somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তাজুল ইসলাম মুন্না
সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ালেখা করছি। পাশাপাশি অনলাইন জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করছি দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে। ব্লগে ফেরার ইচ্ছা বহুদিনের। একদিন হয়তো হুট করে আবারও রেগুলার হয়ে যাবো।

মিচকা শয়তান!!! (পর্ব-১)

২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২রা ফেব্রুয়ারী, ২০০৮। সাইফ কোচিং-এর সামনে এসে দাড়ালো রাশেদ।
তারপর আরেকবার বাবার দিকে তাকিয়ে বলল, "না গেলে হয়না?"
বাবা বললেন, "কোচিং-এ পড়তে তোর সমস্যাটা কোথায়? তুই কি ফাকিবাজ হয়ে যাচ্ছিস নাকি?"
রাশেদ বলল, "হয়তো.."

রাশেদ একটু জোকসপ্রিয় ছেলে। ওর বয়স ১৬হল। নবম শ্রেণীতে পড়ে। ওর জোকস এতটাই শক্তিশালী যে তা থেকে ওর বাবা-মা পর্যন্ত নিস্তার পায়না। প্রায় সময়ই সে তার মায়ের সাথে পর্যন্ত জোকস করে। ওর বাবাও ওর মতো। মাঝখানে পড়ে ওর মাও ওদের মতো হয়ে যাচ্ছে।

পরেরদিন। কোচিং-এ ঢুকলো রাশেদ। ঢুকে দেখে ওর এক ক্লাসমেটেও আছে। রাশেদযে খুব ভালছাত্র তা না। ও মোটামুটি ভাল ছাত্র। কিন্তু ওর বন্ধুটি লেখাপড়ায় তেমন একটা ভালনা। কিন্তু কথাবার্তা সুন্দর। কোচিং-এ গিয়ে দেখলো ওর বন্ধু শামীম, আরেকটা অপরিচিত ছেলে সাকিব এবং একটা মেয়ে। মেয়েটার নাম জেবা। কোচিং-এ প্রথম দিন ও বেশিএকটা কথা বলতে পারলো না। ও জোকসপ্রিয় হলেও খুব ভদ্র এবং নিরীহ। ওর বন্ধুদেরকে দেখলো মেয়েটাকে জ্বালিয়ে একেবারে অবস্থা খারাপ করে দেয়। মেয়েটা মাঝেমধ্যে জ্বলে। ওরা এতো মজার মজার কথা বলে যে রাশেদ কি করবে বুঝে ওঠে না। খালি মুখে হাত দিয়ে হাসে। এটাও ওই মেয়ের পছন্দ হয়না।

একদিন ওর বন্ধুরা খুব বেশি দুষ্টামী করছিলো। তা দেখে ওই মেয়েটা একদম এতটাই রাগ করলো যে নাম দেয়া শুরু করে দিল। সাকিলের নাম দিল "লিডার"। শামীমকে বলল "বান্দর" আর রাশেদকে মুখে হাত দিয়ে হাসতে দেখে তোতলানো শুরু করলো। নাম আর খুজে পাচ্ছেনা। তারপর বললো, "আর তুমি, তুমি, তুমি একটা মিচকা শয়তান" :):):)

রাশেদের গা জ্বলে গেল কথাটা শুনে। "আমার সাথে ফাইজলামতি কর!!! দেখামু মজা"-মনে মনে রাশেদ বলল। তারপর থেকে ওর বন্ধুদের সাথে ও তাল মেলায়। তারপর আস্তে আস্তে ও বুঝতে পারলো যে ওই ওদের লিডার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যখন দেখতো বেশি ভেজাল তখন আস্তে করে সরে পড়তো। ওর বন্ধুরাও ছিল ওইটাইপের। রাশেদ যতটা সম্ভব কম কথা বলতো মেয়েটার সাথে। কিন্তু কেনযোনো মেয়েটা ওর উপরেই সবসময় ক্ষেপে যেত। রাশেদতো ক্ষেপিয়েই খুশি। ও জ্বলতো আর রাশেদ হাসতো। আর মনে মনে বলতো, "মিচকা শয়তান বলছো না। এইবার বুঝবা মিচকা শয়তান কারে কয়!!!"

তারপর থেকে রাশেদ জেবার আর শিক্ষকদের প্রত্যেকটি কথা খেয়াল করতো। ওর বন্ধুদের কাছে শুনলো যে জেবাকে তাদের ইংরেজী শিক্ষক নাম দিয়েছেন, "লিকুইড" তার মতে, "মেয়েরা তরল পদার্থের মতো। তাদের যে পাত্রে রাখা হয় তারা সে পাত্রের আকার ধারণ করে।" কথাটা ভাল কথা। এটা মেয়েদের একটা গুন। কিন্তু কেনযেন জেবা এই গুনটাকে বেগুন বানিয়ে "লিকুইড" বলা মাত্রই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতো।"


চলবে........




কাহিনীতে নাম খোজা খুবই কষ্টকর একটা কাজ। লেখার শেষে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এখানে কাউকে হেয় করা কোন উদ্দেশ্য নেই। রাশেদ ভাই ব্যপারটিকে সহজভাবেই নেবেন। আপনি আমার খুব বেশি প্রিয় লোক বলে আপনার নামের হিরোর নামকরণ করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৪৬
১৩টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×