খায় আমার দাদা,
এতেই আমি হই খুশী,
থাকি সুখী সর্বদা।।
ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। ভৌগলিক অবস্থানের জন্য বাংলাদেশের নদী ও সমুদ্রে ইলিশ ধরা পরে সবচেয়ে বেশী। আর কোথাও তেমন ইলিশ পাওয়া যায় না, ধরাও পড়ে না। আর এখানে ধরা পড়া ইলিশ গুলোর স্বাদও বেশী এটা সর্বজন স্বীকৃত। অথচ এখন এই সম্পদ হুমকির মুখে। আমাদের নিজের সম্পত্তি হওয়া সত্বেও এটা আমাদের কিনতে হয় অনেক অনেক চড়া দামে। আজ আমাদের এত অধঃপতন কেন? আমাদের নিজেদের নীতির জন্য এই অবস্থা। আমরা নিজের ভাল নিজে বুঝি না। টাকাটাই চিনলাম শুধু। নিজের দেশে ইলিশ বিক্রি না করে পাইকাররা সব ভারতে পাঠিয়ে দেয়। যার কারণে মূল্য বাড়ে এদেশে। চোখের সামনে দিয়ে চলে যায় আমাদের সম্পদ অন্যের হাতে। অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন, ভালই তো দেশ বৈদেশিক মূদ্রা আয় করছে। না তা নয়, বেশীর ভাগ মাছই যায় চোরাচালানের মাধ্যমে। আর লিগ্যাল ওয়েতে যতটুকু যায় সেটা তেমন কোন প্রভাব ফেলেনা অর্থনীতিতে।
বৈশাখে পান্তা ইলিশ খাওয়ার একটা রেওয়াজ দাড়িঁয়েছে বাংলাদেশে। সেই রেওয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে পাইকাররা বাড়িয়ে দিয়েছে ইলিশের দাম। আর অপেক্ষাকৃত কম দামে ভারতে ইলিশ পাচার করে দেয়।
মোট ছয় মাস ইলিশ রফতানি করা যাবে না, এমন একটি নোটিশ জারি করেছিলেন একবার তত্বাবধায়ক সরকার কিছুদিন আগে। খবরে প্রকাশ যে, নববর্ষের উৎসবকে কেন্দ্র করে দুইদিনে প্রায় ৪০ হাজার কেজি ইলিশ শুধু কলকাতা পাঠানো হয়েছে। আর আমাদের দেশে কারওয়ান বাজারে একজোড়া ইলিশ মাছ ৭০০০ টাকায় বিক্রি হয় বলে বিক্রেতার মন খুব খারাপ। হায়রে দেশ! হায়রে দেশপ্রেম! পশ্চিম বঙ্গের আমদানীকারকরা আগে থেকেই চুক্তি করে রেখেছিল যে পহেলা বৈশাখের সময় এই পরিমান মাছ তাদেরকে পাঠাতে হবে। ওখানকার দাদারা মজা করে ইলিশ মাছ খেযে কাটাঁ চাবায়। আর আমরা বিড়ালের মত চেয়ে চেয়ে দেখি। আহা কি মজা!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:১৭