আমি তখন আরও কয়েকজনের সাথে হাতের মুঠোয় কয়েকটি নক্ষত্র নিয়ে আমাদের মৌলিক অধিকার সমূহ আদায়ের লক্ষ্যে উদ্দত মিছিলের সারিতে; আমাদের মিছিলটা তখন এ শহরের কালেক্টরেট ভবন পার হচ্ছিল। আমাদের ডান পাশে নিতান্তই ত্যক্তবিরক্ত বিধ্বস্ত নাগরিকের মতো পৌর পার্ক নামক ঝোপ-সর্বস্ব স্থানটি অবস্থান করছিলো ( এখানে রাত হলে শরীরের জমজমাট ব্যবসা বসে)। আমরা তখন অন্ন চাই, বস্ত্র চাই.. ইত্যকার শ্লোগাণে লিপ্ত- একটি টসটসে পেট অলা ছাগল পার্কের ঝোঁপ থেকে বেরিয়ে এসে তার প্রাজ্ঞ কালো চোখ দিয়ে প্রথমে আমাদেরকে কিছুক্ষণ নিরিক্ষণ করে তারপর ডাইনে আর বাঁয়ে তাকিয়ে টপাটপ তার নিকট কোন এক কার্যকর সঙ্গমের ফসল ফলালো- ধাত্রীবিহীন। আমাদের হাতের মুঠোয় তখনও নক্ষত্রপুঞ্জ কাঁপছিলো
আমি শুধু বলার ছলেই বলছি...
আমি কোনদিন মিছিলের অগ্রভাগে ছিলাম না
আমার হাতে কোনদিন নক্ষত্ররা শোভা পায়নি
আমার শরীরে কোনদিন কোন ক্ষতচিহ্ন সৃষ্টি হয়নি
আমি শুধু নিয়মতান্ত্রিক জনপ্রিয় জ্যোৎস্নার আরাধনা করতে গিয়ে ঘন আলিঙ্গনাবদ্ধ ঝোঁপে পুরুষের বীর্যপাত প্রত্যক্ষ করতাম; আর সেই বীর্য থেকে তৃতীয় দিবসে যে অনিন্দ্য ফুল ফুঁটতো- তা পরম আনন্দে জলে ভাসিয়ে দিতাম
আমি শুধু বলার ছলেই বলছি...
মিছিল ছত্রভঙ্গ হতেই দেখি আমার হাতের নক্ষত্রগুচ্ছ সদ্য নবজাতকের অনুরুপ শরীর লাভ করলো... অর্থাৎ ছাগ শিশু হয়ে গ্যালো
আমি শুধু বলার ছলেই বলছি; মাননীয় বোদ্ধাগন, এ আমার নিছক মনোবৈকুল্যের প্রসব। এর মধ্যে কোন শব্দহীন গভীরতা খুঁজবেন না দয়া করে;
কারণ, এতক্ষণ আমি শুধু বলার ছলেই বলেছিলাম