somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তাজুল ইসলাম মুন্না
সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ালেখা করছি। পাশাপাশি অনলাইন জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করছি দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে। ব্লগে ফেরার ইচ্ছা বহুদিনের। একদিন হয়তো হুট করে আবারও রেগুলার হয়ে যাবো।

মিচকা শয়তান!!! (পর্ব-২)

২১ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপাতত লিকুইড দিয়েই ওরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো। তারপর জেবা একদিন অংক স্যারকে বলল, "স্যার, আজকে শুধু ভেক্টর করাবেন।" অন্য সবাই বলছিলো অন্য অংকের কথা। স্যার ওদের অংক করিয়ে দিয়ে জেবাকে বলল, "এই ভেক্টর, তোমার কিকি অংক বাকি?" ব্যাস পেয়ে গেলো আরেকটা নাম।

তারপর থেকে ওর নাম ভেক্টর। আরো নাম খুজছিল রাশেদরা। রাশেদের বন্ধু সাকিব ছিল একটা জিনিয়াস। সাকিব ভেক্টরের আরেকনাম রাখলো জরজিনা। এটা ছিল জেবার বড় নামের প্রথম অংশ। জরজিনা থেকে হল মর্জিনা। ওকে একজন বলতো মর্জিনা, আরেকজন বলতো ভেক্টর। ও খুব রাগ করতো। অবশ্য ও যে মাঝেমধ্যে কিছু বলতো না তানা। ও রাশেদের উপরেই কেনযেন ক্ষেপতো। ততদিনে রাশেদও একেবারে দুষ্টের শিরোমণি হয়ে গেছে। যাইহোক মিচকা শয়তান মানে রাশেদকে ও একদিন বলল, "তুমি... তুমিতো একটা হাফলেডিস। আবার এত কথা বল কেন?" রাশেদ বুদ্ধি করে উত্তর দিল, "থ্যাংক ইউ!!!" এতে জেবার রাগতো কমলোইনা বরং বাড়লো।

তারপর ওরা মাঝেমধ্যে অন্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের সাথে পড়তে শুরু করলো। অন্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের সামনে রাশেদ বেশি একটা দুষ্টামী করতো না। তারপরও জেবা ক্ষ্যাপা ছিল। ও চাইতো অন্য ক্লাসের জুনিয়র ও সিনিয়র ছাত্রছাত্রীদের সামনে রাশেদকে অপমান করতে। রাশেদের দুষ্টামী এখানে লিমিটে ছিল। লিমিটটা কোনমতেই পার হতো না। রাশেদ চাইতোনা জেবাকে সবার সামনে অপমান করতে। কিন্তু ইটটা মারলে পাটকেলটাতো খেতেই হবে। জেবা সবার সামনে রাশেদকে "হাফলেডিস" বলায় রাশেদও সবার সামনে বলল, "থ্যাংক ইউ ভেক্টর আপু!!!" এবার জেবা স্যারের সামনে বলেছিল। স্যার বন্ধুসুলভ আচরণ করে সবসময়। তাই সে কিছুই না বলে বালক বালিকাদের ঝগড়া দেখছিল। রাশেদ ভেক্টর বলে সবাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে স্যারকে বলল, "স্যার, আমরা ওকে কত নাম দিয়েছি। ভেক্টর, লিকুইড, মর্জিনা। তারপরে আবার বড় একটা নামও দিয়েছি। জরজিনা বানু মর্জিনা ওরফে ভেক্টর। ও আমাদের উপরে ক্ষেপে আমাদের দুটা নাম দিতেই পারে। আমরা এতে কিছু মনে করবো না।" এতক্ষণে ওর কথা শুনে পুরো ক্লাস হাসিতে ফেটে পড়লো। তা দেখে জেবা আবার বলতে লাগলো, "ঠিকাছে ইন্টারনেট (রাশেদ ইন্টারনেট ব্যবহার করে বলে জেবা তাকে ইন্টারনেট বলল)। কিছু মনে করা লাগবে না।"

তারপর থেকে রাশেদ জেবাকে এড়িয়ে যেতে লাগলো। কখন কি বিপদে পড়ে তা ভেবে। মেয়ে মানুষ। বেশি রাগ করলে কখন খুন-টুন করে বসে। অলরেজি একবার জেবা শামীমকে স্কেল ছুড়ে মেরেছে। স্টিলের স্কেল। গায়ে লাগলে শামীম এখানেই ফিনিস হয়ে যেত। তাছাড়া দশম শ্রেণীর এক বড়ভাই সেদিন রাশেদকে বলেছে জেবাকে বেশি কিছু না বলতে। সেই ভয়ও একটু আছে।।।

কথা একদম না বলে উপায় ছিল না। দেখা গেল ৪জনের ভিতরে ৩জন বই এনেছে। একটা বই স্যারকে দেয়া হত। আরেকটা সাকিল আর শামীম নিয়ে নিত। তারপর স্যার রাশেদকে আর জেবাকে বলতো। শেয়ার কর। রাশেদ মাঝেমধ্যে বই জেবাকে দিয়ে দিত। রাশেদ ইংরেজীতে খুব ভাল। ও ইংরেজী বেশিএকটা পড়তো না। তারপরও রেজাল্ট খুব্ ভাল হত।

তারপর এসএসসি পরীক্ষা এল। সবাই পরীক্ষা দিল। জেবা পরীক্ষার কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়লো। জ্বর হয়েছিল। তাও পরীক্ষার দুইদিন আগে সুস্থ হয়ে ও পরীক্ষা দিল। যথাসময়ে ফলাফল বেরহল। রাশেদ গোল্ডেন এ প্লাস পেল। জেবা আর সাকিল পেল এ প্লাস। আর শামীম পেল ৪.৯৪।



চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৫
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×