আমরা যারা ব্যাস্ত নগরীতে বসবাস করি। তাদের বেলায় এই সমস্যাটি প্রকট। আমাদের জীবন ধারনের জন্য কাজ করতে হয় আট ঘন্টার অনেক বেশী (সরকারী চাকুরী বাদে)। প্রতিদিন বাড়ছে কাজের পরিধি। কিন্তু ইনকাম বাড়ছে না। অফিসে একটা লোককে দিয়ে কিভাবে কয়েকজন লোকের কাজ করে নেয়া যায় সেটা থাকে সবসময় বসদের মাথায়।
একজন ভদ্রলোক, (যিনি সিনেমার বিজ্ঞাপন করতেন রেডিওতে) তার কাছ থেকে জেনেছিলাম, উনি সকালবেলা খবরের কাগজ পড়েন টয়েলেটের কমোডে বসে। ওখানেই গিলেন সেইদিনের পুরো পেপারটা। তখন শুনে খুব আশ্চর্য হয়েছিলাম।
সকালে অফিসে আসার সময় দেখি, প্রাইভেট কারে অনেক মহিলা তাদের চুল আঁচড়াচ্ছেন। কারণ, তার হাতে বাড়তি সময়টুকু নেই যে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল বাঁধবেন তারপর অফিস যাবেন। সেই কাজটা তাঁরা গাড়ীতেই সারেন।
আজকাল পথেঘাটে সব জায়গায় দেখা যায়, মানুষ এয়ার ফোন দিয়ে মোবাইল ফোনের সাহায্যে এফ এম রেডিও শুনছেন অথবা মোবাইল মেমরী থেকে গান শুনছেন। কারণ তার গান শোনার জন্য বাড়তি কোন সময় নেই।
কেউ কেউ সকালে অফিসে আসার সময় গাড়ীতে বসে ল্যাপটপে তার অফিসের বাড়তি কাজটুকু সেরে নিচ্ছেন।
অর্থাৎ এই যান্ত্রিক নগরীতে কোন মানুষই তার সঠিক কাজটি করার জন্য সঠিক সময় পাচ্ছে না। সবাইকে ভর করতে হচ্ছে ঐ বিনোদনের সয়টুকুতে। রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা ওয়েট করেও গাড়ী পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের এইসব শহরে সবচেয়ে বেশী বাজে সময় খরচ হয় রাস্তাঘাটে, ট্র্যাফিক জ্যামে।
আর এভাবেই দিনে দিনে আমাদের বিনোদনের সময় কমে আসছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:১২