মিচকা শয়তান ৪ এই লিংকে
রাত্রে সাকিবের জন্মদিনে ওর বাসায় গেল। সেখানে দেখা হল শামীমের সাথে। ছেলেটা আগের থেকে লেখাপড়ায় উন্নতি করেছে। এখন অনেক পড়ে। যাইহোক রাত ১০টার দিকে সাকিবের বাসা থেকে বেরলো রাশেদ। বাসায় ফেরার পথে বাবার ফোন।
বাবাঃ ওই, তুই কই? এখন বাসায় আছস নাই কেন?
রাশেদঃ আমি রাস্তায়। আসতেছি....
বাবাঃ এত রাইতে বাইরে কি কর? তাড়াতাড়ি বাসায় আসো।
রাশেদ তাড়াতাড়ি বাসায় এল। দরজার সামনে এসে একটু দ্বিধা করলো। বাবা আজকে না জানি কি করে। তারপরে সাতপাচ ভেবে কলিংবেল বাজালো। দরজা খুলল ছোটভাই। রাশেদ ভিতরে এসে দেখল তার বাবা তার টেবিলের সামনে বসে আছে। রাশেদকে দেখে তার বাবা ভিতরের রুমে চলে গেল। রাশেদ যেনো হাফ ছেড়ে বাচলো। ওর বাবা বেশি রেগে গেলে কিছু না বলে এভাবেই ভিতরের রুমে চলে যায়। বাবা আজকে আর ওকে কিছু বলবে না।
রাশেদ মাকে বলল যে ও খাবেনা। খেয়ে এসেছে। রাশেদের মা অবাক হতেই ও জানালো যে আজকে সাকিবের জন্মদিন। তাই তার বাসায় দাওয়াত ছিল। ঘুমাতে গিয়ে মোবাইলে এলার্ম দেওয়ার সময় দেখল একটা মিসকল। মিসকলটা দিয়েছে জেবা। সময় ৯ টা ৪৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড। আর এখন বাজে রাত সাড়ে ১০টা। তাড়াতাড়ি কল জেবাকে করল। ধরল জেবা।
জেবাঃ হ্যালো রাশেদ। কেমন আছো?
রাশেদঃ ভাল। তুমি?
জেবাঃ ভালই। রাশেদ, আজকে নাকি সাকিবের জন্মদিন ছিল?
রাশেদঃ হ্যা। তোমাকে কে বলল?
জেবাঃ কোচিং-এ যখন একসাথে পড়তাম তখন ও একদিন বলেছিল।
রাশেদঃ ওওও। আমি একটু আগে ওদের বাসা থেকে আসলাম।
জেবাঃ ওর মোবাইল নাম্বারটা একটু দিতে পারবে?
রাশেদঃ পারবো। নাও। ০১৭১৬৫৮৫২৩
জেবাঃ থ্যাংক ইউ। আচ্ছা এখন রাখি। খোদা হাফেজ
রাশেদঃ খোদা হাফেজ।
রাশেদ মোবাইল রেখে ঘুমিয়ে পড়লো।
*************************************
পরদিন সকালে রাশেদের ঘুম ভাঙ্গলো পাখির ডাকে। বিছানার নিচে একটা পাখি ডাকছে। রাশেদের পুরো ব্যাপারটা বুঝতে একটু সময় লাগলো। পাখিটা ওর মোবাইল। মোবাইলে এলার্ম বাজছে। উঠে দেখল সকাল সাড়ে সাতটা বাজে। তাড়াতাড়ি উঠে কলেজে চলে গেল। আজকে কলেজের শেষ দিন। আর কিছুদিন পরেই এইচ.এস.সি পরীক্ষা।
চলবে......
(মোবাইল নাম্বারটা আন্দাজে দিয়েছি। কেউ মনের ভুলেও ফোন কইরেন না। ফোন কইরা গালি খাইলে লেখক দোষী হবেনা।)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:০৭