somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাসলে হাস না হাসলে নাই

১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২ রেলওয়েতে চাকরির ইন্টারভিউ হচ্ছে। একটি চটপটে ছেলেকে সবার পছন্দ হল। চেয়ারম্যান একটু বাজিয়ে নিতে চাইলেন।
: ধর, একটা দ্রুতগামী ট্রেন আসছে। হঠাৎ দেখলে লাইন ভাঙ্গা। ট্রেনটা থামানো দরকার। কী করবে তুমি?
: লাল নিশান ওড়াব।
: যদি রাত হয়?
: লাল আলো দেখাব।
: লাল আলো যদি না থাকে?
: তা হলে আমার বোনকে ডাকব।
: বোনকে! তোমার বোন এসে কী করবে?
: কিছু করবে না। ওর অনেক দিনের শখ একটা ট্রেন-অ্যাক্সিডেন্ট দেখার।


২ বলতো, একজন রাজনীতিবিদ আর একজন ডাকাতের মধ্যে পার্থক্য কী?
: পারছি না, তুই বল।
: ডাকাত, ডাকাতি করে জেলে যায় আর রাজনীতিবিদ জেল থেকে এসে ডাকাতি শুরু করে।


২ মা, পরীরা কি উড়তে পারে?
: পারে।
: কাল সন্ধ্যাবেলায় শুনলাম বাবা খালামণিকে বলছে- ‘তুমি একটা পরী’। তাহলে খালামণি উড়ে না কেন?


২ ডাক্তার : প্রতিদিন খাওয়ার পরে চার চামচ করে খাবেন।
রোগী : ডাক্তার সাহেব, আমাদের বাড়িতে চামচ মাত্র তিনটা যে!



২: কী নিয়ে বাস্তায় ঝসড়া করছ তোমরা?
একটা কুকুর ছানা নিয়ে, স্যার। আরমা স্খির করেছি, যে সবচেয়ে মজাদার মিথ্যা বলতে পারবে, কুকুর ছানাটা তারই হবে।
: বলিস কী! তোদের মতো বয়সে মিথ্যা কাকে বলে তা আমরা জানতামই না।
: তা হলে কুকুর ছানাটা আপনিই পেলেন, স্যার।



২ গ্রামের এক স্কুলে পরিদর্শন করতে গেলেন এক পরিদর্শক। ক্লাসে ঢুকে এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন, বলতো, সোমনাথের মন্দিরকে ভেঙেছে? ছাত্র বলল, আমি ভাঙ্গিনি স্যার!
: পরিদর্শক রেগে শিক্ষককে বললেন, আপনার ছাত্র এ-সব কী বলছে! শিক্ষক নরম গলায় বললেন, স্যার, আমি জানি ও মন্দির ভাঙ্গার মতো ছেলে না। পরিদর্শক ক্লাস ছেড়ে হেডমাষ্টারের রুমে গেলেন।
: আপনার ছাত্র-শিক্ষক এ-সব কী বলছে! সোমনাথের মন্দির নাকি তারা ভাঙ্গেনি। হেডমাষ্টার বললেন, জী স্যার, আমি জানি, আমার ছাত্র-শিক্ষকরা এমন কোনো কাজ করেনি। পরিদর্শক ফিরে গিয়ে ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে বিস্তারিত জানিয়ে ওই স্কুল বাতিল করার জন্য সুপারিশ করলেন। মন্ত্রী সব শুনে বল্লেন, সামান্য একটা মন্দির ভাঙ্গার জন্য কেন এত হইচই করছেন। টাকা নিয়ে যান। নতুন করে একটা বানিয়ে দিন।
পরিদর্শক ফিরে গিয়ে ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে বিস্তারিত জানিয়ে ওই স্কুল বাতিল করার জন্য সুপারিশ করলেন। মন্ত্রী সব শুনে বল্লেন, সামান্য একটা মন্দির ভাঙ্গার জন্য কেন এত হইচই করছেন। টাকা নিয়ে যান। নতুন করে একটা বানিয়ে দিন।

২: জান মা, আপা না অন্ধকারে দেখতে পায় ?
: কেমনে বুঝলি?
: আমি শুনেছি ও-ঘরে অন্ধকারে আপা রফিক ভাইয়াকে বলছে- এ কী! আজ শেভ করনি?

২: মেয়ের বিয়ের জন্য ছেলে দেখছেন বাবা-মা।
মা : দেখ, ছেলেটির যত গুণই তুমি দেখ, ওর মাঢ়ীটা কিন্তু ভালো না। হাসলে কালো মাঢ়ীটা বেরিয়ে কেমন বিশ্রী দেখায়।
বাবা : সে-জন্য ভেব না। তোমার মেয়েকে বিয়ে করলে ওই ছেলে হাসার কোনো সুযোগই পাবে না জীবনে।

২: এত্তটুকুন ছেলে তুমি এত বড় দোকান একা সামলাও!
: হ্যাঁ।
: বৈয়মের লজেন্স, চকলেট, বিস্কুট এ-সব খেতে লোভ হয় না?
: হয়। খাই না। চেটে-চেটে রেখে দিই।

২: ওষুধের দোকানে এসে এক লোক প্রেসক্রিপশনটা এগিয়ে দিয়ে দোকানিকে বলল, দেখেন তো ভাই, এই ওষুধগুলোর দামকত হবে?
: পাঁচশ টাকা।
: তা হলে আর নেব না।
: কেন?
: হিসাব করে দেখলাম মরার খরচই কম। কাফনের কাপড় কিনতে মাত্র তিন’শ টাকা লাগে।

২: কী নিয়ে বাস্তায় ঝসড়া করছ তোমরা?
একটা কুকুর ছানা নিয়ে, স্যার। আরমা স্খির করেছি, যে সবচেয়ে মজাদার মিথ্যা বলতে পারবে, কুকুর ছানাটা তারই হবে।
: বলিস কী! তোদের মতো বয়সে মিথ্যা কাকে বলে তা আমরা জানতামই না।
: তা হলে কুকুর ছানাটা আপনিই পেলেন, স্যার।

২: একলোক টাকা জাল করতে-করতে ভুল করে একবার একটা চৌদ্দ টাকার নোট জাল করে ফেলল। নোটটা চালানোর জন্য একদিন সন্ধ্যায় সে একটা পান- দোকানির কাছে গেল।
: ভাই, এই নোটটার ভাঙতি হবে?
: হবে?
উত্তর শুনে সে অবাক! পান- দোকানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে দ্রুত চলে এল সে। এসে দেখে পান-দোকানি তাকে দুটো সাত টাকার নোট দিয়েছে।

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৩০
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×