ট্যাক্সিক্যাব আরোহী এক আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় সাত ছিনতাইকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
Published : 09 Sep 2013, 01:53 PM
হত্যাকাণ্ডের প্রায় সাত বছর পর ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
২০০৬ সালের এপ্রিলে ট্যাক্সিক্যাবে করে শেরেবাংলা নগর যাওয়ার পথে ঢাকা বারের আইনজীবী ইমদাদুল হক তালুকদারকে (৫০) শ্বাসরোধে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা।
ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে আসামি বেলায়েত কাজী, বিল্লাল মৃধা, ইস্রাফিল, মনির, ইব্রাহিম, নিজাম ও রোমান্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।
এদের মধ্যে বিল্লাল বাদে সবাই পলাতক। তাদের সবার বাড়ি মাদারীপুর জেলার সদর ও কালকিনি থানায়।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি এস এম রফিকুল ইসলাম জানান, কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নিহতের ছেলে মেহেরাজ হোসেন আবীর বলেছেন, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০০৬ সালের ২৮ এপ্রিল রাতে ইমদাদুল হক একটি ট্যাক্সিক্যাব ভাড়া করে শেরেবাংলা নগরে তার বড় ভাই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে অন্য একটি ট্যাক্সিক্যাবে আসা ছয় ছিনতাইকারী তার গাড়ির গতিরোধ করে।
ইমদাদুলের ভাড়া করা ট্যাক্সিক্যাবের চালক রোমান্সও ছিনতাইকারীদের সহযোগী ছিলেন। ইমদাদুল ছিনতাইয়ে বাধা দিলে তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা।
পরে ইমদাদুলের লাশ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে এবং ট্যাক্সি ক্যাবটি জাতীয় সংসদ ভবন ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের মাঝের রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
নিহতের ছোট ভাই আবাসন ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম তালুকদার আজাদ এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ট্যাক্সিক্যাবের মালিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী চালক রোমান্সকে গ্রেপ্তারের পর বাকিদের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ।
আসামি ইস্রাফিল এ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষে ২৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।