somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগারদের সাথে আমার উরাধুরা নববর্ষ উদযাপন

১৪ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঁঁবাংলা নববর্ষের দিনটা কিভাবে কাটামু এই নিয়া প্লানের মেষ ছিল না। এই প্লান করতে গিয়া কাইলকা রাতে আর ঘুমানো হয় নি। শেষ রাতে যখন ঘুমালাম তখনতো অবস্থা খারাপ। চোখে ঘুম ছাড়া আর কিছুই নাই। এমনকি শরষে ফুল ও নাই। সক্কাল হইতে দেহি খালি ফুন আর মেসেজ। আমি ঘুমে থাইক্যাই মেসেজ পড়তে লাগলাম আর ফুন রিসিভ করতে লাগলাম। ;)
খুব সক্কালবেলাই আমার এক জি স্পেস এফ এর ফুন। সে নাকি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ঘুরাঘুরি করতাছে..আমি কই। কইলাম এই ইট্টু কাজে ব্যস্ত। আসলে আমার চোখে তখনো ঘুম। ;) :)
যাই হোক ঘুমের ফাইনাল স্টেজ শেষ হইলো সাড়ে ৮ টায়। তখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে লাগলাম। রাস্তার জ্যামের কথা মনে হইতেই মন কয়েক দফায় খারাপ হতে লাগলো। কি আর করা!!
রাতমজুর ভাইজান দেহি ফুন করে। কেমতে কি ! ও তিনিও দেহা যায় এখনো রেডি না। যাই হোক মনে মনে কিঞ্চিৎ আশ্বস্ত হইলাম যে দেরি হয় নাইক্যা। :)
সাড়ে নয়টার দিকে সামী ভাইজানের ফুন। ভাবলাম আগেই চইলা আইলো নাকি!! ;) আসলে এইডা কি সম্ভব নাকি?? আমি একটু ভাব নিলাম.....
দশটা বাজার আগেই দেহি উন্ম্যাড নাইম ভাইজানের ফুন। আমিতো টাসকি! পোলাডা এতো্ আগে আইলো কিতা? :( আমি কুনুমতে নিজের দোষ ঢাকার জন্য বললাম আসেতছি দশ পনের মিনিটের মইধ্যে ;)

এরইমধ্যে আইরিন আপুর ফুন। কেমতে যাইতে হইবো..এইসব জিজ্ঞাসা। আমি বলার পর বললো রওনা হচ্ছেন। আশ্বস্ত হইলাম শুইনা। যাইহোক আগেই রওনা হচ্ছেন তিনি।

অবশষে বহুত ঝামেলা পেরিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়া পৌছলাম সাড়ে দশটার দিকে। ততক্ষণে সামী মিয়াদাদ ভাইজান সঙ্গে আরেকজন নবাগত ব্লগার(নিক বলতে রাজি না তিনি) হাজির। তাদের খুঁজে বের করতে হবে। ওদিকে নাইম ভাইতো আছেই। কিন্তু কেমতে কি !! মুবাইল ফুন অপারেটরগুলার যা অবস্থা । ফুন করতে গিয়া একবার না পারিলে দেখ শতবার :(


সামী ভাইরে ফুন করতে করতে অবস্থা খারাপ। ওদিকে নির্ধারিত স্থান হাকিম চত্তরে গিয়া দেখি উড়াধুরা অনুষ্ঠানের কারনে বিশাল ভীড়। বাধ্য হইয়া স্থান পরিবর্ত করতে হ্ইলো। গিয়া দাড়াইলাম ভাষা ইন্সটিটিউটের মাঠের পাশে।

এরইমধ্যে সামী ভাইকে খুঁজে পাওয়া গেল। সঙ্গে আরেকজন নতুন নিকের ব্লগার। উন্ম্যাড নাইম ভাইয়ের ফুনে কল যাচ্ছে না :( বহুত কষ্ট শেষে নাইম ভাইকে পাওয়া গেল। প্রাথমিকভাবে এই পাঁচজন মিলে আড্ডা শুরু হলো। কিন্তু কেমতে কি? সোন্দরী মাইয়া দেখলেই খালি নাইম ভাই তার পিছে পিছে যাওয়ার লাইগ্যা প্ররোচনা দেয়। সামী ভাইয়ের ইতিবাচক মনোভাব দেইখা অবশেষে আমিও রাজি হই ;) ;)

কিছুক্ষণ পর সুনীল সমুদ্র ভ্ইজান হাজির বড় এক প্যাকেট নিয়া। সঙ্গে অনেক খাবার দাবার। ;) :) আড্ডা শুরু হলো এই কয়েকজন মিলে। পাবলিক এতো অলস ক্যান!! আসতে এতো দেরি!! :( :(

আইরিন আপুরে ফুন করলেই শুন রওনা হচ্ছেন। অথচ পৌছার কুন নামগন্ধ নাই । কিছুক্ষণ পর সাতিয়া মুনতাহা নিশা এবং লঙ্কার রাজা হাজির। আরো হাজির বিলাই মহাজন মানে বহুরুপী মহাজন আর প্রত্যু ভা্ইজান।

ভাষা ইন্সটি্ট্উটের সামনে গিয়ে দাড়ালাম আমরা। কমু কমেতে। লেখাজন গেল পেপার নিয়া আসতে। দেহি বিলাই দা একগাদা পুরান পেপার নিয়া হাজির। পেপার বিছায়া বসে আড্ডা শুরু করলাম। বইসা ফুন দিলাম ক্যামেরাম্যান ভাইকে। হায় ফুন বন্ধ!!! । ফুন দিলাম বিবর্তনবাদী ভাইকে ...উনি নাকি গাজীপুরে। ফুন দিলাম অন্যরকম ভা্ইকে, মনে হয় উনি ব্যস্ত ছি্লেন। কে এস আমীন ভাইজানেরও একই কেস। আরো বেশ কয়েকজন ব্লগারকে ফুন দিলাম। কিন্তু ফনের নেটওয়ার্কের যা অবস্থা!!!

বহুতক্ষণ পরে আইসা হাজির আইরিন আপু আর কালপুরষ দা। তখন আড্ডা জোরে শোরে শুরু হ্ইয়া গেছে।
একফাকে খেয়ে নিলাম। হেব্ভি খানা পিনা। এরজন্য ধইন্যবাদ রাতমজুর ভাইকে। :) : আড্ডা আয়োজনের জন্যও..
ও এর আগে অবশ্য আইসক্রিম খা্‌ইছি সুনীল সমুদ্র ভাইজানের কল্যানে। ;) :)

খানাপিনা শেষে আবার আড্ডা শুরু। নানান কিছিমের গল্প। কিন্তু ফরেবলেম হইলো সোন্দরী ললনা আইলেই নাইম ভাই খালি তাগ দিকে তাকায়া থাকে।;) তাগো পিছে পিছে যায়।;) মাইনাচ টু নাইম ভাই :) :) :)

কিছুক্ষণ পর আড্ডায় সারিয়া তাসনিম আপু হাজির। আবারো আড্ডা জমে উঠে।

বৈশাখী আমেজ চারদিকে। এরইমাঝে চারপাশের দৃশ্য দেখি আর আড্ডা দেই। আড্ডা শেষ হয় বিকাল বেলা। সবাই আস্তে আস্তে বিদায় নিতে থাকে। আমি, সামী ভা্ই, নিক না জানা ব্লগার ভাইজান রওনা হই বাসার উদ্দেশ্যে। বহুত ভীড় ঠেলে হেটে হেটে চলে আসলাম ফার্মগেট। তারপর সামী ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসার পথে রওনা... :) এরইমধ্যে আরেক জি স্পেস এফ এর ফুন। কয় যাইতে। আমি কই কেমতে কি??? ইট্টু রাগ করলো তাতে। কি আর করা আমি চলে আসলাম বাসায়।

এভাবেই কেটে গেল নববর্ষের প্রথম দিনটি। :) :) :)

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৫৫
৬৭টি মন্তব্য ৫৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×