somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেনাবাহিনী কোন পক্ষ?

১২ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ সংলাপের তেসরা মে`র আলোচনায় ছিল রাজনৈতিক সংলাপে সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য ভূমিকা, নির্বাচনী সীমানা পূন:নির্ধারন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইস্যু৻ এছাড়াও রাজনীতিতে বিদেশী হস্তক্ষেপ, দুটি প্রধান দলের কারাধীন দুই নেত্রীর মুক্তি দাবী এবং দূর্নীতি বিরোধী অভিযানে উদ্ধার করা অর্থের প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়৻

এবারের আয়োজনে প্যানেল সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহ, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা একশন এইডের বাংলাদেশ শাখার প্রধান ফারাহ কবির, এবং লেখক ও সংস্কৃতিসেবী কামাল লোহানী।
আমন্ত্রিত দর্শকরা আনুষ্ঠান স্থলে এসে তাদের প্রশ্ন জমা দেন, সেখান থেকেই বাছাই করে নেয়া হয় মুল অনুষ্ঠানের প্রশ্ন সমুহ। তার উপরেই মন্তব্য করেন প্যানেল সদস্যরা এবং বাকি দর্শকরাও মন্তব্য এবং সম্পুরক প্রশ্ন করেন।

অনুষ্ঠানের প্রথম প্রশ্ন করেন নাসরীন আক্তার জাহান। তিনি জানতে চান সংলাপে সেনাবাহিনীর মতো তৃতীয় পক্ষ থাকার বিষয়টি কতটুকু জরুরী বলে মনে করছেন?

আলোচনার গোড়াতেই সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সেনাবাহিনী সরকারের গুরুত্বপুর্ন একটি অংশ তাই তিনি তাদের তৃতীয় পক্ষ বলে মনে করেন না।

তিনি আরো বলেন সেনাবাহিনী ১১ই জানুয়ারীর ঘটনায় জড়িত ছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাতেও তাদের হস্তক্ষেপ ছিলো৻ তাই তিনি মনে করেন অনানুষ্ঠানিক ভাবে তারা আলোচনা আর না করে আনুষ্ঠানিক ভাবেই আসতে পারে।

তবে তিনি সেই সাথে একথাও যোগ করে বলেন, পুরো ব্যাপারটিই তাঁর নিজের মতামত, তাঁর দলের মত এখানে ভিন্নও হতে পারে।

আসম হান্নান শাহও তাঁর ব্যক্তিগত মতামত দিতে গিয়ে বলেন বর্তমানের সরকার সেনাবাহিনী কর্তৃক অধিষ্ঠিত সরকার আর তাঁরা তাঁদের পছন্দের লোকদেরই সেখানে বসিয়েছে।

উদাহরন হিসেবে তিনি বলেন বর্তমান সরকারের উপদেষ্টারাও বিভিন্ন বিষয় ‘উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের’ কাছে জানানোর কথা বলেন। তিনি বলেন, তাঁদের জানতে বা বুঝতে বাকি নেই সেই কর্তৃপক্ষ কারা।

তিনি বলেন, সেই কারনে সরাসরি সেনাবাহিনীর সাথেই কথা বললে কোন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হয় না।

দর্শকদের একজন এসময় বলেন, আজকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নেই, গ্যাস নেই, মানুষের পেটে ভাত নেই, ১১ই জানুয়ারী বাংলাদেশকে কিছুই দিতে পারে নি বরং মানুষের সুখ শান্তি চলে গেছে।

তিনি জানতে চান সেনাবাহিনী কেন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে অংশ নেবে? এবং এখানে পাকিস্তানের মতো অবস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে না?

আরেকজন দর্শক বলেন, সেনাবাহিনী কখনোই গনতন্ত্রের রক্ষাকবচ হতে পারে না। তিনি বলেন একজন নাগরিক হিসেবে তিনি সরকারের পেছনে সেনাবাহিনীকে সমর্থন করতে পারেন না সেই সাথে তিনি মনে করেন সংলাপে সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রন জানানো গনতান্ত্রিক রীতির পরিপন্থী।

ফারাহ কবির এসময় বলেন, তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না সেনাবাহিনীকে কেন সংলাপের একটি পক্ষ হিসেবে আনতে হবে?

তিনি বলেন, এটি বোঝা যাচ্ছে যে এই সরকারের পেছনে সেনাবাহিনী আছে, কিন্তু সেখানে তাদেরকে আরো একটি পক্ষ হিসেবে আনার অর্থ কি আছে।

কামাল লোহানী ব্যাপারটিকে একেবারেই অনাকাংখিত বলে মনে করেন।

পাকিস্তান আমলের ইতিহাস থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, সেনাপ্রতিনিধিরা রাজনৈতিক সংলাপে থাকাটা তিনি সমর্থন করেন না। তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনী তো আর রাজনীতি করে না।

এসময় বিষয়টি নিয়ে আবারও দুই রাজনীতিবিদের মতামত চাওয়া হয়৻ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আবারো মনে করিয়ে দেন পুরো মন্তব্যটিই তা নিজের।

তিনি আরো বলেন, সংবিধানে কোথাও নেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কখনোই এতো বেশি দিন হতে পারে না, তা হয়েছে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদ এখানে আছে।

মি. শাহ বলেন, এবারের তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্বাধীন ভাবে নিজের সিদ্ধান্ত দিতে পারে বলে তিনি মনে করেন না।

তাই যেখান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেখান থেকে নির্দেশ পান তাদের সাথেই সরাসরি আলোচনা করাই ভালো।

তিনি বলেন, বর্তমানে যারা দেশ শাসন করছে, গনতন্ত্রে উত্তরনের জন্য তাদের সাথেই সরাসরি কথা বলাই ভালো।

এসময় মি. লোহানী বলেন, সেনা প্রধান এক সময় বলেছিলেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য তিনি সরকারকে বলবেন, তারপর এতোদিনেও তা হয়নি।

তিনি প্রশ্ন করেন তাহলে কি সেনাবাহিনীর পেছনেও কোন অদৃশ্য হাত কলকাঠি নাড়ছে?

রের প্রশ্ন করেন মো. লিয়াকত আলী। তিনি জানতে চান বড় সংখ্যায় নির্বাচনী সীমানা পুনরায় নির্ধারন করা আগামী নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার শামিল নয় কি?

মি. শাহ এসময় বলেন, তারা পুন:নির্ধারিত আসন গুলির এলাকা থেকে দলীয় নেতা কর্মী, সম্ভাব্য প্রার্থী এবং সাধারন মানুষদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে অভিযোগ পাচ্ছেন। তিনি বলেন, নতুন ভাবে সীমানা নির্ধারনের কারনে জটিলতা তৈরী হচ্ছে। তিনি আরো আশংকা করে বলেন এতে মামলা হওয়াও বিচিত্র নয়।

তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক দলই এমন সীমানা নির্ধারনের দাবী করে নি বলেই তিনি জানেন এবং তিনি মনে করেন নির্বাচনকে পেছানোর জন্যই এমন করা হয়েছে।

মি. সেনগুপ্ত বলেন, এটি অত্যন্ত দু্:খজনক। তিনি আরো বলেন নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছিলেন এটি সহ্যসীমার মধ্যে রাখা হবে।

তিনি বলেন ১৩৩ টি আসনের পুর্নবন্টন করেছেন যেটি সঠিক হয়নি। তিনি মনে করেন এখনো সময় আছে এই অবস্থান থেকে সরে আসার।

তিনি বলেন, যুক্তিসংগত ভাবে সীমানা নির্ধারন করা হলে তা মানা যেতো।

এসময় দর্শকদের একজন বলেন, সরকার এবং কমিশন সঠিক সময়ে নির্বাচন করার জন্য যা করা দরকার তা করছেন না। তিনি বলেন, এটি সময়ক্ষেপন ছাড়া আর কিছু নয়।

আরো এক দর্শক বলেন, ভোটার তালিকা তৈরীর কাজ এখনো শেষ হয়নি; এখন যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হয় তাহলে তা কিভাবে সম্ভব হবে? আরো এক দর্শক বলেন তাঁর আশংকা নির্বাচনই হবে না।

মি. লোহানী বলেন, তিনি মনে করেন এভাবে ব্যাপারটি হওয়া উচিত ছিলো না। তিনি আরো মনে করেন যারা এই কাজটি করছেন তাতেও তাঁর মনে প্রশ্ন এসেছে যে এটি একটি পরিকল্পিত কাজ যাতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচিত না হতে পারেন।

ফারাহ কবির বলেন, একজন প্রার্থীর পক্ষে যতজন মানুষের জন্য কাজ করা সম্ভব তা হিসেব করে এটি করা যেতে পারে তবে এখানে যেভাবে করা হয়েছে তা নিয়ে তাঁর মনেও প্রশ্ন তৈরী হয়েছে।

তিনি বলেন, ৩০০ আসন এখন ১৫ কোটি মানুষের জন্য এখন আর পর্যাপ্ত নয় এটি ঠিক৻ তবে এই ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি।

পরের প্রশ্ন করেন মো আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানতে চান সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোন নির্বাচন আগে করবে , জাতীয় নির্বাচন নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন?

এ বিষয়ে ফারাহ কবির বলেন, কিছুদিন আগে একজন উপদেষ্টার সাথে তাদের কথা হয়েছে সেখানে তিনি জানতে পেরেছিলেন স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হবে এবং আগামী ডিসেম্বরে হবে জাতীয় নির্বাচন।

আর সংবিধান অনুযায়ী কোন নির্বচান হওয়া উচিত এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলনে সংবিধান তো আগেই লংঘন হয়ে গিয়েছে। তাই এখন এই বাস্তবতা মেনে নিতেই হবে।

মি. শাহ এসময় বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্থানীয় নির্বাচন বলতে এখন ইউনিয়ন এবং পৌরসভা নির্বাচনকেই বোঝে, তবে যে নির্বাচন গুরুত্বপুর্ন অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচন সেটিই করার কথা বলা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, এভাবে একটির পর একটি নতুন ইস্যু তৈরী করে আসল ব্যাপারকেই পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই মুহুর্তে জাতীয় নির্বাচন জরুরী, সেখানে নির্বাচিত সরকার স্থানীয় নির্বাচন করার ব্যবস্থা নেবে।

দর্শকদের একজন সময় বলেন একের পর এক ইস্যু দাঁড়া করিয়ে জনগনের আগ্রহ নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। অন্য একজন দর্শক বলেন অর্থের অপচয় না করে দুটি নির্বাচনই এক সময়ে করা যেতে পারে।

আরো এক দর্শক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত ক্ষমতায় যাবার জন্যই কি জাতীয় নির্বাচন আগে চাইছে?

অন্য এক দর্শক বলেন, অদৃশ্য কোন সুতোর টানেই হয়তো এমন হচ্ছে, সেই সাথে তিনি বলেন যেনতেন নির্বাচন এদেশে হলে তা বিশ্বের কাছে এবং সেই সাথে দেশের জনগনের কাছেও তা গ্রহনযোগ্য হবে না। সেই সাথে তিনি মনে করেন দুটো নির্বাচনকেই একসাথে করা যেতে পারে।

মি. লোহানী এসময় বলেন, বারবারই সংবিধান লংঘন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা এমনটা করছেন তাঁরা চিন্তাও করছেন না যে তাঁরা দেশের জন্য ভালো কাজ করছেন নাকি খারাপ কাজ করছেন।

তিনি এখানেও অদৃশ্য হাতের ইশারার কথা বলেন। তিনি বলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদুতেরা এদেশে এসে মাতুব্বরী করেন এবং সবাই তা মেনে নেয়।

তিনি বলেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব হলো এ ব্যাপার গুলো যেন না হয় তা দেখা।

মি. সেনগুপ্ত বলেন, সংবিধানের লেখা আছে তত্ত্বাবধায়াক সরকার প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। তিনি বলেন সেই সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন করা। আর নির্বাচিত সরকার আইন করে নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দেয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের।

তিনি বলেন এই ক্ষমতা এখনো আইন করে নির্বাচন কমিশনের হাতে দেয়া হয়নি। তিনি জানান সংবিধান লংঘন করে আইনের শাসন করা যায় না আর তাই সংবিধান অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন করে অবিলম্বে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত।

পরের প্রশ্ন করেন হাজেরা খাতুন। তিনি জানতে চান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে বিরাট অংকের টাকা উদ্ধার করা হয়েছিলো সেই টাকা কোথায়?

মি. লোহানী বলেন, যাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে সে সম্পর্ক তাদের কেউ এবং সরকারও কিছু বলছেন না।

তিনি বলেন, ওই টাকা দিয়ে কি করা হচ্ছে তা বোঝারও কোন উপায় নেই। তিনি আরো বলেন এমন কি বিমানবন্দরে যে টাকা উদ্ধার হয় সেগুলোও কোথায় যায় তা কেউ জানে না।

মি. সেনগুপ্ত বলেন, এই টাকা কোথায় গিয়েছে , তা দিয়ে কি করা হয়েছ তা সবাইকে বলতে হবে।

তিনি এসময় আরো বলেন মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যে টাকা গিয়েছে তা উদ্ধার হয়েছে কি না তাও সবাইকে জানাতে হবে।

তিনি দাবী করেন অবিলম্বে সরকারকে এ ব্যাপারে তার অবস্থান জানাতে হবে।

দর্শকদের একজন এসময় বলেন, বিগত সরকারের আমলে বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন তার কিছু টাকা দেশে ফেরৎ আনা হয়েছে। তিনি জানতে চান সেই টাকা কোথায়।

তবে এক দর্শক বলেন, সরকারী টাকা কোষাগারে জমা হয়, আর সে ব্যাপারে সরকারের কোন দায় নেই।

এসময় একজন দর্শক রহস্য করে বলেন, সরকার যে টাকা উদ্ধার করেছে সেই টাকা দুর্নীতিবাজদের পেছনেই খরচ হচ্ছে। কারন হিসেবে তিনি বলেন বিভিন্ন হানপাতালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে দুর্নীতিবাজদের রাখা হচ্ছে, এতো টাকা সরকার কোথায় পাবে। তিনি বলেন তাদের টাকা দিয়েই তাদের ভালোভাবে রাখা হচ্ছে।

ফারাহ কবির বলেন এখন মানুষ খেতে পারছে না, না খেয়ে থাকছে। তিনি মনে করে এসব জায়গায় এই টাকাগুলি খরচ করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, এই টাকাগুলি আসলেই কোষাগারে জমা হয়েছে কি না তা সবাইকে জানানো উচিত।

মি. শাহ বলেন, কত টাকা কার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সে বিষয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত।

পরের প্রশ্ন করেন মো নজরুল ইসলাম। তিনি জানতে আওয়ামী লীগ থেকে তাদের নেত্রীর মুক্তির কথা বলা হচ্ছে এবং বিএনপি আবার দুই নেত্রীর মুক্তি চাওয়া হচ্ছে?

তিনি আরো জানতে চান দুই দলই নেত্রীদ্বয়ের নি:শর্ত মুক্তি চাইছে, তারা যদি দোষী হন তারপরেও কি এমন মুক্তি চাওয়া হবে?

মি. শাহ বলেন, তারা মনে করেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই নেত্রীকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অন্যায় ভাবে মামলা করে জেলে রাখা হয়েছে, তাই তারা তাদের নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেছেন।

তিনি আরো বলেন দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশীট এখনো হয়নি অথচ তারা ছয় মাসের বেশী জেল খাটছেন।

আর তারা দুই নেত্রীর মুক্তি চাইছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ভাবে অনেক বেশী চালাক এবং তারা জানে যে তাদের নেত্রী মুক্তি পেলে খালেদা জিয়াকেও আটকে রাখা যাবে না।

তবে মি. লোহানী দুই ঘটনাকেই দুই দলের রাজনৈতিক চাল হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন দলগুলি যদি আগে থেকে এমন দুই নেত্রীর কথা বলতো তাহলে ১১ই জানুয়ারী সৃষ্টি হতোই না।

ফারাহ কবির মি লোহানীর সাথে একমত পোষন করেন।

তিনি আরো বলেন আইনের প্রক্রিয়া চলতে দেয়া উচিত। তিনি মনে করেন মামলায় এতো বেশি সময় লাগার কথা নয়।

মি. সেনগুপ্ত বলেন, তাদের নেত্রীর কথা তারা চিন্তা করছেন। তিনি আরো বলেন তাদের নেত্রী নির্দোষ তারপরেও আইনী মতেই তাদের নেত্রীর মুক্তি তারা চাইছেন।

আর বিএনপি নেত্রীর মুক্তি তারা চাইছেন না তার কারন হিসেবে তিনি বলেন, তারা যে সংঘাত পুর্ন রাজনীতি করে এসেছেন এটি তারই ফল।

সূত্র: বি বি সি .
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:৫১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×