আমি একাকীবীথির কাঁধে হাত রাখি, তার সবুজ চুলে নাক ডুবিয়ে স্বস্তি চিবাতে চিবাতে বলি, চুল বেঁধে রাখ না কেন গো মেয়ে, সে একটা ঢেউ খেলানো হাসি দিয়ে বলে, আমার তো চুল বাঁধার কোনো ক্লিপই নেই
বলি, নেবে
নিতে পারি, কিন্তু চুলে কী করে ক্লিপ লাগাতে হয়, সেটাও জানি না যে
আমি তারপর শক্ত করে তার হাত ধরে বলি, চল আমিই খুঁজে এনে দেব তবে দিশে
হাইরাইজের আড়ালে ছিল ছোট মুদিঘর, যেদিকে মিলিয়ে গেছে বেয়াড়া বাতাস, ওকেসহ বীরের মতো গিয়ে মাপমতো ক্লিপ কিনে নিজহাতে পরাই বাসনা, সেটা ছিল একাগাছতলা, ফাটকা বেয়াড়া বাতাসেরা পরে বহুবার হামলা করেও বীথির গোছানো চুলে বাড়াতে পারে নি কোনো ক্ষয়ক্ষতি
আমরা এখন ঘনিষ্ঠ দুজন, ওর ছায়াতলে বসে নিতিদিন বিড়ি ফুঁকি আর ওকে নিয়ে রাশি রাশি কবিতা লিখি, ও শুধু চোখ দিয়ে কথা বলে আর মিটিমিটিয়ে হাসে, যে হাসির তোড়ে আমার পৃথিবী ভেসে যায় একটা মন কেমন করা বন্যায়
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭