শনিবার উইকএন্ডে বার্মিংহাম সিটি সেন্টারে হাটার সময় এক জায়গায় জটলা দেখে এগিয়ে যাই। গিয়ে দেখি মজার কাণ্ড। পাখির পালক দিয়ে সাজানো পোশাক পড়া কয়েকজন লোককে ঘিরে একটা ভিড় জমে উঠেছে। দূর থেকে দেখে মনে হলো এরা কি রেড ইনডিয়ান নাকি? কিন্তু রেড ইনডিয়ানদের তো ইংল্যান্ডে আসার কথা নয়! তাদের দেশ তো আমেরিকা। যাই হোক ব্যাপারটা আরো ভালোভাবে বুঝার জন্য কাছে গেলাম। ওয়েস্টার্ন সিনেমায় দেখা রেড ইনডিয়ানদের মতোই তামাটে গায়ের রং, মুখের ভাজগুলোও হুবহু এক। পোশাকগুলোও বড় বড় পাখির পালক দিয়ে তৈরি। পার্থক্য হচ্ছে, এদের হাতে আছে মাইক আর পাশে রাখা আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম। মিউজিক বাজছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই গান শুরু হয়ে গেল। অদ্ভূত সুন্দর সুর। এ গানের মাঝখানেই একজন বাঁশি নিয়ে বাজানো শুরু করলো। সে বাঁশির শব্দও ভোলার নয়।
সিডি দেখে নিশ্চিত হলাম, এরা রেড ইনডিয়ান। এখানে এসেছে মিউজিকের সিডি বিক্রি করার জন্য। তাদের সঙ্গে ছিল বড় ড্রাম। একজন গুরুগম্ভীর শব্দে ড্রাম বাজানো শুরু করলো। হতাশ হলাম মাত্র একটা গান শুনে। এর পরই গান থামিয়ে তারা সিডি বিক্রি শুরু করলো। সিডির দাম মাত্র ১০ পাউন্ড বা প্রায় ১৪০০ টাকা। আমরাও সময় নষ্ট না করে চাকরি খুজতে চলে গেলাম (পরে অবশ্য আমার বন্ধু ফিরে এসে একটা সিডি কিনেই ফেললো)।
বৃটিশরা মূলত খুবই আমুদে প্রকৃতির। এরা সপ্তাহে পাচ দিন গাধার খাটুনি খেটে যে টাকাটা উপার্জন করে তা উইকএন্ডে আমোদ-ফুর্তি করে শেষ করে ফেলে। সঞ্চয়ের চিন্তাটা এদের করতে হয় না কারণ বৃদ্ধ বয়সে সরকারই এদের দেখাশোনা করে। অবশ্য বৃটিশরা ইনকাম ট্যাক্সও কম দেয় না। এজন্য উইকএন্ডে বার্মিংহাম সিটি সেন্টার ও ব্রড স্ট্রিট এলাকার বার ও রেস্টুরেন্টগুলোতে উৎসবের আমেজ চলে আসে। প্রচুর ছেলে মেয়ে উৎসবের সাজে ঘোরাঘুরি করে। এমনকি ডাবল ডেকার বাসের ভেতরও স্কুলের কয়েকটা ছেলে-মেয়ে গান গাচ্ছে। অনেক পরিবার প্যারাম্বুলেটরে করে ছোট বাচ্চা নিয়ে শপিং করতে এসেছে।
..........................................................
(ছবি: ইন্টারনেটের। আমার তোলা ছবি পাচ্ছি না, পাওয়া গেলে আপডেট করবো)
আলোচিত ব্লগ
ব্যারিস্টার সুমন দায়মুক্ত , চু্ন্নু সাহেব কি করবনে ?
দেশে প্রথম কোন সংসদ সদস্য তার বরাদ্ধের ব্যাপারে Facebook এ পোষ্ট দিয়ে জানিয়ে থাকেন তিনি কি পেলেন এবং কোথায় সে টাকা খরচ করা হবে বা হচ্ছে মানুষ এসব বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
মায়ের নতুন বাড়ি
নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ
জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)
একদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।
একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন