যতদূর চোখ যায় খাঁ খাঁ প্রান্তর
ধু ধু বালুচর
নদীতে অনির্দিষ্টকালের ভাটা
পল্লবহীন সারি সারি গাছ ;
এক লহমায় বদলে গেল দৃশ্যপট।
প্লাবিত মাঠ-ঘাট
তোড়ে ভেসে গেল বাধ
মরুভূমি সবুজ মখমলে ছাওয়া
কচি পত্রের আনাগোনা শাখে ;
আমি এক প্লাবনের অপেক্ষায় ছিলাম
এক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম ।
ঝলমলে শহরে নিশাচরদের আনাগোনা
বড় বেশী যান্ত্রিক হাঁটাচলা
প্রাণহীন ছোঁয়াছুঁয়ি
বিকিকিনি উদ্দামতা ;
ভিড় থেকে সরে নিজেদের খুঁজে পাওয়া ।
জমে থাকা পানি
কংক্রীটের মেঝেতেও মৃদু স্রোত
ছপছপে আওয়াজে মৃদু ভাললাগা
দু'জোড়া পায়ের শ্লথ গতি
একটু আলো-আঁধারি
অনেক নি:স্তব্ধতা
স্বল্প কথায় চোখাচোখি ঘনঘন;
আমি একরাশ মৌনতার অপেক্ষায় ছিলাম
এক উষ্ণ রাতের অপেক্ষায় ছিলাম।
কিছু বলার উচছাসে ছিলাম
শোনার উৎকন্ঠায় ছিলাম
এক মুহুর্তের প্রতীক্ষায় ছিলাম ;
অভিমান ভাঙার অপেক্ষায় ছিলাম
অনুভবে শিহরিত ছিলাম
আমি এক স্পর্শের অপেক্ষায় ছিলাম ;
স্বপ্ন দীপ জ্বেলে দাঁড়িয়ে ছিলাম
ধরবে বলে হাত বাড়িয়ে ছিলাম
ফিরে যাবনা বলে এসে ছিলাম ;
একটু ভাললাগার অপেক্ষায় ছিলাম
আমি শুধু ভালবাসার প্রতীক্ষায় ছিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:১৬