শাফিক আফতাব
‘উনি কাঠখোট্টা লোক, প্রেমের কবিতা ওনাকে দেখাবেন না,
উনি প্রেমকে এক্কেবারে পছন্দ করেন না,
উনি একজন গবেষক, ভাষাবিজ্ঞানী, তুখোর অধ্যাপক ;
ওনার কাছে আবেগের মূল্য বলে কিছু নেই ;
উনি আপনাকে গালমন্দ করবেন’ বলে তরুণ কবিটি তাঁর
অগ্রজকে বুঝালেন : অগ্রজ বুঝলেন, এবং কবিতা লেখা ছেড়ে
দিলেন, কেনোনা কবিতা নাকি বাংলাদেশে ব্যর্থপ্রেমকে ইঙ্গিত করে
পণ্ডিতি ব্যক্তিত্বকে খর্ব করে।
এখন দেখা গেলো তরুণ কবিটি গামলা গামলা কবিতা লিখছেন,
তাই দেখে অগ্রজের মনে হলো : সবার কথা শুনতে নাই
তাঁর মনে হলো জীবনানন্দ দাশের ‘সমারূঢ়’ কবিতা :
সেই থেকে তিনি লিখছেন নিজের ব্যর্থ প্রেমের কবিতা,
কেনোনা ব্যর্থ প্রেমেই নাকি প্রেমের পরিপূর্ণরূপ ফুটে ওঠে ;
আর সার্থক প্রেম নাকি মরা নদীর মতো স্থবির পড়ে,
তিনি আর ব্যক্তিত্ব হারাবার ভয় করেন না,
কেনোনা এই দেশের চতুর মানুষের কাছে ব্যক্তিত্ব বলে কিছ ু
আছে কি ?
৩০.০১.২০১৩