somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুই নেত্রী ও কিছু কথা

১৬ ই মে, ২০০৮ সকাল ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শাহাবুদ্দিন শুভ

লংকায় যে যায় সেই নাকি রাবন এমন কথা শুনে আসছি ছোট বেলা থেকে। আসলে একথার উৎকৃষ্টি উদাহরণ আমাদের এই মাতৃভুমি বাংলাদেশ। এদেশে আমরা যাদেরকে বিশ্বাস করে মতায় বসিয়েছি তারাই আমাদের কে বার বার ঠকিয়েছেন। লুটেপুটে খেয়েছেন সব কিছু। যখন দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি সেই স্বপ্নগুলোকে বারা বার ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য কাজ করেছেন তারা। দেশের জনগণকে আশাহত করে বার বার দেশকে দুর্ণীতির শীর্ষ পর্যায়য়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার করেছেন বিগত দিনে সরকারের থাকা প্রধান দুই রাজনৈতিক দল।
প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের স্বেচ্চাচারিতার কারণে দেশে এই অবস্থা। আজ সে দলের প্রধান সহ তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মী জেল হাজতে, যাদের লুটেপুটে খাওয়ার মহাউৎসবের কথা শুনে আমাদের ঘা শিউরে উঠে। নিজেদের স্বার্থরার জন্য তারা কিনা করতে পারেন তা আমরা দেখেছি? তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা জনগণের কথা কতটুকু ভেবেছেন তা এখন ভেবে দেখার বিষয়। ওয়ান এলিবেনের জন্য দায়ী দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। তাদের জন্য ২য় বারের মত দেশে তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠন করতে হয়েছে। আর সেই সরকার কতৃক সারা দেশে জরুরী অবস্থা জারী হয়েছে। জারি হয়েছিল কারফিউ। যে সেনাবহিনীকে নিয়ে আমরা গর্ব করি, যাদের সুনাম সারা বিশ্বব্যাপি। যারা অন্য দেশের শান্তির জন্য কাজ শেষ করে দেশে থেকে ফিরে আসার সময় সে দেশের সাধারণ জনগণ তাদের জন্য কান্নাকাঠি করে। তাদেরকে ব্যারাকের বাহিরে আসতে হয়েছে কি কারণে তা আমরা সবাই জানি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছে সেনাবাহিনী যদি ব্যারাকের ভেতরে থাকত তা হলে এমন ঘটনা ঘটত না। সেই ঘটনার জন্য এখনও ভুগছে সাধারণ ছাত্র/ছাত্রী। যদিও দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খোলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাচ্যের অক্সর্ফোট খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের রক্তে লাল হয়েছে। রণেেত্র পরিণত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সারা দেশের শিা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ও এর আচ লেগেছিল। উদ্বব্ট এই পরিস্থিতি থেকে রা পাওয়ার জন্য জারি হয়েছিল কারফিউ (সান্ধ্যকালীন আইন)। আজও খোলে দেওয়া হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যারা ফলে ছাত্র/ছ্ত্রীদের বেশ ক’মাসের সেশন জটের মধ্যে পরতে হবে এসব দায় কার?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান স্যার সাপ্তাহিক এখন এর ৫ম বর্ষ ৬ সংখ্যায় বলেছেন যে দু নেত্রীর গ্রেফতার কে দুঃখজনক পদপে বলে মনে করছেন। আসলে স্যার আমি আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি আপনার এই কথার সাথে আমি একমত হতে পারলাম। কাদের জন্য আপনি দুঃখ প্রকাশ করবেন যারা তাদের আত্বীয় স্বজন ও মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এমপি ও নেতাকর্মীদের লুটেপুটে খাওয়ার দৃশ্য দেখেও কোন কিছু বলেনি? বরং তাদের কে সাহায্য করেছেন নিজেদের পকেট ভারী করেছেন। একজন খালেদা জিয়া নিরবে শুধু দেখেছেন তার সন্তান তারেক জিয়ার অর্পকর্ম। মাতৃøেহে অন্ধ হয়েছিল তিনি। আবার তার সন্তান তারেক গ্রেফতার হওয়ার পর এই আপোষহীন নেত্রী বলেছেন জিয়ার ছেলে এমন কাজ করতে পারে না। তাহলে যে কথা আমরা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে শুনে আসছি ভাঙ্গা সুটকেস ছাড়া জিয়াউর রহমান আর কিছু রেখে যেথে পারেননি তার স্ত্রী ওসন্তানদের জন্য। তাহলে তাদের কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে এল? এ নিয়ে একটি প্রশ্ন যে কারো মনে দেখা দিতে পারে। কে বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করল? তবে কি রাষ্ট্রিয় প্রশাসন যা বলছে সব ভুল?
কোন কোন স্থানে কয়েকটি গ্রামের মানুষ কোথাও একটি থানার মানুষ এমনকি কোথাও একটি জেলার মানুষ একটি ব্রিজের জন্য কষ্ট করছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাল মানুষ খোজার কর্মসুচির সময় তার দলে যোগ দেন ড. খোন্দখার মোশারফ হোসেন। তিনি আসলেই একজন আজব ব্যাক্তি তা না হলে কি করে নিজের মৎস্য খামারে যাবার জন্য একটি সেতু নিমার্ণ করেন। তিনি তার খামারে যাওয়ার জন্য ২০০৪ সালে গোয়াল মারি সড়কের ডুন নছরউদ্দীন নামে একটি খালের উপর ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩৮ টাকা ব্যায়ে একটি ব্রিজ নিমার্ণ করেন। আবার সে ব্রিজ নিমার্ণের সময় তিনি এক যুবদলের নেতার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে কাজ পাইয়ে দেন। এই সেতুটি সাবেক এই মন্ত্রী খামারের প্রধান ফটকের সামনে করা হয় এবং তাই এলাকার লোকজনে কোন কাজে আসে না। একজন ব্যাক্তি কতটুকু লোভি ও স্বার্থপর হলে জনপ্রতিনিধি হবার পরও জনগণের কথা না ভেবে নিজের কথা ভাবেন। এমন শত শত ঘটনা ও কাজের স্বাি আমাদের এই দুই নেত্রী। এই ধরণের ব্যাক্তিদেরকে সর্মতন ও সাথে নিয়ে চলেছেন নেতৃদ্বয়।
বাংলাদেশ যদি একটি গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে থাকে। এবং সেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিাত হয়ে থাকলে কে কি তা দেখা বড় বিষয় নয়? কে অপরাধী, কার দ্বারা রাষ্ট্রের সম্পদের তি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে? একটি দলের প্রধান বলে যে কেউ পার পেয়ে যাবেন তাতো হতে পারে না? মাইনাস টু ফর্মুলার পে আমি নই। তার পরও একজন খালেদা জিয়া ও একজন হাসিনা যদি না থাকেন তাহলে বিএনপি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কি ধ্বংসে হয়ে যাবে। শেখ মুিজবুর রহমানের ও জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর কি তাদের দল নিঃশ্বেস হয়ে গেছে?
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×