বিমান বন্দরের মসৃণ মেঝেতে
আমার ভারী, কাঁপা পদক্ষেপ
আবারও যোজন দুরত্বের ব্যাথামালা
হৃদ মাঝে সেই পুরনো আক্ষেপ।
শেষ মুহূর্তের দ্রুত পদচারনায়
বেখেয়ালে,একটু ভুলে
ভুল টার্মিনাল থেকে
আরো দ্রুত ফিরে আসা
হাতে ধরা টিকেট বলে দেয়-
একটুপরেই বিমান মেলবে পাখা
ক্ষীণ দোলাচলে ভাবি -
যাক না ছুটে, ক্ষতি কি!
শুধু আরো ক'টা দিন
অনুভবে অণুক্ষণ বাঁধনহীন
চোখে আলতো স্বপ্ন মাখা।
সামলানো যায়নি, বাঁধ ভেঙেছিল
চোখের প্রবল জোয়ার
আড়াল করতে নিজেকে
বুঁজে ফেলি, নয়তো
দৃষ্টি মেলে ধরি আবেগে
বিমানের চারকোনা ছোট জানালায়;
রাতের প্রলেপে জানালার কাঁচ
টলটলে আরশি যেন
তোমার মুখ ওঠে ভেসে ,
চোখ চেয়ে থাকে মাদকতায়
ছুঁয়ে ফেলি কাঁচ- জানি বোকামি,
আজ বোধটুকু যে বড় অসহায় ।
আমি ফিরে আসি আপন বলয়ে
আমার ঘর, পরিজন, সেই ব্যস্ততা
সেই নিতি যুঝতে থাকা
তবু অনেকের ভিড়েও একলা লাগে
ফেলে আসা সঙ্গ অনুভবে জাগে
জেনে রেখো, ভুলিনি কিছুই
হাসি, খুনসুটি, সুরে সুর বাঁধা
ওলিগলি কিনবা ব্যস্ত সড়কে
জানা-অজানায় জমে ওঠা হৃদ্যতা।
বন্ধু, তোমাকে জানাতে বিদায় বারেবারে
ভেঙে যায় মন পলে পলে
প্রতিবার চাতক পাখি হয়ে যাই
আপন মনে, আনমনেই নিজেকে হারাই;
দ্বায়িত্ববোধ, জাগতিক সীমাবদ্ধতা, রীতিনীতি
অথবা জীবিকার তাগিদ
জানিনা ওগুলো কারণ নাকি বারণ
তবে ওখানেই তোমার আমার
হাজারো মাইল ভূমি দূরত্ব
হাতের ঘড়িতে সময়ের ব্যবধান;
তাই উষ্ণ হৃদয়ে, সিক্ত চোখে জপি
বন্ধু, আবার দেখা হবে তো ? কবে ?
জেনো, কবিতাগুলো সুরের স্পর্শে
গান হবে বলে অপেক্ষমান।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৩৬