৫.
একটি জোনাক ধরে দিলে তুমি ফেরত পেয়ে যাবে বাজীতে হেরে যাওয়া সমস্ত স্বাধীনতা-এই কথা বলে তর্জনীতে কিছু অতিরিক্ত মেদ জমিয়ে তা দিয়ে আমাকে প্রতারকেরা দেখিয়ে দেয় ঝোপের আশেপাশের অন্ধকারের রুপরেখা।
ঝিঁঝিঁ পোকার কাছে সন্ধান করি নিভুনিভু পতঙ্গের অবস্থান।তারাও এবিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেনা বলে মনে হলো আমার।তারপর এ শহরের ল্যাম্পপোস্ট পেরোতে আমার লেগে যায় দুইযুগ।
আমারো যেইসব ব্যাক্তিক অস্তিত্ব পেরোতে চায় সার্বিক কল্যাণের ষড়যন্ত্র,তা বুঝি শুধুমাত্র যন্ত্রের বিনাশ দ্বারাই সম্ভব।যদিও আমার সংশয় আমাকে চালিত করে চলেছে আরো তরল হতে ঘণত্বের দিকে,ঘণত্ব মানে কি সংকুচিত বিশালত্ব?আমার সংশয়ও কি আমাকে এমত সংকুচিত করে চলেছে?সুবিশালের বিবর্তণ কি কেবলমাত্র অন্য আরেক বিশাল আকার ধারণ করে শেষমেশ বৈকল্যে রুপ নেয়া নয়।
অতিক্রমনের সময়ে আমার মনের এইসব ফিসফিসানি শুনে ফ্যালে সুবিশাল ভবন সকল।তারা ঝুকে পড়ে আমাকে হুমকি দেয় যে তারা এক্ষুনি আমার উপর ধ্বসে পড়ে শাস্তি দেবে।
আমি আর শাস্তি বাড়াতে চাই নি,দৌড়ে পালতে গিয়ে একটি মজা পুকুরে পড়ে যাই।দু-একটি কামড় খেয়ে বুঝতে পারি যে এটি একটি আফ্রিকান মাগুর চাষের পুকুর।আমি আমার কংকাল নিয়ে হাচরে পাচরে উঠে আসি,আমি বুঝতে পারি না আমার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি পলায়ন বলে গণ্য হবে।
সেখানেই একটা ঝোপের কাছে আমি কিছু হরিদ্রাভা দেখতে পাই।দুর থেকে সেই আলো আমার চোখেও প্রতিফলিত হয়।আমার মতই বাজীতে হেরে যাওয়া কোনো একজন জোনাকের বিম্বিত আলোকে সত্যিকারের জোনাক ভেবে কেড়ে নেয় আমার দুটি চোখ।
এরপর আমার কি মনে হয়েছিলো সে-কথাও আর মনে পড়ছে না।
জোনাক ধরার কাচের বয়াম ১,২
জোনাক ধরার কাচের বয়াম ৩,৪