প্রাণের ছোয়া লাগুক প্রাণে .........
১৪ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার আগেই ব্লগার আবু সালেহ'র ফোন আর নববর্ষের শুভেচ্ছা। যাক দিনটা ভালই কাটবে মনে হয়। রুম থেকে বেরোতেই দেখি দুই ভাগ্নির সাজ সাজ রব। ওদের মা বললো ওরা টি.এস.সি. তে যাবে। আমিও যাচ্ছি কাছাকাছি হাকিম চত্বরে। তবে ওরা যাবে বান্ধবীদের নিয়ে। সুতরাং আমি আমার মতো যেতে পারি। নাস্তা শেষ করতেই মুঠোফোনে শুভেচ্ছা বার্তা পেলাম ব্লগার আইরিন সুলতানার। ফিরতি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েই রওনা হলাম বাসের উদ্দেশ্যে। বাস সোনারগাঁও এর কাছে এসে বাস ঘুরিয়ে দিল। কি আর করা। হাটতে হাটতে একসময় চলে এলাম ঢাকা ভার্সিটির লাইব্রেরীর সামনে। আসার পথে চারুকলার সামনে দেখি এক সুন্দরী এক মাইক্রোবাসের গ্লাসে প্রতিবিম্ব দেখে নিজের মেকাপ ঠিক করছে। সবিনয়ে এই অবস্থার একটা ছবি তুলতে চাইলে ফিক করে হেসে ফেললো। কিন্তু তার সংগী কঠোর ভাষায় আপত্তি করায় মনের দূঃখে সামনে আগালাম। বন্ধু বান্ধবদের লোকেশন জানার জন্যে মোবাইল বের করলাম। কিন্তু একি !!! কোন নেটওয়ার্ক নেই দেখি। কি আর করা। জনগণের মূখ দেখতে দেখতে আর বোকার হাসি দিতে দিতে হাকিম চত্বরে চলে এলাম। সেখানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি এক্স ষ্টুডেন্ট ফোরাম আয়োজন করেছে সারাদিন ব্যাপী সংগীতের আসর। এই সংগঠনটির হর্তাকর্তারা আবার সবই বন্ধু মানুষ, যদিও আমি এখানকার ছাত্র ছিলাম না। ণ্টেজের পিছনে আসতেই সবার সাথেই দেখা হলো। অতঃপর শুভেচ্ছা বিনিময় এবং সংগীত উপভোগ। ভাল লাগলো রিংকুর গান। দুপুরের দিকে বন্ধু দুলু হাতে একটা কুপন ধরিয়ে দিয়ে বললো খেয়ে আসতে। আরো কয়েকজন বন্ধু আর তাদের পরিবারদের সদস্যদের সাথে নিয়ে আমরা সবাই গেলাম ডাকসু ক্যাফেটারিয়ায়। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সেরে আবার এলাম হাকিমে। শুনলাম আখি আলমগীর আসবে। কি একঠা অখাদ্য গ্রুপ জানি উঠলো ষ্টেজে। চিঁ চিঁ করে গাইলো হাবিবের দুইটা গান। এদিকে আখি আলমগঅরের কোন খবর নাই। মোবাইল নেটওয়ার্ক ফেইল, যোগাযোগও করা যাচ্ছে না তার সাথে। উদ্যোক্তারা চা বিরতী দিয়ে গ্রুপটাকে নামালেন ষ্টেজ থেকে। ষ্টেজের পিছনে তখন কয়েকজন বাউল বসেছিলেন, যারা ঠিক আমন্ত্রিত ছিলেন না। অনেকটা আশায় ছিলেন যদি চান্সে গান গেয়ে দু'টো পয়সা পাওয়া যায়। উপায়ান্তর না পেয়ে তাদেরকেই উঠিয়ে দেয়া হলো শেষ পর্যন্ত। তারা অবশ্য ভালই জমিয়েছিলেন। আর শেষ পর্যন্ত আখি আলমগীরের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় নাই।
শেষে সবার সাথে বিদায় নিয়ে আবারও হাটতে হাটতে বাংলা মোটর আর সেখান থেকে যুদ্ধ করতে করতে উত্তরায়, বাসায়।
১৪১৫ নববর্ষ উদযাপনের সবচেয়ে খারাপ দিক হলো সা.ই. এর কোন ব্লগারের সাথে দেখা না হওয়া। দুইবার চক্কর দেয়ার পরও কারো দেখা পাই নাই। আর এর জন্য দায়ী মোবাইল কোম্পানীগুলি। মিলিনিয়াম (২০০০) উদযাপনের সময়ও তাদের নেটওয়ার্ক ঠিকমতো পাওয়া যায় নাই, এই ২০০৮ এ এসেও একই অবস্থা। এদের বাজে সার্ভিসের খপ্পর থেকে কবে যে মুক্তি পাব।
যাই হোক। ভাল-মন্দ মিলিয়েই শুরু হলো বাংলা নববর্ষ ১৪১৫। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। প্রাণের ছোয়া লাগুক প্রাণে .....
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে...
...বাকিটুকু পড়ুন ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো...
...বাকিটুকু পড়ুন লিখেছেন
সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮
নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে...
...বাকিটুকু পড়ুন আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন
বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।
কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।
সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।
যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন