somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভাত দে হারামজাদা, নইলে গদি খাবো

১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের এক ভয়ংকর মুহুর্তে রাজনীতিকদের কাদা ছোড়াছুড়ির সুযোগে সেনা সমর্থিত বর্তমান সরকারের আগমনে এবং তাদের সুমধুর বচনে অনেকেই আশাবাদী হয় ওঠে যে যাক, রাজনীতিকদের নোংরা কুটচাল হতে দেশ বুঝি মুক্তি পেল। যারা অল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছিল তাদের বুঝি সাজা হবে।

দুর্নীতির দায়ে যখন বড় বড় রাঘোব বোয়ালরা কারাবন্দী হচ্ছিল তখন আমার মতো চুনোপুটিরা এ ভেবে খুশি যে এবার কিছু একটা হবেই হবে। ক্ষমতা দখলের (তাদেরকে ক্ষমতা দেয়া হয়নি, তারাই নিজে নিয়েছে) বছর পার হলেও বিচারের নামে প্রহসন ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না। কখনও শুনি মাইনাস ২, কখনও শুনি মাইনাস ৩ আরো কতো কি। তবে সারাদিন মইন আহমেদ ছবি টিভিতে দেখে মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যায় যে দেশ প্রধানের নাম মইন আহমেদ না অন্য কেউ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারলেন না। দুর্নীতিবাজদের বিচার করতেছেন, ভাবলাম দেশ বুঝি দুর্নীতিমুক্ত, কিন্তু টিআইবি রিপোর্ট বলে উল্টো কথা। অযথাই একটি ইস্যূ তৈরী করে হুজুরদের চেতালেন, নাকি এটি নিজেদের সৃষ্টি? যেন আমাদের দৃষ্টি অন্যদিকে ব্যস্ত থাকে? ক্ষুধার অভাব ভুলে থাকি আমাদের ধর্ম গেল এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে?

অনেক শিল্প-কারখানা আপনারা বন্ধ করেছেন আর বর্তমান বন্ধ্যা অর্থনীতির কারনে আরো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। চাকরির বাজার মন্দা, গরমের শুরুতেই অসহ্য লোড শেডিং যা করতে পারবেন না, যা করার ক্ষমতা আপনাদের নাই তাতেই আপনারা হত দিয়েছেন এবং লেজে গোবরে করেছেন।

আপনারা চেয়েছিলেন দুর্নীতিবাজদের বিচার এবং একটি নির্বাচন। আপনাদের কাজের যে গতি তাতে ২০০৮ এর ডিসেম্বর কেন ২০১৮তেও হবে কিনা আল্লাহ পাক ভাল জানেন। ভোটার তালিকা শেষ হয়নি, রাজনৈতিক দলের সংস্কার শেষ হয়নি, দুর্নীতিবাজদের বিচার শেষ হয়নি, স্বচ্ছ ব্যলট বাক্স হয়নি। তাহলে বিগত ১ বছরে কি করে সময় কাটালেন? উপদেষ্টাদের নাকি নিশান গাড়িতে আরাম হয় না। তাদেরতো কাজের চাপে বোধ শক্তি কমে যাবার কথা। তা না হয়ে গাড়িতে আরাম হচ্ছে এমন বোধ কি করে হলো? তারা কি সারাদিন গাড়িতে করেই মৌজ করে সময় কাটান?

সিন্ডিকেট ভাংগার উদ্দেশ্যে বড় বড় ব্যবসায়ীকে ধরলেন কিন্তু কিছু করতে পারলেন না। আবার ছেড়ে দিতে হলো। বাজারে গিয়ে বহুত হুংকার ছাড়েন কিন্তু জিনিস পত্রের দাম কমাতে পারেন না। দিনে দিনে ওএমএসের লাইন বড় হয়। নিম্নবিত্তর পাশাপাশি এখন মধ্যবিত্তরাও লজ্জার মাথা খেয়ে লাইনে দাড়িয়েছে। পন্যের দাম এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার অনেক অ-নে-ক বাইরে চলে গেছে।

বাড়ি ভাড়া বেড়েছে-
যাতায়াত ভাড়া বেড়েছে-
চিকিৎসা ব্যয় বেড়েছে-
সকল খরচ বেড়েছে-
বাড়েনি আয়...

ভেবেছিলাম এ সরকারের শেষ দিন পর্যন্ত কিছু বলবো না। শেষদিন পর্যন্ত তাদের কাজ দেখে যাবো, আশা করে যাবো। কেননা আমাদের মতো সাধারন জনগনের আশা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। কিন্ত যখন দেখি সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে অথচ প্রদত্ত কাজের কিছুই হয়নি, যাও হয়েছে বাকি আছে এখনও অনেক যা নির্ধারিত সময়ে কোনমতেই সম্ভব নয়, তখন চুপ থেকে কি করবো?

এখনকার আয়ে রিক্সাওয়ালার সংসার চলে না, তাই ভাড়া বাড়িয়েছে, আমিও দিতে বাধ্য হই, দিয়ে দেই।
সিএনজিওয়ালা ভাড়া বাড়িয়েছে, আমিও দিয়ে দেই।
বাড়ীভাড়া বেড়েছে, আমিও দিয়ে দেই।
ওষুধের দাম বেড়েছে, আমিও দিয়ে দেই।
চালের দাম বেড়েছে, আমি যে আর দিতে পারি না, আগেই সব শেষ...
আর তো পারিনা-
“ভাত দে হারামজাদা, নইলে গদি খাব"
১২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×