নারদ, পণ্ডিতশ্রেষ্ঠ, মানুষকে খুবসে বোঝাচ্ছেন-
(মানুষেরা মনোযোগ দিচ্ছে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না)
“এ ভঙ্গুর দেহ, কেহ কহে তীর্থ, কেহ-বা মন্দির
কেহ কহে কূটনকশা, চক্রছক, অশুভ সন্ধির।
তীর্থজুড়ে এত রূপ ও অরূপ, ধূপ-ধূনি-মন্ত্র
শলাকা, অলাতচক্র, বহুতল কুঠুরি ও রন্ধ্র।
মন্দিরের তলা দিয়ে নদী বয় তরঙ্গসংকুল
শীঘ্রস্রোতা, দুকূল-ছাপানো, বাঁকা, কুমিরবহুল
ক্ষণেই সরল বটে সেই নদী ক্ষণেই বঙ্কিম
পাড় ভাঙে, ফেনা জাগে, হাঁস ডাকে হরেক কিসিম।
বুদ্বুদের থেকে বহু উৎপন্ন বুদ্বুদ, রকমারি।
বিম্ব থেকে আরো বিম্ব, বহুবিম্বধারী।
দেহ - এত মেদ মেধা আয়োজন, রঙ রতি অঘটন, গতি ও রহস্য!
দেহ - তা-সে বপু হোক তনু হোক, পুড়লে তো বাপু সেই দেড় কেজি ভস্ম!”
সর্ব-অঙ্গে অমৃতকথন শুনে পণ্ডিতশ্রেষ্ঠের
ঝিমুনিস্বভাব জাগে মানবের ও-তনুতীর্থের।