somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিজের মন্তব্যে নিজেই মুগ্ধ হইয়া নিজের ঘরে জমাইলাম-

১৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


Click This Link

মানস একটু শইলে আব্রু কইরা কথা কন মিয়া- পাব্লিক কেনো কোনো আন্দোলনে নিশ্চুপ থাকে কিংবা কেনো থাকে না এইটা নিয়া আপ্নের একটা নৃতাত্বিক বিশ্লেষণ থাকাটা অবশ্যসম্ভাবি- এইটাই আপ্নের পেশা- তয় একটা সত্যও আছে এইগুলার সাথে যেইটা আপ্নে চামে আড়াল কইরা যাইতেছেন- ক্ষমতাসীনেরা কি চাইতেছে কি চাইতেছে না এইটার চেয়ে বড় হইলো সাধারণ মানুষ কি চাইতেছিলো- কিংবা কি চাইছিলো কিংবা কি চাইছে-

যদিও আউট অফ কনটেক্সট মনে হইতে পারে এর পরেও কই সবচেয়ে বড় বিচারের রায় হইলো জনতার রায়- পাবলিক অপিনিয়নের একটা গুরুত্ব আছে- রাইসু যেইটারে কইছে জনতার রায় মাঝে মাঝে ভীষণ রকম অনৈতিক অভব্য হইতে পারে সেই জায়গাতে দাঁড়ায়া- আমি এই নেতিকে স্বীকার কইরাও কই- গণপিটুনি কিংবা গণরোষ সব সময় জনতার মতামত না- এইটা একটা তাৎক্ষণিক মত্ততা- কয়দিন আগে এক ধর্ষিতারে দোররা মারবার সিদ্ধান্ত এবং এর প্রতিবাদ এবং এ সংক্রান্ত সকল ঘটনাই সব সময় জনতার মতের প্রতিফলনের জায়গা হইতে পারে- যদি দোররা মারাটাকে জনতার রায় বলি তাইলে এর বিরোধিতার জায়গাটাকেও জনতার মতই কইতে হয়-

তবে সম্মিলিত ভাবে জনতা যখন একটা বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করে তখন সেটাকে আদালতের রায়ের চেয়ে বড় বিষয় মানতে হবে- মেলোড্রামাটিক ইভেন্টের মতো আদ্ভুত ঘটনার সন্নিবেশ ঘটায়া এইটারে অহেতুক রং চাড়ানোর আদত বাদ দিলে আলোচনার সুবিধাটা হয়-
তাই কইতে চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে প্রথম সমাবেশ এবং গণ অনশন হইছে ২৩ শে ফেব্রুয়ারী ১৯৭২- সেই সময় জনগন এইটারে যৌক্তিক ভাবছিলো-
রাষ্ট্রনীতি - পররাষ্ট্রনীতি- দাতাগোষ্ঠী বন্ধু দেশ এইসব আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীণ বিষয় বাদ দিয়ে দিলে জনতার রায়টা কি পরিস্কার হয়?
জনতার রায় পরিস্কার না হইলে আবারও বলা যায় এই নিয়ে আন্দোলন, ৭৫ এর পরের আওয়ামী নেতাদের সুবিধাবাদী অবস্থান এবং কৌশলে ধর্মীয় রাজনীতির পুনরুদ্ধারের গল্পের সাথে ক্ষমতার যোগাযোগ ছিলো- এইখানে জনতার অংশগ্রহন কি ছিলো?

জনতা অনুপস্থিত এইটার মানে এই না যে জনগণ সমর্থন করছে, মৌন সমর্থন দিয়া গেছে- মুখ বাইন্ধা ধর্ষণ কইরা যদি কন ধর্ষিতা কোনো ভাবেই অসম্মতি জানায় নাই তাইলে অবশ্য এইটা সত্য- কারণ আদতেই ধর্ষিতা কোনো অসম্মতি জানায় নাই আর তাই এই ধর্ষণ আসলে ধর্ষণ নয় বরং তাতে মেয়েটার মৌন সম্মতি ছিলো-

আপ্নের জন্য আরও একটু তথ্য যোগ করি- ঘাদানিকের আন্দোলনে সব সময় অংশগ্রহন করা এবং ঢাকার বিশাল সমাবেশে সার্বিক ঝুঁকি নিয়া সমাজের কাছে নিগৃহীত হইবো বুইঝাও যেই ৪ ধর্ষিতা মহিলা যারা সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করতেছিলো তারা সেই সংসার এবং তাদের কন্যা এবং পুত্রদের সংসার ভাংবার সমস্ত ঝুঁকি নিয়াই সেই সময় নিজেদের উপরে করা অত্যাচারের বিবরণ দিয়াছে- দোষিদের শাস্তির দাবি জানাইছে- মহিলাগুলা ছিলো বগুড়ার বাসিন্দা- চাইলে অবশ্য সেই সময়ের পেপার খুইল্যা পড়তে পারেন- এইটা হইতাছে জনতার দাবি- জনতা যা চায় আর জনতা যা চাইছে সব সময়-

এখন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীতা কিংবা মুক্তিযোদ্ধার বিরোধিতা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরোধিতা- (আপ্নে উর্ধাঙ্গ অনাবৃত জোকার ) যদি এই আদর্শটাও বুঝতে চান তাইলে সেই প্রবাসী সরকারের শপথের আগে পঠিত বানিটা পইড়া লন- এবং এই দাবিগুলারে আত্তীকরণ কইরাই সংবিধানের উৎপত্তি আর এই সংবিধানের দাবি লইয়াই এখন বাক স্বাধীনতা- নাগরিক অধিকারের নানান কীর্তন চলতাছে-

আপনের সুশীল হোগা দিয়া নানাবিধ বাক্য রচিত হইতাছে- নানাবিধ যুক্তিবোধ- আর ঘটনা এবং দুর্ঘটনার পূর্বাভাষ আইতাছে এই ব্লগমুল্লুকে-
যাউক গা রাইসু যে প্রশ্নটা উঠাইছে আর আপ্নে যে প্রশ্নটা তুলছেন সেইটার বিপরীতে আমি কইতে পারি- ওয়ামীরে ব্যান করছে যেই ধারায় সেই ধারাটা আসলে প্রয়োগযোগ্য কি না এইটা আমি বুঝি নাই- মুক্তিযোদ্ধাদের কুকুর বলাটা আসলে তেমন অন্যায় বিবেচিত হইতে পারে কি? আপ্নে মহান মানুষ আপ্নে বিবেচনা কইরা কন- আমরা আবেগে চলি- আবেগে ছিনতাইকারী পুড়াইয়া মাইরা ফেলি- আমাগোর বিবেচনায় অনেক অবিচারই হওন সম্ভব-

তয় সামগ্রীক মূল্যবোধ আর মানসিক অভিঘাতের একটা ধারাও আছে এইখানে ঐটাও পইড়া নিয়েন- আপ্নেরা যেই বালটা ছিড়তে পারেন আর কি- ভিন্ন পাঠ দিয়া দেখতে পারেন-

আমার মতে এই সব ছুড়ি কাঁচি থাকবার কোনো দরকার নাই- কিন্তু রাইসু ভাবে এইটা থাকা দরকার- এইটা নিয়া আমি আর রাইসু ভিন্নবাসী তবে রাইসুর এই প্রশ্নরে আমার তেমন আবঝাব লাগে নাই- রাইসুর এই বিতর্ক উত্থাপন এবং বিতর্ক অনুসন্ধানের প্রচেষ্টারে সাধুবাদ জানাই-
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৬
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×