চাঁদটা খুব তোড়জোর করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পূর্নিমার...............ফলাফল, সাদা-নরম আলোর বন্যায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর। লেকটার পাড়ে গিয়ে বসলে মনে হয় চাঁদ, লেক আর আকাশ মিলে মাতাল করে দেবার ফন্দি করেছে যেনো। প্রকৃতির এমন নগ্ন সৌন্দর্যের আহবান এড়াতে পারি না।
চাঁদের আলোটা এত তীব্র আর মাদকতাময় যে পানির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে কেমন যেন একটা ঘোর লেগে যায়। এনিমেশন মুভির মত চারপাশের মানুষের কথাবার্তা, গাড়ীর হর্নের আওয়াজ এগুলা হঠাৎই নাই হয়ে যায়.........।
থাকে মাথার উপর সারা আকাশটা জুড়ে শুধু একটা বিশাল চাঁদ আর ঝিরঝির বাতাস............আমি মুগ্ধ বিস্ময়ে ঘোরলাগা চোখে তাকিয়ে থাকি।
আমার কল্পনারা তখন আমার সাথে এক মায়াবি খেলায় মেতে ওঠে। যাকে কোনদিন সাহস করে বলা হয়ে ওঠেনি পৃথিবীর আদিমতম কথাটি............সে যেন তার সমস্ত অবয়ব নিয়ে আমার পাশে এসে বসে। আমি তার চুলের ঘ্রান পাই, তার চুড়ির আওয়ায শুনি, এমনকি তার হাতের স্পর্শও যেনবা অনুভব করি...............কিন্তু ভুলেও মাথা ঘুরিয়ে তাকাই না, জানি তাকালেই দেখবো কিচ্ছু নেই।
সময় কেটে যেতে থাকে এক অদ্ভুত আলো-আধাঁরির মায়াবী মন্ত্রমুগ্ধতায়।
তারপর একসময় ঘোর কাটে। আবার সেই মানুষের কথাবার্তা, যানবাহনের শব্দ............সেই পরিচিত পৃথিবী। ঘড়ি বলে উঠতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৩৫