somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু প্রশ্ন........এবং কিছু বিশ্লেষণ.... অতঃপর একটি অনুরোধ - কোন ক্ষুদ্র প্রয়াসই যাতে পিছিয়ে না যায় ...

০৩ রা মে, ২০০৮ সকাল ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পূর্ববতী পোস্ট : Click This Link

যতদূর জানলাম, শাইহান মোরশেদ এর প্রধান চিকিৎসা সিঙ্গাপুর থেকে করিয়ে আনা হয়েছে। এখন বাংলাদেশেই টানা বছরখানেক বা তারও বেশী তার চিকিৎসা চালিয়ে গেলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে বলে আশা করা যাচ্ছে । এ পর্যন্ত কম-বেশী ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে , যার একটা ভাল অংক যোগাড় করা হয়েছে AIUB থেকেই ।

আমার গত পোস্টটির উদ্দেশ্য হয়ত অনেকের কাছেই পরিস্কার হয়নি। কারণ, অনেকেই ৮০ লাখ কিনবা ৪ কোটি দেখে আগে থেকেই হতাশ হয়ে যাচ্ছেন, পিছিয়ে যাচ্ছেন; হয়ত ক্যালকুলেটর হাতে গম্ভীর হয়েও যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বিশেষজ্ঞের মত আগেই বলে দিচ্ছেন , এরকম রোগী ভাল হয়না । তাদের কাছে বিনীত প্রশ্ন, তাহলে এখন কি করা উচিৎ ????? এই শাইহান তাদের পরিবারের একজন হলে এই রকম সত্যি (!!! ???) কথাগুলো জেনেও তারা কি হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতেন ??? অবশ্য এটাও ঠিক অন্যের ভাল-মন্দগুলো আমরা দূর থেকে খুব চমৎকার ভাবে বিশ্লেষণ করতে পারি, এবং অনেক বেশী অভিজ্ঞ, বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে পারি নিমিষেই । এই সত্যটি আমি কিছু চিত্র-বিচিত্র অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছিলাম একসময় । আমিও হয়ত এরকমই করি অজান্তে, তবে অবশ্যই জ্ঞাতসারে চেষ্টা করি ঘটনার মমার্থ বোঝার ।

একটা উদাহরণ টানতেই হলো । বেশ কিছুদিন হলো এক সহকর্মীর উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে । সংসারে অনেক ব্যস্ততা । তার শুশুর অসুস্থ, ক্যান্সার । প্রতি মাসে দু'বার থেরাপি দিতে হয় । তাতেই মাসে লাখ চারেক চলে যাচ্ছে । এখানে আমার খুব বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে ইচ্ছা করে । সহকর্মীর শুশুর মানে হলো, একজন বয়স্ক ব্যক্তি, যিনি পৃথিবীর অনেক কিছুই দেখেছেন এখন পর্যন্ত এবং ক্যান্সার না হলেও এমনিতেই তিনি জীবন সায়াহ্নে অবস্থান করছেন । তার পিছনে মাসে এই লাখ লাখ টাকা খরচের কি মানে ??? এই টাকা সঞ্চয়ে রাখলে তার পরিবারের ভবিষ্যৎ কি অনেক সুন্দর হতো না ???

এক ব্লগ পোস্ট দিয়েই ৮০ লাখ কিনবা ৪ কোটি টাকা যোগাড় হয়ে যাবে ভেবে এই পোস্ট দেয়া হয়নি । এখানে সবার দরজায় একটা টোকা দেয়া হয়েছে , শুধু একটা হৃদয়বিদারক ঘটনা জানানোর জন্য। সবারই ব্যক্তিগত জীবনে সুবিধা-অসুবিধা থাকে, সামর্থ্যেরও ব্যাপার আছে । এইসব আগাপাশতলা ভেবেই কেউ যদি একটু এগিয়ে আসে । কিনবা এখানে হয়ত অনেকেরই অনেক ধরনের পরিচিতি আছে, সেখান থেকে হয়ত আরো ভাল কোন সমাধান বের হয়ে আসতে পারে ।

এই মুহূর্তে আমার আবারও একটু গুরুগম্ভীর হয়ে উঠতে ইচ্ছা করে । আমরা মানুষ, এটা যেমন আমাদের মনের উদারতাগুলো অনুভব করতে শেখায়, তেমনি আমরা মানুষ, তা মাঝে মাঝে আমাদের ভাবনাচিন্তার সীমাবদ্ধতাগুলো চরমভাবে উপলব্ধি করতে শেখায়।

আমি নিজেও যে বিশাল অংকের কোন সাহায্য প্রদান করেছি তা কিন্তু নয়, খুবই সামান্য সহযোগীতা আমার । সামর্থ্যের মধ্যে সাহায্য করেছি তা বলবনা, হয়ত সামর্থ্যের মধ্যে থেকেও আরো খানিকটা সাহায্য করা যেতে পারত । আমার সহকর্মী অনেক চেষ্টা করে যতটুকু ফান্ড যোগাড় করে আমাকে দিয়েছে, গুনে দেখলাম সেটার পরিমানও খুব বেশী নয় । তারপরও , পরিমাণ যত অল্পই হোক আমার সহকর্মী সেটাই গ্রহণ করেছে । কারণ, সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণও জরুরী ।

পরিশেষে, অনেকেই গত পোস্টে অনেক উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য করেছেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; আশা করি যে যার মত করে এই প্রতিশ্রুতিগুলো রাখবেন। সেই সাথে আশেপাশের মানুষদেরও এই ব্যাপারে জানাবেন । বর্তমানে প্রতিদিনই চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা খরচ যাচ্ছে, তাই অর্থের নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহ বেশ জরুরী ।

কোন সম্ভাব্য ক্ষুদ্র প্রয়াসই যাতে পিছিয়ে না যায় ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯
২০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×