কি আর করা! ভাবলাম এইটাকে তাইলে তরকারি হিসেবে রান্না করে ফেলি। ঐ ফ্রাই দিয়ে রান্না করলাম। কিন্তু একটুও খাইতে পারি নাই। সামান্য একটু মুখে দিয়ে ফেলে দিছিলাম। পরে এক বড় ভাই জিজ্ঞাসা করেছিলো আমি কি আঁশ ছিলাইছিলাম নাকি মাছ রান্না করার সময়ে! ঐটাও করি নাই, আমার ধারনা ছিলো সব কিছু ফেলানোই থাকবে! তারপর থেকে এখন পর্যন্ত মাছ রান্না করি নাই। দুই একবার শখ হলে ব্রিটিশ দোকান থেকে কিনে এনে ওভেনে গরম করে খাইতাম।

আরেকটা আকাম করছি কয়েকদিন আগে। আমি দোকান থেকে বাঁধাকপি কিনে এনে ভাজি হিসেবে রান্না করলাম। খাইলামও। তারপর গতকাল এক বড় ভাইয়ের বাসাতে গেছিলাম। উনি আমাকে লেটুস পাতা কাটতে বললো। আমি লেটুস প্যাকেট থেকে বের করে বললাম এইটা কি লেটুস নাকি! এইটা তো বাঁধাকপি! পুরা একরকম দেখতে! তারপর আস্তে আস্তে বাকি খবরও ফাঁস করে দিলাম! আমি এই জিনিসকে বাঁধাকপি মনে করে ভাজি রান্না কইরা খাইছি! লেটুস পাতা যে এমন গোল বাধাকপির মত হয় আইডিয়া ছিল না আমার!

এইরকম মেলা আকাম আছে আমার খাওয়া নিয়ে বিদেশে! মনে পড়লে বাকিগুলান লেখবো।


ছবি কৃতজ্ঞতা
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৪২
৬৮টি মন্তব্য ৬৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সচীবদের সম্পর্কে এখন কিছুটা ধারণা পাচ্ছেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ২০ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭



সামুর ব্লগারদের মাঝে ১ জন সচীব আছেন,(বর্তমানে কর্তব্যরত ) তিনি বর্তমানে লিখছেন; আধামৃত সামুতে তিনি বেশ পাঠক পচ্ছেন; উৎসাহের ব্যাপার! এরচেয়ে আরো উৎসাহের ব্যাপার যে, তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

নারীবাদ, ইসলাম এবং আইয়ামে জাহেলিয়া: ঐতিহাসিক ও আধুনিক প্রেক্ষাপট

লিখেছেন মি. বিকেল, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৪



আইয়ামে জাহিলিয়াত (আরবি: ‏جَاهِلِيَّة‎) একটি ইসলামিক ধারণা যা ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর আবির্ভাবের পূর্ববর্তী আরবের যুগকে বোঝায়। ঐতিহাসিকদের মতে, এই সময়কাল ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। VF 3 Mini: মাত্র 60 মিনিটে 27 হাজার বুকিং!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪



আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি নেই কিন্তু কর্মসূত্রে বেঞ্জ , ক্যাডিলাক ইত্যাদি ব্যাবহার করার সুযোগ পেয়েছি । তাতেই আমার সুখ । আজ এই গাড়িটির ছবি দেখেই ভাল লাগলো তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×