somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডোরেমন, নোবিতা আর সুতপা’দের গল্পঃ

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিদিনকার মত, আজও, আমার চার বছর বয়সী ও একমাত্র মেয়ে, সুতপা, ঘুম থেকে উঠেই ডোরেমন কার্টুন দেখার বায়না শুরু করলো, এটা তার নিত্যদিনের বায়না। আর একবার টিভি সেট চালু হলে তা চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। আমরা কোনভাবেই এথেকে ওর এটেনশন অন্যদিকে সরাতে পারছি না। কতরকম ভাবেই না চেষ্টা করছি, যাতে ওর এই কার্টুন দেখার আসক্তি কিছুটাও কমে, কিন্তু তার সবই নিষ্ফল হয়েছে। উল্টো নিজেরাই ঝামেলায় পড়েছি।

মাঝখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য আমি ডিসের কানেকশন কেটে বাসায় টিভি দেখা বন্ধ রেখেছিলাম, যাতে এই আসক্তি থেকে তাকে দূরে রাখা যায় কিন্তু তা সফল তো হয়নিই উল্টো বিপদ হয়েছিল। ও তখন উপর তলার ফ্লাটে ওর সমবয়সী বান্ধবী ঐশী’দের বাসায় ডেরা গাড়লো। স্কুল থেকে এসেই, সেই যে সকাল বেলায় ঘর থেকে বের হয়ে যেত আর সহজে বাসায় ফিরিয়ে আনা যেত না। মেয়ে অন্যের বাসায় যেয়ে পড়ে থাকলে কার ভাল লাগে? আমাদেরও ভাল লাগলো না। যদিও ঐশীর বাবা-মা তা ভালভাবেই নিত, তবুও নিজেদের কাছে খারাপ লাগতো। তাই ওকে বাসায় রাখার জন্য ডিস কানেকশন পুনঃ সংযোগ নিলাম গতমাসে, কেবল লাইনের মালিককে এক হাজার টাকা বেশী দিয়ে, কেন আমি লাইন কেটেছিলাম তার পেনাল্টি হিসেবে। আর নিজেদের কথাই বলি, টিভি ছাড়া বাসায় কতক্ষণ থাকা যায়? আমি না হয় সারাদিন বাইরে বাইরে থাকি, আসি সেই রাতে, ল্যাপটপ আছে, ইন্টারনেটে ঘোরাফেরা করি, কিন্তু ওর মা সারাদিন বাসায় থাকে ওর তো সময় কাটে না। যদিও আমি জানি ওরও আর একটা ভারতীয় চ্যানেলের প্রতি তীব্র আসক্তি আছে যার নাম স্টার প্লাস, কুখ্যাত একটা চ্যানেল, যার শব্দ শুনলেই আমার মাথায় রক্ত চড়ে যায়! ডিস লাইন কাটায় অবশ্য সেটাও একটা হিডেন অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছিল।

আজ ভোর বেলায় আমার মেয়ে এই যে টিভি সেটের দখল নিলো, তা চলবে রাতে তাকে জোড় করে ঘুম পাড়ানোর আগ পর্যন্ত। সে যদি পড়তে বা লিখতে বসে, তবুও টিভি সেটে ডোরেমন চলতে হবে, পাশের রুমে গেলে বা বান্ধবী ঐশী’র সাথে খেলার সময়ও তাকে ডোরেমন, নোবিতা, সুজুকাদের কথার শব্দ শুনতে হবে। সে যত দূরে থাকবে টিভি সেটের শব্দও তত জোড়াল করতে হবে, যাতে সে সেই শব্দ ভালভাবে শুনতে পায়। এ এক শোচনীয় অবস্থা।

আমি পাশের রুমে শুয়ে আছি আর বাইরে ঝড় বৃষ্টির শব্দ শুনছি। মাঝে মাঝে মোবাইলের ঘড়িতে সময় দেখছি সেই পারফেক্ট টাইমের জন্য, যখন থেকে আমি অফিসে যাওয়ার প্রিপারেশন নেব। ঘুম জড়ানো চোখে গুটি গুটি পায়ে সুতপা আমার ঘরে চলে এসে পাশে বসতেই আমি আদর করে ওকে কাছে টেনে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কার্টুন চলছে না মা? ও উত্তর দিলো, না। কেন? ও উত্তর দিলো না। কাল কলা কয়টা খেয়েছ? ওর এটেনশন ঘুরাতে জিজ্ঞাসা করতেই ও উত্তর দিলো, বলবো না! আমি বললাম, কেন? কাল আমি তোমার জন্য কলা এনেছি, পেয়ারা এনেছি, তাল এনেছি আরো কত কি এনেছি, তারপরেও আমার উপর তোমার এত রাগ? একটা মাম দাও তো মা? আবারো তার না-বাচক উত্তর পেলাম। আমি বললাম, কেন মা, তুমি না, বাবাকে প্রতিদিন একটা করে মাম দাও, আজ দিবে না কেন? বলেই ওকে জোড় করে কাছে টেনে নিয়ে একটু আদর করতে চাইলাম। ও মাথা দ্রুত সরিয়ে নিয়ে বলল, কাল আর কি কি এনেছ তার সব তুমি বল নাই, সব বল, না হলে তোমার পেট ফাটিয়ে ফেলবো, বলেই ওর মাথা দিয়ে আমার পেটে গুঁতাতে লাগলো, আমি যে বলার সময় বলে, আরও কত কি এনেছি, এতে ওর সম্ভবত ধারণা হয়েছে, গতকাল ওর জন্য চকলেটও এনেছি কিন্তু ওকে বলে নি, লুকিয়ে রেখেছি, তাই ওর এই রাগ রাগ ভাব। ওর গুঁতোতে আমিও ব্যথা পাওয়ার ভান করে ওকে খুশি করার চেষ্টা করলাম এবং খুশি হয়েই সে বলল, ল্যাপটপে ডোরেমন চালিয়ে দাও! তাহলে তোমাকে আমি মাম দিব। আমি এটা শোনার অপেক্ষাতেই ছিলাম। এটুকুনি একটা মেয়ে এরই মধ্যে তার বাবাকে ব্ল্যাক মেইল করা শিখে গেছে। শিখে গেছে গিভ এন্ড টেক কি ও কাকে বলে। সবই যুগের হাওয়া! আমাদের অত্যধিক আদরও এর একটা কারণ হতে পারে। আর ওকে আদর না দিয়েই বা কি করবো? ও ছাড়া আদর করার আর কেইবা আছে আমাদের?

শুধু টিভি না আমার ল্যাপটপেও অন্যান্য কার্টুন আর মুভির সাথে একটা ডোরেমন মুভিও লোড করা আছে, আর এটা দেখাই আপাতত ওর টার্গেট। অনেকটা বাধ্য হয়েই ল্যাপটপে আমাকে ডোরেমন কার্টুনটা লোড করতে হয়েছে। না হলে মাঝে মাঝে ওকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে ওর মা’র পক্ষে। তাছাড়া ওর মাকেও মাঝে মাঝে টিভি দেখার সুযোগ করে দিতে হয় এবং আমারও সময়ে সময়ে দেশ বিদেশের খররা-খবর, মুভি, ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফী চ্যানেল দেখতে মন চায়। তখন এটা কাজে লাগে। কোন কোন সময় অবশ্য দুটোই দখলে নেয় সে।

সকালের এই সময়টাতে চ্যানেলটিতে বিভিন্ন রকমের আয়ুর্বেদিক ঔষধ বিক্রির নামে চলে এক ধান্দাবাজির আসর। অখ্যাত কোম্পানি গুলো টিভি চ্যানেলের চাঙ্ক টাইম কিনে নিয়ে দিনের পর দিন, তাদের বিদঘুটে পণ্যের জন্য সিনেমার পড়তি নায়ক-নায়িকা, অবসর নেওয়া ক্রিকেট খেলোয়াড়দের দিয়ে এমনভাবে “বিজ্ঞাপন গল্প” সাজায় যেন এটা খেলে, মালিশ করলে সব অসুখ হাওয়া হয়ে যাবে। কিছু কিছু ধান্দা বাজী দেখে তো আমি নিজেই থ, এরা “মা লক্ষ্মী”র নামে একধরণের সোনার লকেট বিক্রি করে, এটা কিনে ঘরে রাখলে নাকি “মা লক্ষ্মী” ঘরে স্থায়ীভাবে আসন গেড়ে বসবে। যত্তোসব! ধর্মের নামে ধান্দাবাজী। এই লকেটে কতটুকু সোনা আছে বা আদৌ আছে কিনা তা যদিও আমি জানি না। তবুও আমি বিশ্বাস করি এতে সোনা নেই, থাকলেও দাম অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে নেই, যারা এগুলো কেনে তারাও তা জানে না। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর- এই প্রবাদটির “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু” অংশটুকুই ক্রেতাদের সন্তুষ্টি আর বিক্রেতাদের বিজ্ঞাপনের মূল অস্ত্র!

ভারতীয় যে চ্যানেলটাতে এই কার্টুনটা বর্তমানে চলে তার নাম হাঙ্গামা। আগে চলতো ডিজনি চ্যানেলে। সেটা জনগণের তীব্র দাবির মুখে সরকার বন্ধ করে দেওয়ার পর এই হাঙ্গামা চ্যানেলের নতুন করে হাঙ্গামা শুরু হয়েছে। একটা টিভি চ্যানেলে প্রায় সারাদিন একই কার্টুন চলে, এটা কেমন কথা? অতিসত্বর এই হাঙ্গামাও বন্ধ করা উচিত।

সরকার সবচেয়ে ভাল করত; যদি আমাদের সব কয়টি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে একসাথে বা পর্যায়ক্রমে টেরিস্টরিয়াল ফ্যাসিলিটি দেওয়ার মাধ্যমে সারাদেশে এন্টেনার মাধ্যমে টিভি দেখার সুযোগ করে দিত। তাহলে একসাথে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। টিভি দেখায় আমরাই হয়ে যেতাম আমাদের নিয়ন্ত্রক, আর বেচে যেত মাসে মাসে একটা খরচের টাকাও। বর্তমানে আমরা “কেবলটিভি” নামক এক মাফিয়া নেটওয়ার্কের আওতায় আছি। পুরো হোম এন্টারটেইনমেন্ট টা এদের হাতে বন্দী। কারো কিছু করাও নেই, বলারও নেই। মাঝখানে কিছুদিন বাধ্য হয়ে বিটিভি দেখেছিলাম। ওটা দেখে যা বুঝলাম; এই বিটিভি’র সাথে জড়িত মানুষগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় তেলবাজ। এর খবর থেকে শুরু করে অনুষ্ঠান গুলো দেখে বোঝার উপায় নেই, আসলে দেশে কি ঘটছে এবং সামনে কি ঘটবে? আর যুগ যুগ ধরে এরাও টিকে আছে, যখন যেমন তখন তেমন তেল মারো’র ভিত্তিতে।

পাশের রুমে টিভিতে ডোরেমন চলছে, ভেসে আসছে, নোবিতা, সুজুকা, জীয়ানদের গলা, চলছে তাদের ছেলেমানুষি কার্যকলাপ, অঙ্গভঙ্গি, চেঁচামিচি, আর নিত্য নতুন গেজেটের ভেল্কিবাজি যা বের হয় নোবিতার বিপদের সময় ডোরেমনের পকেট থেকে। আর এগুলোর সবই বাচ্চাদের কাছে প্রিয়। আমিও আমার মেয়ের সাথে মাঝে মাঝে ডোরেমন দেখি আর বোঝার চেষ্টা করি কেন এই কার্টুনটা একযোগে সব ছোট ছোট পিচ্চি পাচ্চাদের এত পছন্দ। ওরা তো একে অপরকে এটা দেখার জন্য বলেনি বা আমাদের মত নেটে ফেসবুকে প্রচার চালাই নি? তাহলে কেন ওরা এটা দেখার জন্য এত এগ্রেসিভ, ডাই হার্ড? কারণটা কি? আরও তো অনেক কার্টুন আছে, টম এন্ড জেরি আছে, ছোটা ভীম আছে কিন্তু সেগুলো তো ওদের ডোরেমনের মত এত আকর্ষণ করে না? এখনো আমি সুযোগ পেলেই টম এন্ড জেরী দেখি আর ছোট বেলায় তো নিজেকে ভাবতাম থান্ডার ক্যাটসের লায়োনো। প্রতি শুক্রবারে তিনটা বাজার অপেক্ষায় থাকতাম সারা সপ্তাহ ধরে। আর ওইসময় যদি বিদ্যুৎ না থাকতো তাহলে তো দুঃক্ষেই মরে যেতাম, যা তখন প্রায়ই হত। ছোটদের নিয়ে থান্ডার ক্যাটসের মত একটা দলও তৈরী করেছিলাম আমরা তখন এবং তাদের মত করেই খেলতাম দলবেঁধে, টিভিতে যা দেখতাম বাস্তবে তাই করার চেষ্টা করতাম। আমার মতে, বর্তমানে বাচ্চারা যে কার্টুনটা টিভিতে দেখছে, তা তারা কয়েকজন মিলে খেলার ছলে প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছে না বলেই ভার্চুয়ালের ডোরেমন, নোবিতা, সুজুকা, জীয়ানদেরকে তারা তাদের বন্ধু মনে করছে এবং নিজেদেরকে ওদের সাথে একীভূত করে ফেলছে। ভার্চুয়াল আর বাস্তবের মিশ্রণে এক ধরনের বিচিত্র আনন্দ উপভোগ করছে ওরা।

আমি লিখছি, এমন সময় হটাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল, আমি প্রমাদ গুনতে গুনতেই আমার মেয়ে এসে হাজির। বাবা কি করছো? আমি তোমার স্টাইল চিনি মা, যেমন তুমি ইতিমধ্যেই চিনে ফেলেছ আমারটা, বললাম, আমি লিখছি মা। কি লিখছো? তুমি কিভাবে লেখো? বলেই পাশে এসে বসে কি বোর্ডের সাইড দিয়ে হাত ঘষতে শুরু করল। ল্যাপটপ দখলে নেওয়ার আগে সে এমনই করে আর যদি না পারে তাহলে পাওয়ার সুইচটি টিপে সে ল্যাপটপ শাট ডাউন করে দেবে। এখন যে কোন একটা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ও। আমি ওকে জড়িয়ে ধরে নিয়ে কোলে তুলে নিয়ে, জিজ্ঞাসা করলাম, নোবিতা, জীয়ান, সুজুকাদের সাথে আর যেন কারা কারা আছে মা? সাথে সাথে ওর উত্তর, সুনিয়ো, ডরিনি, মম, ড্যাড আছে, তুমি ভুলে গেল বাবা? আর আছে চুয়া, পিচুটে, তুমি কিছুই মনে রাখতে পার না। আমি বললাম, হ্যাঁ মা আমি ভুলে গেছি, মনে রাখতে পারিনা। আচ্ছা, বল তো এদের মধ্যে কাকে তোমার সবচেয়ে ভাল লাগে? উত্তর পেলাম, নোবিতা! একদম স্ট্রেইট উত্তর।

আমি ভাবতেই পারিনি ও আমার এই প্রশ্নটা এত তাড়াতাড়ি ধরতে পারবে। উত্তর শুনে আমি কিছুটা হতচকিত হয়ে বললাম, তুমি একটু অপেক্ষা কর মা আমি ডোরেমন চালিয়ে দিচ্ছি। এবারের উত্তর শুনে আমি অভিভূত পড়লাম, ও বলল, না বাবা আমি লিখবো ...

০৮/০৯/২০১৩
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×