যতবার তাকে দেখি ততোবারই ধাঁধাঁয় পড়ে যাই।
সে তো যেনো তেনো সাধারণ নারী নয়
নয় বাণিজ্য বাতাসে ভেসে বেড়ানো ফুলানো বেলুন
কিংবা রঙিন মাংশের কৌশলী ফেরীওয়ালা।
তাহলে কি সে কয়লার খনিতে জ্বলা
জ্যতির্ময় হীরার টুকরা?
নাকি কালো পাথরের ফুলদানিতে সাজানো
সদ্য ফোটা ইরানী গোলাপ?
অথবা কালো গেলাপে ঢাকা
পৃথিবীর পবিত্রতম ঘর?
কখনো তাকে আলীর খঞ্জর মনে হয়।
কখনো মনে হয় সে যেন বখতিয়ারের তলোয়ার।
তার আগমনের খবর শুনেই
জালিমেরা খিড়কি দিয়ে পালিয়ে যাবে
দলে দলে।
কখনোবা তাকে খান জাহান আলীর হৃদয় বলে ভুল করি।
মনে হয়, সে এসেছে কোন দূরদেশ থেকে
জঙ্গল কেটে,
বিষাক্ত সাপ মেরে,
ভয়ঙ্কর জন্তু-জানোয়ারদের তাড়িয়ে
এখানে সে মানুষের বসতি গড়বে।
খুড়বে দীঘি,
গড়ে তুলবে অপূর্ব স্থাপত্য
রাজপথ ও মসজিদ।
কখনো তাকে বাংলাদেশের পতাকা বলে ভুল করি।
দ্যাখো, কি অপূর্ব শান্ত- দৃঢ়তায়
শত ভ্রুকুটি, ষড়যন্ত্র, চোখ রাঙানী আর আস্ফালনকে
পিছনে ফেলে
সে এগিয়ে চলেছে
অদম্য পায়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:০৯