অনেকে অনেক কারণ দেখিয়েছেন। যেমন :
১. খাদ্যপণ্য থেকে থেকে জৈব জ্বালানী উৎপাদন।
২. জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়া।
৩. বড় দেশগুলোর ভর্তুকীর কারণে বিশ্বখাদ্যবাজারে অস্থিতিশীলতা।
৪. মুখ্য খাদ্য উৎপাদনকারী দেশগুলোর স্থানীয় মার্কেটে চাহিদা বৃদ্ধি।
৫. কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত পন্যের ব্যয় বৃদ্ধি।
৬. কৃষি উৎপাদনের জন্য নিয়োজিত পুঁজি অন্য খাতে সরিয়ে নেয়া।
৭. কৃষিপ্রধান দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক নানা সংস্থার চাপে কৃষিখাতে ভর্তুকী কমে যাওয়া।
৮.কলকারখানা ও বাসস্থানের স্থান সংকুলানের জন্য কৃষিজমি হ্রাস।
৯. কৃষি ও মৌলিক শিল্পের চেয়ে সেবাখাতে বেশি বিনিয়োগ।
১০. বিশ্ববাজার থেকে খাদ্যপণ্যের আগাম বিক্রি হয়ে যাওয়া।
১১. বড় আকারের বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
এইসব নানা কারণের কথা এ পর্যন্ত শোনা গেছে।
এবার জর্জ বুশ খাদ্য সংকটের জন্য স্রেফ ভারতীয় মধ্যবিত্তদের দায়ী করলেন। ৩৫ কোটি মধ্যবিত্ত নাকি যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। আর এরাই সব খেয়ে ফেলেছে বলেই নাকি এই অবস্থা। আনন্দবাজারে লিখছে, বুশের আগে রাইসও নাকি ভারতীয়দের দায়ী করছিলেন। মাসুম ভাইয়ের পোস্টে দেখলাম, ভারতের সাথে সাথে রাইস নাকি চীনাদেরও দোষ দিয়েছিলেন।
বর্তমান বিশ্বে রাইস ও বুশ আলাদা করে একেকটা বড় সংকট। তারা যখন কোনো সংকট নিয়া কথা বলে তখন নতুন সংকট তৈরি হয়। এবারও তাই হলো।
ভারতের সরকার, বাম-ডান সবাই একবাক্যে বুশের কথাকে উড়িয়ে দিয়েছে। শুধু তাই না তারা বুশকে নিজের চরকায় তেল দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
সকাল বেলা এমটিভি দেখতেছিলাম। এমটিভির টেলপে দেখলাম বুশের বক্তব্যে প্রতিবাদ। প্রশ্ন রাখা হইছে, বুশ তাইলে কী চান, আমরা না খেয়ে থাকি?
বুশ হয়তো তা চান না। তিনি সেইটা মিন কইরাও হয়তো কন নাই। কিন্তু চীন ও ভারতের রাইজিং মিডলক্লাসকে হিসাবে নিয়াই যে সামনের দিনগুলার হিসাব করতে হবে সেইটা বুশ স্পষ্ট কইরা দিলেন। আমেরিকা হিসাব করতেছে তো আমরা কোন ছার!
আমাদেরকেও হিসাব করতে হবে।
বছরখানেক আগে টাইম থেকে ভারত ও চীনের প্রবৃদ্ধির কিছু হিসাব নিকাশ নামাইছিলাম। এ প্রসঙ্গে আপনারা চোখ বুলাইতে পারেন মনে কইরা সেইটা আপলোড করলাম।