গণবিধ্বংসী অস্ত্র গুড়িয়ে দিতে ২০০৩-এর ২০শে মার্চ যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে সামরিক অভিযান শুরু করে। গণবিধ্বংসী সেই অস্ত্রভাণ্ডারের জুজু উবে গেছে অনেক আগেই, যুদ্ধ আজো চলছে। যুদ্ধটা এখন আর সামরিক তাৎপর্যে সীমাবদ্ধ নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে অর্থনীতি, জঙ্গিবাদ, ধর্মীয় চেতনা আর রাজনীতি। ইরাক যুদ্ধের খরচ কত? এ নিয়ে আছে নানা হিসেবনিকেশ। দৈনিক গড়ে ২০ কোটি ডলার গুনতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে!
‘দ্য থ্রি ট্রিলিয়ন ডলার ওয়ার’ নামে একটি বইও বেরিয়েছে ইরাক যুদ্ধের হিসেব নিয়ে। তবে অর্থনীতির মাপনীতে অনেক খরচই মাপা যায় না। ইরাকফেরত মার্কিন সেনাদের মানসিক বিপর্যয়ের সামাজিক প্রভাব, যুদ্ধের ফলে ধর্মীয় উসকানিতে সৃষ্ট অবিশ্বাস বা অপরচুনিটি কস্ট, সব বাদ দিয়ে এই যুদ্ধের ব্যয় বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২১০ লাখ কোটি টাকা।
ন্যাশনাল সিকিউরিটির এই মহাযজ্ঞ প্রকল্পে ভেঙে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সোশ্যাল সিকিউরিটি। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি এখন নড়বড়ে। যুদ্ধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তেলের দাম-- টালমাতাল শেয়ার বাজার নিয়ে অহরহ ব্যস্ত সংবাদ মাধ্যম।
৫ বছরে এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে ৪ হাজার মার্কিন ফৌজ... আহত ৬০ হাজার। যুদ্ধের কারণে ৪০ লাখ ইরাকি ঘর হারিয়েছে, নিহত ৭০ লাখ। আর আত্মঘাতী হামলাকারীদের প্রাণের মূল্যও নির্ধারণ করা যায়নি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:১৪