ভরাট জলের চোখ নিয়ে চলে যাওয়া তার। একটি শূন্যমত্ত দিবস হাহাকার
করতে করতে কোথাও গর্ত খুঁজে নিরুদ্দেশ হলে পর শুধু অন্ধকার আর
অন্ধকার- নিভছে সমস্ত আশা- আকাঙ্ক্ষার নীলচে' পাহাড়- সুন্দর কোন
দেহজ গড়ন দেখতে দেখতে ছুটে চলা চোখ ট্রেনের জানালায়- বাস্তবিক
তাই, হ্যাঁ চলছিলেন ট্রেনেই। জানালায় আপাত অন্ধকার হয়ে আসা
দৃষ্টির হরিদ্রাভ সাময়িক বিকাশের মুহূর্তে তিনি দেখছিলেন তার সমস্ত
হন্তারক বিশ্বাসকে চেপে একটি অনুপম সুন্দর রোগা আর দুর্বল চলার
গতির পরম্পরায় একটি মেয়ে- যেন যাচ্ছে সুর্যাস্তের দিকে কান পেতে
আস্তে আস্তে ট্রেনের সামন্ত শব্দের অধিকারকে মাড়িয়ে দু'য়েকটি কচি
উঁচা ঘাসকে ছিঁড়তে ছিঁড়তে এক মনে একাঙ্কিকা নাটকের সবচে' গাঢ়
অভিনয়টি সাঙ্গ করে। এখানে সন্ধ্যা আজকে বিষন্ন নয় যা বিগত কয়েক
দিবস লাগছিলো গুঁজে দেয় তুলার মতন।
বুড়ো মানুষটার ফ্যাস-ফ্যাস করে গান গাইবার সুরটিও স্পষ্ট আন্দোলিত
হচ্ছে- মনে আসছে কফ জমা কন্ঠের বিরতীযুক্ত ঠেকে চলা বুড়োর গান-
তুমুল হাওয়ার টানাপোড়েন আর জংশনে কাটানো রাত, ঘন মশার
জঙ্গলে নিষিদ্ধ যাপনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কাছে আজকের সন্ধ্যা- ক্রমশ
ঘন হয়ে আসা খয়েরী অন্ধকারের রেশ ধরে দূরে- ওই হেঁটে যাওয়া
বুড়োর গানের মতো মাঝে মাঝে হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা- ঘাস ছেঁড়া-
থেমে যাওয়া- ফড়িং ধরা- ধরতে না পারা- হাসা কিংবা না হাসা-
একবার ফিরে দেখা না দেখার বাসনা- সন্ধ্যার বিষন্ন আকাশের
নিচে এই মেয়েটির ক্রমশ উত্তাপ দেয়া স্নিগ্ধতার পাশ দিয়ে কখন যে
ট্রেনটি সাপের মতো বুক ডলে সবুজ প্রান্তরকে দু'ভাগ করে পূব
থেকে পশ্চিমে চলে গেলো- খেয়াল হলো না।
তিনি দেখলেন সেই মুহূর্তটি বিগত হলো। অনন্যোপায় বিকারগ্রস্ত চোখে
উঁকি মারলেন জানালার বাইরে মাথাটা দোলাতে দোলাতে যদ্দুর দেখা
হয়...। শুধু বৃষ্টির ভেজা তালগাছ আর ডুবন্ত ধানের মাঠ। হাত
বাড়িয়ে ধরতে যাবার আগেই তার মাথার টুপিটা দৃষ্টির নিক্ষেপের
মতোই মুহূর্তে দূরে বহুদূরে একবার গাছে, ঘাসে,
শেকড়ে আঘাত খেতে খেতে হারিয়ে যায়। অফুরান বেদনার বোবা শব্দের
কতক দৃষ্টিপাত ছাড়া আর কিছুই পেলো না গল্পটি।
কবিতাটির রচনাকাল ১৯৯৯ সাল। ২০০১ সালে আমার সম্পাদিত ছোটকাগজ 'কবিতাপত্র' র নভেম্বর সংখ্যায় এটি শাখের আহমেদ কবিনামে প্রকাশিত হয়। বহুদিন পরে কবিতাটি হাতে পেয়ে একপ্রকার স্মৃতিকাতরতা থেকে ব্লগে প্রকাশ ঘটানো হলো।
আর কবিতাটির ইলাস্ট্রেশন হিসেবে ব্যাবহৃত স্কেচটি আমার নিজের। এটি
Beyond the time in whispering শিরোনামের একটি সিরিজ চিত্রকর্ম থেকে নেয়া।
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শেষ মুহূর্তে রাইসির হেলিকপ্টারে কী ঘটেছিল
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত খুব কমই জানা গেছে। এবার এ ঘটনার আরও কিছু তথ্য সামনে এনেছেন ইরানের প্রেসিডেন্টের চিফ... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!
এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আজকের কিছু উল্টা পালটা চিন্তা !
১।
কলকাতা গিয়ে টুকরা টুকরা হল আমাদের এক সন্ত্রাসী এমপি, কলকাতা বলা চলে তার ২য় বাড়ি, জীবনে কতবার গিয়েছেন তার হিসাব কেহ বের করতে পারবে বলে মনে করি না, কলকাতার অলিগলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
মাটির কাছে যেতেই..
মাটির কাছে
যেতেই..
ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও
স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!
ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন